নারীদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলার ধানমন্ডি থানার মামলায় মডেল মেঘনা আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার,(২৪ এপ্রিল) শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুমা রহমান। এদিন মেঘনার পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার জানান, জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটকের আগে তিনি ফেইসবুক লাইভে এসে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। তাকে আটক করার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন বিচারক।
মডেল মেঘনাকে আটকের প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ১২ এপ্রিল ডিএমপির ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে মুক্তির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
তাকে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে তা অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী কেন নয় তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়। পরে ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার ‘হানি ট্র্যাপিংয়ের’ মামলায় মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মেঘনা আলম, সহযোগী দেওয়ান সমিরসহ অচেনা দুই-তিনজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা নারীদের দিয়ে ভিনদেশি কূটনীতিক বা প্রতিনিধি এবং দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলে অর্থ আদায় করে আসছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
নারীদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলার ধানমন্ডি থানার মামলায় মডেল মেঘনা আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার,(২৪ এপ্রিল) শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুমা রহমান। এদিন মেঘনার পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আবুল বাশার জানান, জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটকের আগে তিনি ফেইসবুক লাইভে এসে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। তাকে আটক করার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন বিচারক।
মডেল মেঘনাকে আটকের প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ১২ এপ্রিল ডিএমপির ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে মুক্তির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
তাকে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে তা অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী কেন নয় তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়। পরে ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার ‘হানি ট্র্যাপিংয়ের’ মামলায় মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মেঘনা আলম, সহযোগী দেওয়ান সমিরসহ অচেনা দুই-তিনজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা নারীদের দিয়ে ভিনদেশি কূটনীতিক বা প্রতিনিধি এবং দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলে অর্থ আদায় করে আসছে।