লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, হাসপাতালে ক্ষোভ
পটুয়াখালীর দুমকিতে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার সেই কিশোরী গতকাল শনিবার রাতে ঢাকায় আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকার আদাবর থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলেন, ‘মেয়েটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রাত ১২টার দিকে আমাদের জানানো হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এই কিশোরীর বাবা প্রাণ হারান। পটুয়াখালীর দুমকিতে বাবার কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার সময় গত মার্চে ধর্ষণের শিকার হন মেয়েটি। দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ২০ মার্চ দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন কিশোরী। আসামিদের একজন জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শাকিব মুন্সি (১৯) এবং অন্যজন স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র (১৭)।
ওইদিন রাতেই প্রধান আসামি শাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরেক আসামিকেও পরদিন আইনের আওতায় নেয়ার কথা পুলিশ জানিয়েছিল। কিশোরীর বাবা ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, তার বাবাকে পটুয়াখালীতে কবরস্থ করা হয়। বাবার কবর জিয়ারত করার পর নানাবাড়ি যাওয়ার সময় দুমকি থানা এলাকায় আসামিরা মেয়েটির পিছু নেয়। এক সময় হঠাৎ মুখ চেপে ধরে তাকে রাস্তার পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের ঘটনার ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
আলোচিত ওই ধর্ষণ ঘটনার বিচার দাবি করে আন্দোলনের নেতারা বিভিন্ন সময় বিবৃতিও দিয়েছেন। মেয়েটি ঢাকার আদাবর থানা এলাকার শেখেরটেকে পরিবারের সঙ্গে থাকছিল। গতকাল শনিবার রাতে সেখানেই সে আত্মাহুতির পথ বেছে নেয় বলে আদাবর থানার ওসি জানান। খবর জেনে রাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জড়ো হন
শহীদ পরিবারটির আত্মীয়স্বজনরা। মেয়েটির বাবার একজন চাচাতো ভাই বলছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। বিচার হবে কিনা তা নিয়েও তার মনের মধ্যে শঙ্কা ছিল।
এদিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে বাবার কবরের পাশে মেয়েটিকে দাফন করা হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে এসে রোববার,(২৭ এপ্রিল ২০২৫) ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, বেশ কয়েকজন শহীদ পরিবারের কবরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ অপমান সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, হাসপাতালে ক্ষোভ
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার সেই কিশোরী গতকাল শনিবার রাতে ঢাকায় আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকার আদাবর থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলেন, ‘মেয়েটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রাত ১২টার দিকে আমাদের জানানো হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এই কিশোরীর বাবা প্রাণ হারান। পটুয়াখালীর দুমকিতে বাবার কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার সময় গত মার্চে ধর্ষণের শিকার হন মেয়েটি। দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ২০ মার্চ দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন কিশোরী। আসামিদের একজন জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শাকিব মুন্সি (১৯) এবং অন্যজন স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র (১৭)।
ওইদিন রাতেই প্রধান আসামি শাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরেক আসামিকেও পরদিন আইনের আওতায় নেয়ার কথা পুলিশ জানিয়েছিল। কিশোরীর বাবা ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, তার বাবাকে পটুয়াখালীতে কবরস্থ করা হয়। বাবার কবর জিয়ারত করার পর নানাবাড়ি যাওয়ার সময় দুমকি থানা এলাকায় আসামিরা মেয়েটির পিছু নেয়। এক সময় হঠাৎ মুখ চেপে ধরে তাকে রাস্তার পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের ঘটনার ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
আলোচিত ওই ধর্ষণ ঘটনার বিচার দাবি করে আন্দোলনের নেতারা বিভিন্ন সময় বিবৃতিও দিয়েছেন। মেয়েটি ঢাকার আদাবর থানা এলাকার শেখেরটেকে পরিবারের সঙ্গে থাকছিল। গতকাল শনিবার রাতে সেখানেই সে আত্মাহুতির পথ বেছে নেয় বলে আদাবর থানার ওসি জানান। খবর জেনে রাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জড়ো হন
শহীদ পরিবারটির আত্মীয়স্বজনরা। মেয়েটির বাবার একজন চাচাতো ভাই বলছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। বিচার হবে কিনা তা নিয়েও তার মনের মধ্যে শঙ্কা ছিল।
এদিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে বাবার কবরের পাশে মেয়েটিকে দাফন করা হবে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে এসে রোববার,(২৭ এপ্রিল ২০২৫) ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, বেশ কয়েকজন শহীদ পরিবারের কবরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ অপমান সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’