সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিটি আবার সামনে আসতে শুরু করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকেই এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন এই দাবিতে বিক্ষোভে নামে। শুক্রবার শাহবাগ থেকে তোলা ছবি -সংবাদ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেয়।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) জুমার নামাজের পর এই কর্মসূচি শুরু হয়। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে সমাবেশে এসে অবস্থান নেন। সেখান থেকে কয়েকশ’ গজ দূরেই গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীরাও মঞ্চস্থলে যোগ দেন।
এর আগে দুপুরে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনেই জুমার নামাজ পড়েন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া বিভিন্ন পক্ষ সরব হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবরে। হাসনাতের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, জুমার নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
সমাবেশস্থলে ‘আওয়ামী লীগ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, নিষিদ্ধ করতে হবে, আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ’, ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী দল। তারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের দুঃশাসনের সময় দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাই আমরা তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী অন্যান্য সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে দেখা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি মিছিল যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এনসিপি গঠনের সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বেরিয়ে আপ বাংলাদেশ নামে আরেকটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশ গঠন করা আলী আহসান জুনাইদ ও রাফে সালমান রিফাত রাতে সেখানে যোগ দেন।
শুক্রবার ও অনড় অবস্থানের মধ্যে দুপুরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার’ উদ্যোগ নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিটি আবার সামনে আসতে শুরু করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকেই এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন এই দাবিতে বিক্ষোভে নামে। শুক্রবার শাহবাগ থেকে তোলা ছবি -সংবাদ
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেয়।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) জুমার নামাজের পর এই কর্মসূচি শুরু হয়। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে সমাবেশে এসে অবস্থান নেন। সেখান থেকে কয়েকশ’ গজ দূরেই গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীরাও মঞ্চস্থলে যোগ দেন।
এর আগে দুপুরে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনেই জুমার নামাজ পড়েন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া বিভিন্ন পক্ষ সরব হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবরে। হাসনাতের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, জুমার নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
সমাবেশস্থলে ‘আওয়ামী লীগ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, নিষিদ্ধ করতে হবে, আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ’, ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী দল। তারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের দুঃশাসনের সময় দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাই আমরা তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী অন্যান্য সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে দেখা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি মিছিল যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এনসিপি গঠনের সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বেরিয়ে আপ বাংলাদেশ নামে আরেকটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশ গঠন করা আলী আহসান জুনাইদ ও রাফে সালমান রিফাত রাতে সেখানে যোগ দেন।
শুক্রবার ও অনড় অবস্থানের মধ্যে দুপুরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার’ উদ্যোগ নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।’