পাহাড় আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে, অনেক শান্ত আছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘দরজা বন্ধ’ করে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘আরাকান বর্ডারটা ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা তো মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মায়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মায়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়, আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে’
পাহাড় অশান্ত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি পাহাড়ে তিনবার চাকরি করেছি। ক্যাম্প কমান্ডার ছিলাম, সিও ছিলাম ও ব্রিগেড কমান্ডার ছিলাম। পাহাড়ে অশান্ত তো আপনারা দেখেনই। এখন ওই তুলনা করতে গেলে পাহাড় এখন পুরোটাই শান্ত। এই ছোটখাটো অপহরণ আমাদের প্লেইন ল্যান্ডেও (সমতল) তো হচ্ছে। খালি পাহাড়ে কেন দোষ দেন। পাহাড় আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে, অনেক শান্ত আছে। আমি বাঘাইহাটে ছিলাম। সেখানে ল্যান্ডমাইন দিয়ে একসঙ্গে পিকআপ উড়াই দিছে। তিনজন, চারজন করে মারা গেছে। সে সময় এই খবরগুলো আসেও নাই প্লাস ওই এলাকায় এক্সেসেবিলিটিও ছিল না। কিন্তু এখন তো পাহাড়ের অবস্থা এত ভালো আল্লাহই দিলে ওই রাস্তা দিয়ে আপনারা সাজেক চলে যাচ্ছেন।
এ সময় সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একটি আরাকান সংগঠনকে ঘিরে সম্প্রতি বিভিন্ন ভিডিও ও টিকটক কনটেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন দেখতে হবে আরাকান আর্মি ফাইট করতেছে অনেকদিন যাবৎ। এদের অনেকে এপারে বিয়ে করে ফেলছে- এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু যে হারে ভিডিওতে আসছে বিষয়টা তা নয়। টিকটক ভিডিও অনেকভাবে করা যায়। সবটা যে সত্য তা না আবার সবটা যে মিথ্যা তাও না। এটার ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যালেন্স করতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আরাকান ওই বর্ডারটা ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা তো মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মায়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মায়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়, আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে। এখানে একটা সমস্যা আছে আপনাকে বুঝতে হবে। এটার সমাধানে চেষ্টা চলছে। আর সীমান্ত পুরাভাবে রক্ষিত আছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাউজানে বেড়ে যাওয়া হত্যাকা- নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া এলাকা হলো পাহাড় ও সমতল সংমিশ্রণ। এখানকার সমস্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে ডিফারেন্ট। আমরা এই ব্যাপারে আলাপ করছি, এখানে সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। প্রকাশ্যে কেউ যদি করে থাকে আমি আপনাদের সামনে বলে গেলাম
আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান কোনো অবস্থায় কমেনি বরং আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ঘটনা ঘটে, সত্যি ঘটনা আপনারা অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন। তখন আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু অনেক সময় আছে দুই-একজন করে কি, ঘটনা সত্যি নয় কিন্তু প্রকাশ করে দেয়। সেসময় ইনভেস্টিগেশন করে দেখা যায় যে, ঘটনা সত্যি নয়, তখন অসুবিধা হয়। পার্শ¦বর্তী দেশের সাংবাদিকরা এর সুবিধাটা নেয়। যেহেতু জানেন যে তারা মিথ্যা সংবাদ বেশি পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাই তাদের একাগ্রতায় ও সাফল্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। এ লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গঠনে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, এই সুবিধা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
পাহাড় আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে, অনেক শান্ত আছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘দরজা বন্ধ’ করে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘আরাকান বর্ডারটা ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা তো মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মায়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মায়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়, আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে’
পাহাড় অশান্ত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি পাহাড়ে তিনবার চাকরি করেছি। ক্যাম্প কমান্ডার ছিলাম, সিও ছিলাম ও ব্রিগেড কমান্ডার ছিলাম। পাহাড়ে অশান্ত তো আপনারা দেখেনই। এখন ওই তুলনা করতে গেলে পাহাড় এখন পুরোটাই শান্ত। এই ছোটখাটো অপহরণ আমাদের প্লেইন ল্যান্ডেও (সমতল) তো হচ্ছে। খালি পাহাড়ে কেন দোষ দেন। পাহাড় আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে, অনেক শান্ত আছে। আমি বাঘাইহাটে ছিলাম। সেখানে ল্যান্ডমাইন দিয়ে একসঙ্গে পিকআপ উড়াই দিছে। তিনজন, চারজন করে মারা গেছে। সে সময় এই খবরগুলো আসেও নাই প্লাস ওই এলাকায় এক্সেসেবিলিটিও ছিল না। কিন্তু এখন তো পাহাড়ের অবস্থা এত ভালো আল্লাহই দিলে ওই রাস্তা দিয়ে আপনারা সাজেক চলে যাচ্ছেন।
এ সময় সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একটি আরাকান সংগঠনকে ঘিরে সম্প্রতি বিভিন্ন ভিডিও ও টিকটক কনটেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন দেখতে হবে আরাকান আর্মি ফাইট করতেছে অনেকদিন যাবৎ। এদের অনেকে এপারে বিয়ে করে ফেলছে- এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু যে হারে ভিডিওতে আসছে বিষয়টা তা নয়। টিকটক ভিডিও অনেকভাবে করা যায়। সবটা যে সত্য তা না আবার সবটা যে মিথ্যা তাও না। এটার ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যালেন্স করতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আরাকান ওই বর্ডারটা ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা তো মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মায়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মায়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়, আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে। এখানে একটা সমস্যা আছে আপনাকে বুঝতে হবে। এটার সমাধানে চেষ্টা চলছে। আর সীমান্ত পুরাভাবে রক্ষিত আছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাউজানে বেড়ে যাওয়া হত্যাকা- নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া এলাকা হলো পাহাড় ও সমতল সংমিশ্রণ। এখানকার সমস্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে ডিফারেন্ট। আমরা এই ব্যাপারে আলাপ করছি, এখানে সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। প্রকাশ্যে কেউ যদি করে থাকে আমি আপনাদের সামনে বলে গেলাম
আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান কোনো অবস্থায় কমেনি বরং আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ঘটনা ঘটে, সত্যি ঘটনা আপনারা অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন। তখন আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু অনেক সময় আছে দুই-একজন করে কি, ঘটনা সত্যি নয় কিন্তু প্রকাশ করে দেয়। সেসময় ইনভেস্টিগেশন করে দেখা যায় যে, ঘটনা সত্যি নয়, তখন অসুবিধা হয়। পার্শ¦বর্তী দেশের সাংবাদিকরা এর সুবিধাটা নেয়। যেহেতু জানেন যে তারা মিথ্যা সংবাদ বেশি পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাই তাদের একাগ্রতায় ও সাফল্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। এ লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গঠনে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, এই সুবিধা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।