শেওড়াপাড়ায় দুই বোন খুন
তিন হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরনো বাইসাইকেল কেনার উপায় খুঁজতে থাকে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় হত্যার শিকার হওয়া দুই বোন মরিয়ম বেগম (৬০) ও সুফিয়া বেগমের (৫২) আপন ভাগ্নে গোলাম রব্বানী ওরফে তাজ (১৪)। এ জন্য গত শুক্রবার শেওড়াপাড়ায় মরিয়মের বাসায় যায় সে। একপর্যায়ে বড় খালার (মরিয়ম) রুমে টিভির পাশে রাখা মানিব্যাগ থেকে সাইকেল কেনার জন্য তিন হাজার টাকা চুরি করে।
খালাদের জানাজাতেও ছিল গ্রেপ্তার কিশোর
সম্পত্তির দ্বন্দ্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
মরিয়ম বেগম চুরি করতে দেখে ফেলে ভাগ্নেকে জানায়, তুমি চুরি করেছো এটা তোমার বাবা-মাকে বলতে হবে। এ কথার পরই ডাইনিং টেবিলের ওপরে থাকা ফল কাটা ছুরি দিয়ে প্রথমে মরিয়ম বেগম ও পরে সুফিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত করে। তারা চিৎকার করায় রান্নাঘর থেকে শীল-পাটা এনে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজের পোশাক পরিবর্তন করে চলে যায়।
সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ওই কিশোরকে চিহ্নিত করার পর গতকাল রোববার রাতে বরিশালের ঝালকাঠি সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রামে মরিয়ম বেগম ও সুফিয়া বেগমের জানাজা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই কিশোরকে। হত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে সে। সোমবার,(১২ মে ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘাতক কিশোর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার বাসা থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর সোজা বড় খালা মরিয়ম বেগমের শেওড়াপাড়ার বাসায় যায়। এ সময় মাথায় লাল রঙের ক্যাপ ও মুখে মাক্স ছিল। বাসায় প্রবেশের পর বড় খালা বাসায় জানিয়ে এসেছে কিনা জানতে চাইলে তাজ উত্তরে জানায়, মা আসতেছে, আমি আগে চলে এসেছি।
এরপর বড় খালা তার জন্য শরবত বানাতে যায়। আর সেজো খালা (সুফিয়া বেগম) প্লেট বাটি ধোয়া-মোছা করে বারান্দার দিকে যায়। এই সুযোগে সে বড় খালার রুমে টিভির পাশে রাখা মানিব্যাগ থেকে সাইকেল কেনার জন্য তিন হাজার টাকা চুরি করে। বিষয়টি বড় খালা দেখে ফেললে তাকে ঝাড়ি দিয়ে তার বাবা-মাকে বলে দিবে বলে জানায়। এতে বিচলিত হয়ে রুমের মধ্যেই এলোপাতাড়ি ঘুরতে থাকে ওই কিশোর। একপর্যায়ে ডাইনিং টেবিলে
থাকা ফল কাটা ছুরি দিয়ে প্রথমে বড় খালার পেটে আঘাত করে। তখন বড় খালা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মারতে উদ্যত হলে সে পুনরায় আঘাত করে। তার বড় খালা বাঁচাও-বাঁচাও বলে চিৎকারের শব্দ শুনে সেজো খালা (সুফিয়া) পেছনের অন্য একটি রুম থেকে এসে তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। তারপর সে ওই একই চাকু দিয়ে সেজো খালার পেটে একবার আঘাত করলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান এবং বড় খালা তখনও চিল্লাচিল্লি করছিল। তারপর সে রান্নাঘরের চুলার পাশ থেকে শীল-পাটা এনে বড় খালার মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে সেজো খালাকেও আঘাত করে। তারপর সে বাথরুমে গিয়ে তার হাতে ও মুখে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করে। পাশের রুমে গিয়ে তার টি-শার্ট ও জিন্স প্যান্টে রক্ত লেগে থাকায় পরিবর্তন করে খালাতো বোনের ব্যবহৃত একটি জিন্স প্যান্ট ও তার ব্যাগে থাকা আরেকটি রঙিন টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে বাইরে থেকে তালা মেরে চাবি নিয়ে চলে যায়।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বের হয়ে সিএনজিতে করে শনিরআখড়া চলে যায় সে। কিছুদূর যাওয়ার পর বাসার চাবিগুলো ও তার পরিহিত লাল ক্যাপ রাস্তায় ফেলে দেয়। শনিরআখড়া পৌঁছানোর পর চুরির টাকা থেকে ৪৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দেয় এবং বাকি টাকায় রক্ত লেগে থাকার কারণে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। তারপর শনিরআখড়া সিএনজি থেকে নেমে একটি মার্কেটের মসজিদের টয়লেটে ঢুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে তার ব্যাগে থাকা রক্ত মাখা কাপড়গুলো টয়লেটের ভ্যান্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়।
