সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে আটক ১৩ ভারতীয়
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে গত এপ্রিল মাসে ৪৬৪ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই মাসে ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও এপ্রিল মাস জুড়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪০০ জন বাংলাদেশিকে আটক ও ১০১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) বিজিবি সদরদপ্তর থেকে পাঠানো জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্মাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ কেজি ৪৭৮ গ্রাম স্বর্ণ, ২৫ কেজি ১২৫ গ্রাম রুপা, ৪ হাজার ৭৫ পিস শাড়ি, ২ হাজার ৩৪২টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৩ হাজার ৯৫১টি তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৯৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৯০টি ডায়মন্ডের নাকফুল, ২ হাজার ৩৫৫টি ইমিটেশন সামগ্রী, ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯টি আতশবাজি, ৪ হাজার ৩৮৫ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা পাতা,
৩৩ হাজার ৬৭ কেজি সুপারি, ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৭ কেজি চিনি, ৪৮ হাজার ১৫ কেজি সার, ২৩ হাজার ১৫০ কেজি কয়লা, ৫২৫ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৫০০টি মুঠোফোন, ২ হাজার ৩১০টি মুঠোফোনের ডিসপ্লে, ৪০ হাজার ২৫টি চশমা, ১ হাজার ৬৪৯ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩ হাজার ২১৮ কেজি ভোজ্য তেল, ১ হাজার ২২ কেজি পিঁয়াজ, ৩ হাজার ২৭২ কেজি রসুন, ১ হাজার ১৫৪ কেজি জিরা, ৩৯ হাজার ৮৭৪ কেজি ফুচকা, ২ হাজার ৩১২ কেজি শুটকি মাছ, ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৯ পিস চিংড়ি মাছের পোনা,
২ হাজার ১৪১ কেজি কফি, ৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮ পিস চকোলেট, ৮৩২টি গরু/মহিষ, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৮টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ৫টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১টি ট্রলি, ৩৬টি নৌকা, ২৯টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫০টি মোটরসাইকেল এবং ১৯টি বাইসাইকেল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি জি-৩ রাইফেল, ১টি এয়ার রাইফেল, ১টি দেশীয় পিস্তল, ১টি গাদা বন্দুক, ৯৯টি ককটেল এবং ৪০টি পেট্রোল বোমা।
এছাড়াও এপ্রিল মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ পিস ইয়াবা, ৩ কেজি ৮৩৪ গ্রাম হেরোইন, ১ কেজি ৬১৫ গ্রাম কোকেন, ৮ হাজার ১৫৩ বোতল ফেনসিডিল, ১১ হাজার ৩৯১ বোতল বিদেশি মদ, ৮৭ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৫০ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩০৩ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩১ হাজার ৩০৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ৬২৯ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ট্যাবলেট, ৮ বোতল এলএসডি এবং ৮৮ হাজার ৭৭৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে
আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৬৪ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে আটক ১৩ ভারতীয়
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে গত এপ্রিল মাসে ৪৬৪ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই মাসে ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও এপ্রিল মাস জুড়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪০০ জন বাংলাদেশিকে আটক ও ১০১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) বিজিবি সদরদপ্তর থেকে পাঠানো জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্মাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ কেজি ৪৭৮ গ্রাম স্বর্ণ, ২৫ কেজি ১২৫ গ্রাম রুপা, ৪ হাজার ৭৫ পিস শাড়ি, ২ হাজার ৩৪২টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৩ হাজার ৯৫১টি তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৯৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৯০টি ডায়মন্ডের নাকফুল, ২ হাজার ৩৫৫টি ইমিটেশন সামগ্রী, ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯টি আতশবাজি, ৪ হাজার ৩৮৫ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা পাতা,
৩৩ হাজার ৬৭ কেজি সুপারি, ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৭ কেজি চিনি, ৪৮ হাজার ১৫ কেজি সার, ২৩ হাজার ১৫০ কেজি কয়লা, ৫২৫ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৫০০টি মুঠোফোন, ২ হাজার ৩১০টি মুঠোফোনের ডিসপ্লে, ৪০ হাজার ২৫টি চশমা, ১ হাজার ৬৪৯ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩ হাজার ২১৮ কেজি ভোজ্য তেল, ১ হাজার ২২ কেজি পিঁয়াজ, ৩ হাজার ২৭২ কেজি রসুন, ১ হাজার ১৫৪ কেজি জিরা, ৩৯ হাজার ৮৭৪ কেজি ফুচকা, ২ হাজার ৩১২ কেজি শুটকি মাছ, ৪ লাখ ৮১ হাজার ৫০৯ পিস চিংড়ি মাছের পোনা,
২ হাজার ১৪১ কেজি কফি, ৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮ পিস চকোলেট, ৮৩২টি গরু/মহিষ, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৮টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ৫টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১টি ট্রলি, ৩৬টি নৌকা, ২৯টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫০টি মোটরসাইকেল এবং ১৯টি বাইসাইকেল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি জি-৩ রাইফেল, ১টি এয়ার রাইফেল, ১টি দেশীয় পিস্তল, ১টি গাদা বন্দুক, ৯৯টি ককটেল এবং ৪০টি পেট্রোল বোমা।
এছাড়াও এপ্রিল মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ পিস ইয়াবা, ৩ কেজি ৮৩৪ গ্রাম হেরোইন, ১ কেজি ৬১৫ গ্রাম কোকেন, ৮ হাজার ১৫৩ বোতল ফেনসিডিল, ১১ হাজার ৩৯১ বোতল বিদেশি মদ, ৮৭ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৫০ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩০৩ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩১ হাজার ৩০৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ৬২৯ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ট্যাবলেট, ৮ বোতল এলএসডি এবং ৮৮ হাজার ৭৭৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে
আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৬৪ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।