alt

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: শফিক রেহমানের খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি নেই

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে মামলাটিকে ‘হয়রানিমূলক’ উল্লেখ করে শফিক রেহমানের খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী। খালাসের আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষেরও কোনো আপত্তি নেই বলে আদালতে জানানো হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন।

শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, “ভিকটিম নিজে মামলা করেননি, পুলিশ অতিরিক্ত আগ্রহে মামলা করেছে। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই, ৯০ বছর বয়সী একজন মানুষকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ মামলায় বিচার প্রক্রিয়া ছিল একপাক্ষিক।”

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (খলিল) বলেন, “এটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। শফিক রেহমান একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। তার খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি নেই।”

শুনানির সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালের আগস্টে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শফিক রেহমানসহ আরও চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান (যিনি পরে খালাস পান), জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ (সিজার) এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

২০১৬ সালে গ্রেপ্তারের পর শফিক রেহমান পাঁচ মাস কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তির পর তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। দীর্ঘ ছয় বছর পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফিরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং আপিলের শর্তে তার সাজার কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

সেদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শফিক রেহমান এই মামলাকে ‘তথাকথিত মামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই মামলা নিউ ইয়র্কে খারিজ হয়ে গেছে। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শফিক রেহমানের নাম যেন কোনো নথিতে না থাকে। অথচ বাংলাদেশের মাটিতে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি— খুঁজে বের করুন কেন সজীব ওয়াজেদ জয় হঠাৎ করে আমেরিকা চলে গেলেন। আবদুল আওয়াল মিন্টুর বাসার সামনে জনতা ব্যাংকের স্টাফের মৃত্যুর পেছনে কী ঘটেছিল, কে গাড়ি চালাচ্ছিল— এসব উত্তর খুঁজে পেলে সব রহস্য উন্মোচিত হবে।”

ডেঙ্গু: আরও ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৪৭ জন

৪ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসকে নতুন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়: নাহিদ ইসলাম

ছবি

কুমিল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪টি মাজারে হামলা, আগুন

ছবি

জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় রামপুরায় হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ: পাঁচ আসামির বিচার শুরু

ছবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিসের আবেদন

ছবি

সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

টিআইবির প্রশ্ন: ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় অতি আগ্রহ কেন?

ছবি

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি: ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে অপমানিত করা হয়েছে

ছবি

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

ছবি

আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয় নি: সিলেটে আসিফ নজরুল

ছবি

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুটি লকার জব্দ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৬২২

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘে যাচ্ছেন ফখরুল-তাহের-আখতার

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ছবি

ডেমু ট্রেন কেনায় রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের মামলা

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

tab

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: শফিক রেহমানের খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি নেই

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে মামলাটিকে ‘হয়রানিমূলক’ উল্লেখ করে শফিক রেহমানের খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী। খালাসের আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষেরও কোনো আপত্তি নেই বলে আদালতে জানানো হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন।

শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, “ভিকটিম নিজে মামলা করেননি, পুলিশ অতিরিক্ত আগ্রহে মামলা করেছে। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই, ৯০ বছর বয়সী একজন মানুষকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ মামলায় বিচার প্রক্রিয়া ছিল একপাক্ষিক।”

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (খলিল) বলেন, “এটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। শফিক রেহমান একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। তার খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি নেই।”

শুনানির সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালের আগস্টে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শফিক রেহমানসহ আরও চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান (যিনি পরে খালাস পান), জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ (সিজার) এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

২০১৬ সালে গ্রেপ্তারের পর শফিক রেহমান পাঁচ মাস কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তির পর তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। দীর্ঘ ছয় বছর পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফিরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং আপিলের শর্তে তার সাজার কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

সেদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শফিক রেহমান এই মামলাকে ‘তথাকথিত মামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই মামলা নিউ ইয়র্কে খারিজ হয়ে গেছে। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শফিক রেহমানের নাম যেন কোনো নথিতে না থাকে। অথচ বাংলাদেশের মাটিতে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি— খুঁজে বের করুন কেন সজীব ওয়াজেদ জয় হঠাৎ করে আমেরিকা চলে গেলেন। আবদুল আওয়াল মিন্টুর বাসার সামনে জনতা ব্যাংকের স্টাফের মৃত্যুর পেছনে কী ঘটেছিল, কে গাড়ি চালাচ্ছিল— এসব উত্তর খুঁজে পেলে সব রহস্য উন্মোচিত হবে।”

back to top