ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে লং মার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সাম্যের বন্ধু ও সহপাঠী সোহেল রানা সাব্বির বলেন, “আমরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মামলার গতি পর্যবেক্ষণ করব। তাতে সন্তুষ্ট না হলে কলাভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে লং মার্চ করবো।”
এ সময় সাম্য হত্যার বিচারসহ নয় দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবিগুলো হলো:
১. হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও জনসমক্ষে প্রকাশ।
২. ঘটনার সময়কার এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও প্রকাশ।
৩. হত্যার সহযোগীদের ছেড়ে দেওয়ায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনা।
৪. শাহবাগ থানার আশপাশের অস্ত্র ও মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও পুলিশের গাফিলতির বিচার।
৫. প্রশাসনের অবহেলার প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ।
৬. তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমে সাম্যের পরিবার ও সহপাঠীদের সম্পৃক্ত করা।
৭. ‘সাম্যর বিচার নিশ্চিতকরণ কমিটি’ গঠন।
৮. প্রতিবাদে অনুপস্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি সংহতির আহ্বান।
৯. ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে সাম্যের আরও এক বন্ধু এস এম নাহিয়ান অভিযোগ করেন, “এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন ও নোংরা রাজনীতি চলছে, যা আমাদের আশাহত করেছে। আমরা চাই, সাম্যর হত্যার বিচার নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস ঐক্যবদ্ধ হোক।”
এ সময় ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হোসনে আরা বেগম, অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল হালিম ও রাহুল চন্দ্র শাহসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ১২টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার বড় ভাই শরীফুল আলম শাহবাগ থানায় মামলা করেন, যেখানে ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাম্য ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে।
এর আগে রোববার শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল। উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে লং মার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সাম্যের বন্ধু ও সহপাঠী সোহেল রানা সাব্বির বলেন, “আমরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মামলার গতি পর্যবেক্ষণ করব। তাতে সন্তুষ্ট না হলে কলাভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে লং মার্চ করবো।”
এ সময় সাম্য হত্যার বিচারসহ নয় দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবিগুলো হলো:
১. হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও জনসমক্ষে প্রকাশ।
২. ঘটনার সময়কার এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও প্রকাশ।
৩. হত্যার সহযোগীদের ছেড়ে দেওয়ায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনা।
৪. শাহবাগ থানার আশপাশের অস্ত্র ও মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও পুলিশের গাফিলতির বিচার।
৫. প্রশাসনের অবহেলার প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ।
৬. তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমে সাম্যের পরিবার ও সহপাঠীদের সম্পৃক্ত করা।
৭. ‘সাম্যর বিচার নিশ্চিতকরণ কমিটি’ গঠন।
৮. প্রতিবাদে অনুপস্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি সংহতির আহ্বান।
৯. ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে সাম্যের আরও এক বন্ধু এস এম নাহিয়ান অভিযোগ করেন, “এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন ও নোংরা রাজনীতি চলছে, যা আমাদের আশাহত করেছে। আমরা চাই, সাম্যর হত্যার বিচার নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস ঐক্যবদ্ধ হোক।”
এ সময় ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হোসনে আরা বেগম, অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল হালিম ও রাহুল চন্দ্র শাহসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ১২টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার বড় ভাই শরীফুল আলম শাহবাগ থানায় মামলা করেন, যেখানে ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাম্য ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে।
এর আগে রোববার শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল। উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করে সংগঠনটি।