সম্প্রতি দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার উত্তরণে ‘দ্রুত নির্বাচনে জোর দিয়েছেন’ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সেনাপ্রধান ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন- এমন তথ্য দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে।
ওই অনুষ্ঠানে ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যে করিডোর, বন্দর, সংস্কারের মতো বিষয়ও উঠে এসেছে বলে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে সেনাপ্রধানের এমন অবস্থান রাজনীতি সচেতন মানুষের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তার বক্তব্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুকে অনেকেই পোস্ট করেছেন।
সায়েরের পোস্ট
যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেইসবুক পোস্টে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ও অন্য কর্মকর্তাদের আলোচনার সারবস্তু তুলে ধরেছেন। তিনি তথ্যের উৎস হিসেবে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কথা বলেছেন।
করিডোর
সায়ের লিখেছেন, করিডোর, বন্দর ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকার নেবে বলে সেনাপ্রধান স্পষ্ট করেছেন। প্রবাসী এই সাংবাদিক পোস্টে লিখেছেন, ‘সেনাপ্রধান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন- কোন করিডোর হবে না।’ সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে সায়ের তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তি বিদেশ থেকে আসবে এবং এ দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে জানার ও নিজ মতানুযায়ী প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। কাজ হয়ে গেলে সংক্ষিপ্ত সফর শেষ করে ফিরে যাবে এমনটা হতে পারে না।’
সংস্কার, পরামর্শ
জুলকারনাইন সায়ের লিখেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সম্পর্কে সেনাবাহিনী কিছুই জানত না। এ বিষয়ে জাতিসংঘকে সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, সরকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করেনি।
সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে সায়ের লিখেন, সংস্কার নিয়ে সেনাবাহিনীর পরামর্শ সরকার আমলে নেয়নি। এই কয়েক মাসে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সংস্কার দেখা যায়নি।
*প্রক্সি-যুদ্ধ*
ওয়াকার-উজ-জামান সতর্ক করেছেন, বর্তমান প্রশাসন অজান্তেই বাংলাদেশকে ‘বিদেশি শক্তিগুলোর জন্য একটি যুদ্ধক্ষেত্রের ময়দানের’ দিকে ধাবিত করছে একটি ‘প্রক্সি যুদ্ধ’।
সায়েরের তথ্য অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে সেনাপ্রধান বলেছেন, তারা সরকার পরিচালনার বিষয়ে অনভিজ্ঞ, সেই কারণে দেশ পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক
সরকারের বিকল্প নেই। জেনারেল ওয়াকার বলেছেন, সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাওয়া উচিত, তবে নির্বাচনের পরেও সেনাবাহিনীকে ‘কয়েক মাস’ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে হতে পারে।
গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার পাশাপাশি অনেক সেনাকর্মকর্তা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
*বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন *
সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে দেশের একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেছেন, এ বিষয়ে তার অবস্থান আগের মতোই। দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে।
‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’ বলে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেনÑ এমন তথ্য দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে।
*জাতীয় স্বার্থ*
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরসংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। যা করার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই করতে হবে। যা-ই করা হোক না কেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে সেটা হতে হবে।
দেশের আরেকটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, পটপরিবর্তনের পর থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টার পরও কিছু মহল সেনাপ্রধান ও বাহিনীকে ‘অন্যায্যভাবে’ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।
*সার্বভৌমত্ব*
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কর্মকা-ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো যুক্ত হবে না। কাউকে তা করতেও দেয়া হবে না। এই বাস্তবতায় সব পর্যায়ের সেনাসদস্যকে নিরপেক্ষ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আগামীতে নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান।
একটি ইংরেজি দৈনিক লিখেছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেয়া নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেছেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
সংস্কার প্রসঙ্গে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, কী সংস্কার হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা আলোচনা করা হয়নি।
*মব ভায়োলেন্স*
একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ‘মব ভায়োলেন্সের’ বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনী এখন আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।
সংঘবদ্ধ জনতার নামে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ‘আর সহ্য করা হবে না’- এমন হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধান দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আরেকটি জাতীয় দৈনিক।
এসব বক্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
