এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কোটা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতদিন এসব প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষক পদের মধ্যে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলে ২০ শতাংশ পদে নারী প্রার্থী নিয়োগ বাধ্যতামূলক ছিল।
এ আদেশ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরের দিন থেকে কার্যকর হবে
তবে বেসরকারি গার্লস স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি মহিলা কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নারী প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন
বৃহস্পতিবার,(২২ মে ২০২৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
গত ১৫ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক স্তরে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে নারী কোটা থাকবে না।
এর ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) নারী কোটায় নির্ধারিত পদগুলোতে পুরুষ প্রার্থীদের সুপারিশ করতো না। এখন সে বাধ্যবাধকতা নেই।
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের এ আদেশ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরের দিন থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)’ এবং কলেজে ‘শরীর চর্চা শিক্ষক’ পদে নিয়োগের নিমিত্তে শিক্ষাগত যোগ্যতা (নূন্যতম) ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও আগের শর্ত অনুযায়ী বেসরকারি গার্লস স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি মহিলা কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নারী প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর পরিচালক কাজী কামরুল আহছান জানান, ২০১২ সালের এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে মহিলা প্রার্থীদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ওই সময় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক পদের ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক পদের ২০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
তবে হাওর অঞ্চল ও দুর্গম এলাকা এবং তিন পার্বত্য জেলার পৌরসভা এলাকা ছাড়া অন্য স্থানের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী প্রার্থীদের জন্য কোনো কোটা নির্ধারিত ছিল না বলেও জানান কাজী কামরুল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত বছরের ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারি চাকরির কোটার নতুন বিন্যাস ঠিক করে দিয়ে আদেশ জারি করে সরকার।
ওই আদেশে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৯৩ শতাংশ পদে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কোটা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতদিন এসব প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষক পদের মধ্যে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলে ২০ শতাংশ পদে নারী প্রার্থী নিয়োগ বাধ্যতামূলক ছিল।
এ আদেশ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরের দিন থেকে কার্যকর হবে
তবে বেসরকারি গার্লস স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি মহিলা কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নারী প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন
বৃহস্পতিবার,(২২ মে ২০২৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
গত ১৫ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক স্তরে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে নারী কোটা থাকবে না।
এর ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) নারী কোটায় নির্ধারিত পদগুলোতে পুরুষ প্রার্থীদের সুপারিশ করতো না। এখন সে বাধ্যবাধকতা নেই।
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের এ আদেশ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরের দিন থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)’ এবং কলেজে ‘শরীর চর্চা শিক্ষক’ পদে নিয়োগের নিমিত্তে শিক্ষাগত যোগ্যতা (নূন্যতম) ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও আগের শর্ত অনুযায়ী বেসরকারি গার্লস স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি মহিলা কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নারী প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর পরিচালক কাজী কামরুল আহছান জানান, ২০১২ সালের এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে মহিলা প্রার্থীদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ওই সময় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক পদের ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক পদের ২০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
তবে হাওর অঞ্চল ও দুর্গম এলাকা এবং তিন পার্বত্য জেলার পৌরসভা এলাকা ছাড়া অন্য স্থানের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী প্রার্থীদের জন্য কোনো কোটা নির্ধারিত ছিল না বলেও জানান কাজী কামরুল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত বছরের ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারি চাকরির কোটার নতুন বিন্যাস ঠিক করে দিয়ে আদেশ জারি করে সরকার।
ওই আদেশে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৯৩ শতাংশ পদে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।