তারপর বাসার সামনে এসে জুতায় রক্ত থাকায় সেটিও ফেলে দেন। পরদিন তার সেজো খালাকে দাফন করার জন্য নানাবাড়ি ঝালকাঠি যায় সে। পরবর্তী সময়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে তার নানাবাড়ি থেকে তাকে আটক করে। পরে তার দেখানো মতে স্টার্ন শপিং সেন্টারের পাশের সুয়ারেজ লাইনের ওপর থেকে নীল রঙের রক্ত মাখা টি-শার্ট ও ব্লু কালারের রক্ত মাখা দুটি জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে একটি তার ও একটি তার খালাতো বোনের জিন্স প্যান্ট ছিল। তার বাসার সামনে নির্জন বিল্ডিংয়ের ওপর তার ফেলে দেয়া জুতা জোড়া উদ্ধার করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার কিশোর স্কুল থেকে বহিষ্কৃত। হত্যার ঘটনায় শুধু সাইকেল কেনার উদ্দেশ্য ছিল নাকি সম্পত্তির দ্বন্দ্ব বা অন্য কিছু, সেই বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।
ডিবি সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভির তিনটা ফুটেজ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর ওইসব ফুটেজ দেখে খুনিকে শনাক্ত করা হয়। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরিয়ম বেগম ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘নার্গিস’ নামে ৬৪৯ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় বি-১ ফ্ল্যাটে থাকতেন তারা।
নিহত মরিয়মের স্বামী বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা কাজী আলাউদ্দিন মিরপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রব্বানীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ঘটনার সময় মরিয়মের স্বামী বরিশালে এবং মেয়ে নুসরাত জাহান অফিসে ছিলেন। নুসরাত বাসায় ফিরে কলিংবেল বাজালেও সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে ঢুকে মাকে ডাইনিং রুমে এবং খালাকে শোয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘরে রক্তমাখা ছুরি ও শীলনোড়া পড়ে ছিল। খাবারের টেবিলে তৈরি করা শরবতের পাশে ছিল তিনটি গ্লাস, যা ইঙ্গিত দেয়, ঘাতক ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। নুসরাত জানান, তার মা অপরিচিত কাউকে বাসায় ঢুকতে দিতেন না। ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল এবং প্রধান ফটক প্রায়ই খোলা থাকত।
শেওড়াপাড়ায় দুই বোন খুন
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
তিন হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরনো বাইসাইকেল কেনার উপায় খুঁজতে থাকে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় হত্যার শিকার হওয়া দুই বোন মরিয়ম বেগম (৬০) ও সুফিয়া বেগমের (৫২) আপন ভাগ্নে গোলাম রব্বানী ওরফে তাজ (১৪)। এ জন্য গত শুক্রবার শেওড়াপাড়ায় মরিয়মের বাসায় যায় সে। একপর্যায়ে বড় খালার (মরিয়ম) রুমে টিভির পাশে রাখা মানিব্যাগ থেকে সাইকেল কেনার জন্য তিন হাজার টাকা চুরি করে।
খালাদের জানাজাতেও ছিল গ্রেপ্তার কিশোর
সম্পত্তির দ্বন্দ্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
মরিয়ম বেগম চুরি করতে দেখে ফেলে ভাগ্নেকে জানায়, তুমি চুরি করেছো এটা তোমার বাবা-মাকে বলতে হবে। এ কথার পরই ডাইনিং টেবিলের ওপরে থাকা ফল কাটা ছুরি দিয়ে প্রথমে মরিয়ম বেগম ও পরে সুফিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত করে। তারা চিৎকার করায় রান্নাঘর থেকে শীল-পাটা এনে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজের পোশাক পরিবর্তন করে চলে যায়।
সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ওই কিশোরকে চিহ্নিত করার পর গতকাল রোববার রাতে বরিশালের ঝালকাঠি সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রামে মরিয়ম বেগম ও সুফিয়া বেগমের জানাজা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই কিশোরকে। হত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে সে। সোমবার,(১২ মে ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঘাতক কিশোর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার বাসা থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর সোজা বড় খালা মরিয়ম বেগমের শেওড়াপাড়ার বাসায় যায়। এ সময় মাথায় লাল রঙের ক্যাপ ও মুখে মাক্স ছিল। বাসায় প্রবেশের পর বড় খালা বাসায় জানিয়ে এসেছে কিনা জানতে চাইলে তাজ উত্তরে জানায়, মা আসতেছে, আমি আগে চলে এসেছি।
