রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের নেয়া হয় -সংবাদ
বহুল আলোচিত মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রথম দিনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে মামলার বাদীসহ সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনজন।
রোববার,(২৭ এপ্রিল ২০২৫) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
প্রথম দিনে সাক্ষ্য দিলেন মামলার বাদী আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার, প্রতিবেশী জুলি ও ভ্যানচালক রুবেল
এই মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে, প্রত্যেক কার্যদিবসেই সাক্ষ্য নেয়া হবে
এ উপলক্ষে রোববার, সকালে আসামি হিটু শেখসহ তার পরিবারের অন্য তিনজন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল দশটার পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে তাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে তোলা হয়। সেখানে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ আইনজীবীরা। আসামিদের পক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কর্তৃক মনোনীত আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন।
এ মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রতি কর্ম দিবসেই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আজ তিনজন সাক্ষীর মধ্যে মামলার বাদী আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার সাক্ষ্য দেন, পরবর্তীতে প্রতিবেশী জুলি ও শিশু আছিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভ্যানচালক রুবেলও তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এই মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে আদালত।’
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত ১০টার দিকে জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে মামলার চার আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নিহত শিশুর বোন জামাই সজিব শেখ ও তার (সজিব) ভাই রাতুল শেখকে খুন-জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। গত ১ মার্চ, শনিবার মাগুরা সদরের একটি গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় নিহত ওই শিশু। ৫ মার্চ বুধবার রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ তাকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। ৬ মার্চ সকালে তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
কিন্তু অবস্থার অবনতিতে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে। সেখানে গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবারে মারা যায় আট বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ৮ মার্চ চারজনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।
ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়। দ্রুত দোষীদের শাস্তি কার্যকরের আওয়াজ ওঠে সব মহল থেকে।
রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের নেয়া হয় -সংবাদ
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
বহুল আলোচিত মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রথম দিনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে মামলার বাদীসহ সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনজন।
রোববার,(২৭ এপ্রিল ২০২৫) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
প্রথম দিনে সাক্ষ্য দিলেন মামলার বাদী আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার, প্রতিবেশী জুলি ও ভ্যানচালক রুবেল
এই মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে, প্রত্যেক কার্যদিবসেই সাক্ষ্য নেয়া হবে
এ উপলক্ষে রোববার, সকালে আসামি হিটু শেখসহ তার পরিবারের অন্য তিনজন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল দশটার পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে তাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে তোলা হয়। সেখানে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ আইনজীবীরা। আসামিদের পক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কর্তৃক মনোনীত আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন।
এ মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রতি কর্ম দিবসেই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আজ তিনজন সাক্ষীর মধ্যে মামলার বাদী আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার সাক্ষ্য দেন, পরবর্তীতে প্রতিবেশী জুলি ও শিশু আছিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভ্যানচালক রুবেলও তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এই মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে আদালত।’
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত ১০টার দিকে জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে মামলার চার আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নিহত শিশুর বোন জামাই সজিব শেখ ও তার (সজিব) ভাই রাতুল শেখকে খুন-জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। গত ১ মার্চ, শনিবার মাগুরা সদরের একটি গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় নিহত ওই শিশু। ৫ মার্চ বুধবার রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ তাকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। ৬ মার্চ সকালে তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
কিন্তু অবস্থার অবনতিতে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে। সেখানে গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবারে মারা যায় আট বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ৮ মার্চ চারজনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।
ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়। দ্রুত দোষীদের শাস্তি কার্যকরের আওয়াজ ওঠে সব মহল থেকে।