প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, “সংকট এড়াতে সরকারের উচিত মূল দায়িত্বে অটল থাকা।”
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রিন্স বলেন, “আমরা সরকারকে বলেছি—আপনাদের প্রধান কাজ হলো নির্বাচন। তার বাইরে গেলে বরং বিপদে পড়তে পারেন। কারণ, এটা কোনো নিয়মিত সরকার নয়, একীভূত সরকারও নয়। এখানে বিভিন্ন পথের মানুষ রয়েছে।”
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভালো নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা সংস্কার দরকার, তা দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচনি পথরেখা আগেভাগেই ঠিক করতে হবে। আমরা যতদূর সম্ভব সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেব।”
তিনি মনে করেন, “অন্তর্বর্তী সরকার রুটিন কাজ ছাড়িয়ে বড় কোনো উদ্যোগ নিলে সেটি তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং তা বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। সে কারণে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত।”
সরকারের শুরুর দিকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করারও সমালোচনা করেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, “সরকার গঠনের শুরুতেই এমন কিছু বক্তব্য এসেছে, যা মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, এবং ‘সাতচল্লিশ বনাম চব্বিশ’ এর মতো নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। আমরা আশা করব, এই বিতর্কের ইতি ঘটবে।”
এ সময় ঐকমত্য তৈরির প্রক্রিয়ায়ও সতর্কতা রাখার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, “পুরোপুরি ঐকমত্য আদায় কঠিন হলেও যতটুকু সম্ভব, তার ভিত্তিতেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।”
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে। তাদের সুপারিশের আলোকে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সিপিবি ছিল প্রথম ধাপের আলোচনায় অংশ নেওয়া ৩২টি দলের একটি।
কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও ফজলুর রহমান।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন ও মনির হায়দার।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, “সংকট এড়াতে সরকারের উচিত মূল দায়িত্বে অটল থাকা।”
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রিন্স বলেন, “আমরা সরকারকে বলেছি—আপনাদের প্রধান কাজ হলো নির্বাচন। তার বাইরে গেলে বরং বিপদে পড়তে পারেন। কারণ, এটা কোনো নিয়মিত সরকার নয়, একীভূত সরকারও নয়। এখানে বিভিন্ন পথের মানুষ রয়েছে।”
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভালো নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা সংস্কার দরকার, তা দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচনি পথরেখা আগেভাগেই ঠিক করতে হবে। আমরা যতদূর সম্ভব সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেব।”
তিনি মনে করেন, “অন্তর্বর্তী সরকার রুটিন কাজ ছাড়িয়ে বড় কোনো উদ্যোগ নিলে সেটি তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং তা বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। সে কারণে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত।”
সরকারের শুরুর দিকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করারও সমালোচনা করেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, “সরকার গঠনের শুরুতেই এমন কিছু বক্তব্য এসেছে, যা মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, এবং ‘সাতচল্লিশ বনাম চব্বিশ’ এর মতো নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। আমরা আশা করব, এই বিতর্কের ইতি ঘটবে।”
এ সময় ঐকমত্য তৈরির প্রক্রিয়ায়ও সতর্কতা রাখার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, “পুরোপুরি ঐকমত্য আদায় কঠিন হলেও যতটুকু সম্ভব, তার ভিত্তিতেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।”
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে। তাদের সুপারিশের আলোকে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সিপিবি ছিল প্রথম ধাপের আলোচনায় অংশ নেওয়া ৩২টি দলের একটি।
কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও ফজলুর রহমান।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন ও মনির হায়দার।