মাগুরায় হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দুই দিনব্যাপী লিচু মেলার উদ্বোধন -সংবাদ
মাগুরায় সদ্য জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাজরাপুরী লিচু সংগ্রহ অনুষ্ঠান ও ২ দিনব্যাপী লিচু মেলা শুরু হয়েছে। হাজরাপুর পুরাতন বাজার এলাকায় একটি বাগানে লিচু সংগ্রহের মাধ্যমে বছরের প্রথম লিচু সংগ্রহ শুরু হয়। পরে হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ২ দিনব্যাপী লিচু মেলা উদ্বোধন করা হয়।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম, কৃষি উন্নয়ন উদ্যোক্তা মিজ জেনিস ফারজানা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মদসহ অন্যরা।
সরেজমিনে নিয়ে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে দেশি জাতের লিচু সংগ্রহ করছেন। এ বছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে এবং প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন লিচু সংগ্রহ করা যাবে। লিচু ধরার সময় থেকে এ অঞ্চলের প্রায় ২৫ হাজার নারী-পুরুষ বাগানে কাজ করে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০ টাকা আয় করেন। এই অঞ্চলের ৩০টি গ্রামের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি লিচু চাষ। প্রতি বছর এই এলাকা থেকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা মূল্যের লিচু দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয়। জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে এ এলাকার লিচু আগামী বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারেও পাঠানো হবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।
মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সরকারের কাছে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তসহ জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে মাগুরা জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ বাছাই প্রক্রিয়ার পর এ বছর গত এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ প্রদান করা হয়। এটি মাগুরাবাসীর জন্য গর্বের বিষয় এবং কৃষকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় মাইল ফলক। জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে আগাম জাতের সুস্বাদু ও উচ্চ ফলনশীল হাজরাপুরী লিচুর স্বতন্ত্র ও গুণগতমানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। এর ফলে এ পণ্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ন্যায্য মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। হলে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই জেলা প্রশাসক।
মাগুরায় হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দুই দিনব্যাপী লিচু মেলার উদ্বোধন -সংবাদ
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
মাগুরায় সদ্য জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাজরাপুরী লিচু সংগ্রহ অনুষ্ঠান ও ২ দিনব্যাপী লিচু মেলা শুরু হয়েছে। হাজরাপুর পুরাতন বাজার এলাকায় একটি বাগানে লিচু সংগ্রহের মাধ্যমে বছরের প্রথম লিচু সংগ্রহ শুরু হয়। পরে হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ২ দিনব্যাপী লিচু মেলা উদ্বোধন করা হয়।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম, কৃষি উন্নয়ন উদ্যোক্তা মিজ জেনিস ফারজানা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মদসহ অন্যরা।
সরেজমিনে নিয়ে দেখা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে দেশি জাতের লিচু সংগ্রহ করছেন। এ বছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে এবং প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টন লিচু সংগ্রহ করা যাবে। লিচু ধরার সময় থেকে এ অঞ্চলের প্রায় ২৫ হাজার নারী-পুরুষ বাগানে কাজ করে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০ টাকা আয় করেন। এই অঞ্চলের ৩০টি গ্রামের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি লিচু চাষ। প্রতি বছর এই এলাকা থেকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা মূল্যের লিচু দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয়। জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে এ এলাকার লিচু আগামী বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারেও পাঠানো হবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।
মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সরকারের কাছে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তসহ জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে মাগুরা জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ বাছাই প্রক্রিয়ার পর এ বছর গত এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ প্রদান করা হয়। এটি মাগুরাবাসীর জন্য গর্বের বিষয় এবং কৃষকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় মাইল ফলক। জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে আগাম জাতের সুস্বাদু ও উচ্চ ফলনশীল হাজরাপুরী লিচুর স্বতন্ত্র ও গুণগতমানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। এর ফলে এ পণ্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ন্যায্য মূল্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। হলে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই জেলা প্রশাসক।