রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারি। কোনো কারণ ছাড়াই ব্যক্তি আক্রোশের কারণে তাকে ডেকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভুয়া অভিযোগ দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়াও কারা নীলক্ষেত মার্কেট, নিউ মার্কেটসহ অন্য মার্কেটের দোকান দখল ও চাঁদাবাজি করছে তা তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপি নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল আলম, শামসুল আলম, মো. আলমগীর হোসেন, আ. মান্নান ও মফিজুল ইসলাম শান্তসহ অন্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীল আলম পাটোয়ারি জানান, রাজধানীর ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র নিউ মার্কেট থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও জুলুমবাজদের সঙ্গে লড়াই করে ব্যবসায়ীরা যেমন ব্যবসা করে থাকেন ঠিক তেমনি ওই এলাকায় যারা রাজনীতি করে তাদেরও ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে দেয়ার বিষয়টি কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীরা মাঠ দখলে মরিয়া হয়ে তাদের বিরুদ্ধে থাকা লোক জনকে ফাঁসাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে থাকে।
গত মে মাসে তাকে হত্যা করতে তার ওপরে হামলা চালায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিউ মার্কেট থানার ওসিকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানায়। যার কারণে তার ওপর হামলার ঘটনায় তিনি কোনো মামলা করেননি। কিন্তু এরপর দিন তিনি গণমাধ্যমে দেখতে পান বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএনপি মহানগর দক্ষিণের পক্ষ থেকে তাকে কোনো ধরণের শোকজ করেনি বা তার বক্তব্য নেয়ারও প্রয়োজন বোধ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বিগত ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতি করেন। এরপর বিগত ২৭ বছরযাবত তৃণমূল কর্মী থেকে ধাপে ধাপে ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। শেখ হাসিনার সময় তার বিরুদ্ধে ১৩৭টি মামলা দেয়া হয়েছে। ১২৭ দিন পুলিশি রিমান্ড, এক মাস গুমের শিকার, কারাগারে প্রেরণের পর ডান্ডাবেরি পরানোসহ অনেক জুলম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তার পরিবারের সদস্যরাও অন্যায়-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
যাদের নিয়ে বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে লড়াই করেছেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দেখতে পাই নিউ মার্কেট এলাকায় নতুন নতুন মুখ। যাদের বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে দেখা যায়নি। এরা মার্কেটে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তিনি তাদের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ চক্র নিউ মার্কেট, কাঁচাবাজারসহ গোটা এলাকায় তাদের চাঁদাবাজি বাড়তে থাকে। এক শ্রেণীর ব্যবাসায়ীদের সহযোগিতায় তারা দিন দিন
বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিষয়টি তদন্ত ও তার রাজনৈতিক অবদান বিবেচনা করে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তার জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোড় দাবি জানান তিনি।
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারি। কোনো কারণ ছাড়াই ব্যক্তি আক্রোশের কারণে তাকে ডেকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভুয়া অভিযোগ দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়াও কারা নীলক্ষেত মার্কেট, নিউ মার্কেটসহ অন্য মার্কেটের দোকান দখল ও চাঁদাবাজি করছে তা তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপি নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল আলম, শামসুল আলম, মো. আলমগীর হোসেন, আ. মান্নান ও মফিজুল ইসলাম শান্তসহ অন্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীল আলম পাটোয়ারি জানান, রাজধানীর ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র নিউ মার্কেট থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও জুলুমবাজদের সঙ্গে লড়াই করে ব্যবসায়ীরা যেমন ব্যবসা করে থাকেন ঠিক তেমনি ওই এলাকায় যারা রাজনীতি করে তাদেরও ব্যবসায়ীদের নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে দেয়ার বিষয়টি কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীরা মাঠ দখলে মরিয়া হয়ে তাদের বিরুদ্ধে থাকা লোক জনকে ফাঁসাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে থাকে।
গত মে মাসে তাকে হত্যা করতে তার ওপরে হামলা চালায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা। বিষয়টি নিউ মার্কেট থানার ওসিকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানায়। যার কারণে তার ওপর হামলার ঘটনায় তিনি কোনো মামলা করেননি। কিন্তু এরপর দিন তিনি গণমাধ্যমে দেখতে পান বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএনপি মহানগর দক্ষিণের পক্ষ থেকে তাকে কোনো ধরণের শোকজ করেনি বা তার বক্তব্য নেয়ারও প্রয়োজন বোধ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বিগত ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতি করেন। এরপর বিগত ২৭ বছরযাবত তৃণমূল কর্মী থেকে ধাপে ধাপে ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। শেখ হাসিনার সময় তার বিরুদ্ধে ১৩৭টি মামলা দেয়া হয়েছে। ১২৭ দিন পুলিশি রিমান্ড, এক মাস গুমের শিকার, কারাগারে প্রেরণের পর ডান্ডাবেরি পরানোসহ অনেক জুলম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তার পরিবারের সদস্যরাও অন্যায়-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
যাদের নিয়ে বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে লড়াই করেছেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দেখতে পাই নিউ মার্কেট এলাকায় নতুন নতুন মুখ। যাদের বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে দেখা যায়নি। এরা মার্কেটে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তিনি তাদের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ চক্র নিউ মার্কেট, কাঁচাবাজারসহ গোটা এলাকায় তাদের চাঁদাবাজি বাড়তে থাকে। এক শ্রেণীর ব্যবাসায়ীদের সহযোগিতায় তারা দিন দিন
বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিষয়টি তদন্ত ও তার রাজনৈতিক অবদান বিবেচনা করে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তার জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোড় দাবি জানান তিনি।