এরপর বড় খালা তার জন্য শরবত বানাতে যায়। আর সেজো খালা (সুফিয়া বেগম) প্লেট বাটি ধোয়া-মোছা করে বারান্দার দিকে যায়। এই সুযোগে সে বড় খালার রুমে টিভির পাশে রাখা মানিব্যাগ থেকে সাইকেল কেনার জন্য তিন হাজার টাকা চুরি করে। বিষয়টি বড় খালা দেখে ফেললে তাকে ঝাড়ি দিয়ে তার বাবা-মাকে বলে দিবে বলে জানায়। এতে বিচলিত হয়ে রুমের মধ্যেই এলোপাতাড়ি ঘুরতে থাকে ওই কিশোর। একপর্যায়ে ডাইনিং টেবিলে
থাকা ফল কাটা ছুরি দিয়ে প্রথমে বড় খালার পেটে আঘাত করে। তখন বড় খালা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মারতে উদ্যত হলে সে পুনরায় আঘাত করে। তার বড় খালা বাঁচাও-বাঁচাও বলে চিৎকারের শব্দ শুনে সেজো খালা (সুফিয়া) পেছনের অন্য একটি রুম থেকে এসে তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। তারপর সে ওই একই চাকু দিয়ে সেজো খালার পেটে একবার আঘাত করলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান এবং বড় খালা তখনও চিল্লাচিল্লি করছিল। তারপর সে রান্নাঘরের চুলার পাশ থেকে শীল-পাটা এনে বড় খালার মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে সেজো খালাকেও আঘাত করে। তারপর সে বাথরুমে গিয়ে তার হাতে ও মুখে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করে। পাশের রুমে গিয়ে তার টি-শার্ট ও জিন্স প্যান্টে রক্ত লেগে থাকায় পরিবর্তন করে খালাতো বোনের ব্যবহৃত একটি জিন্স প্যান্ট ও তার ব্যাগে থাকা আরেকটি রঙিন টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে বাইরে থেকে তালা মেরে চাবি নিয়ে চলে যায়।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বের হয়ে সিএনজিতে করে শনিরআখড়া চলে যায় সে। কিছুদূর যাওয়ার পর বাসার চাবিগুলো ও তার পরিহিত লাল ক্যাপ রাস্তায় ফেলে দেয়। শনিরআখড়া পৌঁছানোর পর চুরির টাকা থেকে ৪৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দেয় এবং বাকি টাকায় রক্ত লেগে থাকার কারণে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। তারপর শনিরআখড়া সিএনজি থেকে নেমে একটি মার্কেটের মসজিদের টয়লেটে ঢুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে তার ব্যাগে থাকা রক্ত মাখা কাপড়গুলো টয়লেটের ভ্যান্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়।
তারপর বাসার সামনে এসে জুতায় রক্ত থাকায় সেটিও ফেলে দেন। পরদিন তার সেজো খালাকে দাফন করার জন্য নানাবাড়ি ঝালকাঠি যায় সে। পরবর্তী সময়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে তার নানাবাড়ি থেকে তাকে আটক করে। পরে তার দেখানো মতে স্টার্ন শপিং সেন্টারের পাশের সুয়ারেজ লাইনের ওপর থেকে নীল রঙের রক্ত মাখা টি-শার্ট ও ব্লু কালারের রক্ত মাখা দুটি জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে একটি তার ও একটি তার খালাতো বোনের জিন্স প্যান্ট ছিল। তার বাসার সামনে নির্জন বিল্ডিংয়ের ওপর তার ফেলে দেয়া জুতা জোড়া উদ্ধার করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার কিশোর স্কুল থেকে বহিষ্কৃত। হত্যার ঘটনায় শুধু সাইকেল কেনার উদ্দেশ্য ছিল নাকি সম্পত্তির দ্বন্দ্ব বা অন্য কিছু, সেই বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।
ডিবি সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভির তিনটা ফুটেজ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর ওইসব ফুটেজ দেখে খুনিকে শনাক্ত করা হয়। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরিয়ম বেগম ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘নার্গিস’ নামে ৬৪৯ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় বি-১ ফ্ল্যাটে থাকতেন তারা।
নিহত মরিয়মের স্বামী বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা কাজী আলাউদ্দিন মিরপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রব্বানীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ঘটনার সময় মরিয়মের স্বামী বরিশালে এবং মেয়ে নুসরাত জাহান অফিসে ছিলেন। নুসরাত বাসায় ফিরে কলিংবেল বাজালেও সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে ঢুকে মাকে ডাইনিং রুমে এবং খালাকে শোয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘরে রক্তমাখা ছুরি ও শীলনোড়া পড়ে ছিল। খাবারের টেবিলে তৈরি করা শরবতের পাশে ছিল তিনটি গ্লাস, যা ইঙ্গিত দেয়, ঘাতক ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। নুসরাত জানান, তার মা অপরিচিত কাউকে বাসায় ঢুকতে দিতেন না। ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল এবং প্রধান ফটক প্রায়ই খোলা থাকত।