ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি বিরোধিতা না করলেও বিষয়টি নিয়ে দেশে সাজানো নাটক চলছে বলে অভিযোগ তার। প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবন যমুনার সামনে ও শাহবাগের আন্দোলনকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরানোর কৌশল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো অপকর্ম করার আগে এমন কৌশল শেখ হাসিনাও অবলম্বন করতেন।’
সোমবার,(১২ মে ২০২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নাসির উদ্দিন পিন্টুর মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আজকের এই বিএনপি। যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনও আশ্রয়-প্রশ্রয়
দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে।’
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ছাড়া করিডোর নিয়ে এনসিপি, জামায়াত, চরমোনাই কেউ কোনো কথা বলছে না।’
‘আমরা ভালো অবস্থানে নেই’ মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি মানবিক করিডোর দেয়া হবে, কেন, কার স্বার্থের জন্য এই করিডোর। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো করিডোর দেয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।’ মানবিক করিডোর বলে বিশ্বের কোনো ডিকশনারিতে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। অথচ এই করিডোর, সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কোনো কথা বলছে না। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারবো না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন।’
প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে এমন অভিযোগ মির্জা আব্বাসের। তিনি বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।’ বিএনপির এই নেতার প্রশ্ন, ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অথচ সরকার কিছু জানে না, তাহলে তারা জানেটা কী?’
নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি বিরোধিতা না করলেও বিষয়টি নিয়ে দেশে সাজানো নাটক চলছে বলে অভিযোগ তার। প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবন যমুনার সামনে ও শাহবাগের আন্দোলনকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরানোর কৌশল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো অপকর্ম করার আগে এমন কৌশল শেখ হাসিনাও অবলম্বন করতেন।’
সোমবার,(১২ মে ২০২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নাসির উদ্দিন পিন্টুর মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আজকের এই বিএনপি। যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কারণ আওয়ামী লীগকে বিএনপি কখনও আশ্রয়-প্রশ্রয়
দেয় না। ১৭ বছর যাদের কাছে নির্যাতিত হয়েছে বিএনপি তাদের পুনর্বাসন করবে এটি যারা বলে তারা বিএনপিকে হিংসা করে।’
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ছাড়া করিডোর নিয়ে এনসিপি, জামায়াত, চরমোনাই কেউ কোনো কথা বলছে না।’
‘আমরা ভালো অবস্থানে নেই’ মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি মানবিক করিডোর দেয়া হবে, কেন, কার স্বার্থের জন্য এই করিডোর। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো করিডোর দেয়ার অধিকার এই সরকারের নেই।’ মানবিক করিডোর বলে বিশ্বের কোনো ডিকশনারিতে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একেকটা নাম দিয়ে এসব বানানো হচ্ছে। অথচ এই করিডোর, সেন্টমার্টিন, সাজেক নিয়ে জামায়াত-এনসিপি কেউ কোনো কথা বলছে না। আমরা কেন সেন্টমার্টিন যেতে পারবো না, আমি এনসিপির ভাইদের বলতে চাই আপনারা এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন না কেন।’
প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে এমন অভিযোগ মির্জা আব্বাসের। তিনি বলেন, ‘অনেক উপদেষ্টা যারা দেশের নাগরিক না তারাই দেশ পরিচালনা করছে। মনে হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন চলছে দেশে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে। বিভিন্ন মিশন চালু হচ্ছে। সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, সরকার কারও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে, এটি দেশপ্রেমিক সরকার নয়।’ বিএনপির এই নেতার প্রশ্ন, ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অথচ সরকার কিছু জানে না, তাহলে তারা জানেটা কী?’
নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।