সম্প্রতি দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার উত্তরণে ‘দ্রুত নির্বাচনে জোর দিয়েছেন’ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সেনাপ্রধান ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন- এমন তথ্য দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে।
ওই অনুষ্ঠানে ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যে করিডোর, বন্দর, সংস্কারের মতো বিষয়ও উঠে এসেছে বলে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে সেনাপ্রধানের এমন অবস্থান রাজনীতি সচেতন মানুষের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তার বক্তব্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুকে অনেকেই পোস্ট করেছেন।
সায়েরের পোস্ট
যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেইসবুক পোস্টে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ও অন্য কর্মকর্তাদের আলোচনার সারবস্তু তুলে ধরেছেন। তিনি তথ্যের উৎস হিসেবে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কথা বলেছেন।
করিডোর
সায়ের লিখেছেন, করিডোর, বন্দর ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকার নেবে বলে সেনাপ্রধান স্পষ্ট করেছেন। প্রবাসী এই সাংবাদিক পোস্টে লিখেছেন, ‘সেনাপ্রধান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন- কোন করিডোর হবে না।’ সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে সায়ের তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তি বিদেশ থেকে আসবে এবং এ দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে জানার ও নিজ মতানুযায়ী প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। কাজ হয়ে গেলে সংক্ষিপ্ত সফর শেষ করে ফিরে যাবে এমনটা হতে পারে না।’
সংস্কার, পরামর্শ
জুলকারনাইন সায়ের লিখেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সম্পর্কে সেনাবাহিনী কিছুই জানত না। এ বিষয়ে জাতিসংঘকে সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, সরকারকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করেনি।
সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে সায়ের লিখেন, সংস্কার নিয়ে সেনাবাহিনীর পরামর্শ সরকার আমলে নেয়নি। এই কয়েক মাসে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সংস্কার দেখা যায়নি।
*প্রক্সি-যুদ্ধ*
ওয়াকার-উজ-জামান সতর্ক করেছেন, বর্তমান প্রশাসন অজান্তেই বাংলাদেশকে ‘বিদেশি শক্তিগুলোর জন্য একটি যুদ্ধক্ষেত্রের ময়দানের’ দিকে ধাবিত করছে একটি ‘প্রক্সি যুদ্ধ’।
সায়েরের তথ্য অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে সেনাপ্রধান বলেছেন, তারা সরকার পরিচালনার বিষয়ে অনভিজ্ঞ, সেই কারণে দেশ পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক
সরকারের বিকল্প নেই। জেনারেল ওয়াকার বলেছেন, সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাওয়া উচিত, তবে নির্বাচনের পরেও সেনাবাহিনীকে ‘কয়েক মাস’ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে হতে পারে।
গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার পাশাপাশি অনেক সেনাকর্মকর্তা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
*বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন *
সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে দেশের একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেছেন, এ বিষয়ে তার অবস্থান আগের মতোই। দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে।
‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’ বলে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেনÑ এমন তথ্য দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে।
*জাতীয় স্বার্থ*
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরসংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। যা করার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই করতে হবে। যা-ই করা হোক না কেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে সেটা হতে হবে।
দেশের আরেকটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, পটপরিবর্তনের পর থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টার পরও কিছু মহল সেনাপ্রধান ও বাহিনীকে ‘অন্যায্যভাবে’ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।
*সার্বভৌমত্ব*
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কর্মকা-ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো যুক্ত হবে না। কাউকে তা করতেও দেয়া হবে না। এই বাস্তবতায় সব পর্যায়ের সেনাসদস্যকে নিরপেক্ষ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আগামীতে নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান।
একটি ইংরেজি দৈনিক লিখেছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেয়া নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেছেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
সংস্কার প্রসঙ্গে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, কী সংস্কার হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা আলোচনা করা হয়নি।
*মব ভায়োলেন্স*
একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ‘মব ভায়োলেন্সের’ বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনী এখন আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।
সংঘবদ্ধ জনতার নামে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ‘আর সহ্য করা হবে না’- এমন হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধান দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আরেকটি জাতীয় দৈনিক।
এসব বক্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।