হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ২টি পৃথক সংঘর্ষ ঘটেছে শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল)।
হবিগঞ্জের সংঘর্ষ হয় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এতে অর্ধশত আহত হয়েছেন। আর ঈশ্বরদীর সংঘর্ষ চরের জমি দখল নিয়ে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৪ জন। আমাদের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নারী পুরুষসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে আহতদের পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামের বিএনপি নেতা আক্তার মিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান মিয়া ওরফে শাজাহান মেম্বারের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার শাজাহান মেম্বারের পক্ষের একজনের পারিবারিক ঝগড়া থামাতে যান আক্তার মিয়ার পক্ষের একজন। এ সময় শাজাহান মেম্বারের লোকজন আক্তার মিয়ার পক্ষের ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই দিন ধরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এরই জেরে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এ বি এম মাঈদুল হাছান বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংবাদের ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, ঈশ্বরদীতে ডিগ্রির চরের জমি দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের
প্রত্যন্ত ডিগ্রির চরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, চরকড়ুলিয়া গ্রামের ইয়াছিন বাহিনীর রেকাত আলীর ছেলে পিল্লু (২৬), হাবিবুল ইসলাম হুজুরের ছেলে সোয়াইব হোসেন (২৭) সহ আরও দুজন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ৯টার দিকে ইয়াছিন আলী অস্ত্রসহ ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ডিগ্রির চরে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত কুষ্টিয়ার মুকুল বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। এতে দুই গ্রুপের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ওসি শহীদুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ করেন এসআই পারভীন। তিনি জানান, ডিগ্রির চরে সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছেন।
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ২টি পৃথক সংঘর্ষ ঘটেছে শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল)।
হবিগঞ্জের সংঘর্ষ হয় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এতে অর্ধশত আহত হয়েছেন। আর ঈশ্বরদীর সংঘর্ষ চরের জমি দখল নিয়ে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৪ জন। আমাদের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নারী পুরুষসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে আহতদের পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামের বিএনপি নেতা আক্তার মিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান মিয়া ওরফে শাজাহান মেম্বারের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার শাজাহান মেম্বারের পক্ষের একজনের পারিবারিক ঝগড়া থামাতে যান আক্তার মিয়ার পক্ষের একজন। এ সময় শাজাহান মেম্বারের লোকজন আক্তার মিয়ার পক্ষের ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন। এ নিয়ে দুই দিন ধরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এরই জেরে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এ বি এম মাঈদুল হাছান বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংবাদের ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, ঈশ্বরদীতে ডিগ্রির চরের জমি দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের
প্রত্যন্ত ডিগ্রির চরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, চরকড়ুলিয়া গ্রামের ইয়াছিন বাহিনীর রেকাত আলীর ছেলে পিল্লু (২৬), হাবিবুল ইসলাম হুজুরের ছেলে সোয়াইব হোসেন (২৭) সহ আরও দুজন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ৯টার দিকে ইয়াছিন আলী অস্ত্রসহ ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ডিগ্রির চরে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত কুষ্টিয়ার মুকুল বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। এতে দুই গ্রুপের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ওসি শহীদুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ করেন এসআই পারভীন। তিনি জানান, ডিগ্রির চরে সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছেন।