মালিক সুভাষের সঙ্গে রাজবাড়ীর ‘রাজা’ -সংবাদ
রাজবাড়ীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২০ মণ ওজনের শাহীওয়াল জাতের একটি বিশাল বড় ষাঁড়। গরুটির মালিক আদর করে নাম রেখেছে রাজবাড়ীর ‘রাজা’। গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা।
চলতি বছরে জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে মোট ৪৭ হাজার ৯৬৩টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬০১টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ৬ হাজার ৩৬২টি
সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শুভাষ শিকদার । প্রায় চার বছর ধরে নিজ বাড়িতেই লালন-পালন করছে রাজবাড়ীর রাজাকে। ছয় দাঁতের হালকা বাদামি রঙয়ের রাজবাড়ীর রাজার ওজন প্রায় ২০ মণ। রাজার উচ্চতা ছয় ফুট ও লম্বায় প্রায় সাত ফুট। বুকের চওড়া সাড়ে ছয় ফুট। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার বাজার মাতাবে রাজবাড়ীর এই রাজা, এমনটাই আশা মালিকের।
শুভাষ শিকদার বলেন, ‘এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য রাজাকে প্রস্তুত করছি। প্রায় চার বছর ধরে রাজাকে আমি সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। এটার ওজন ১৮ থেকে ১৯ মণ হবে। এটি শাহিওয়াল জাতের। আমি শুকনো খড় এবং ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভুসি খাওয়াই রাজাকে। এছাড়া আমি নিজে কাঁচা ঘাস কেটে এনে সেই ঘাস খাওয়াই। প্রতিদিন দুই বেলা গোসল করায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রামাঞ্চলের মানুষ। শহরের হাট-বাজার খুব বেশি একটা চিনি না। আর চিনলেও আমার দ্বারা এত বড় গরু হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা সম্ভব না। আমার ইচ্ছা, ভালো খরিদদার পেলে বাড়ি থেকে দাম কম/বেশি করে বিক্রি করে দিতাম। আমি রাজাকে বিক্রির জন্য ৮ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি।’
সুবাস শিকদারের ছেলে প্রশান্ত শিকদার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমার বাবা ৪/৫ বছর ধরে গরুটা লালন-পালন করছে। আমরা সবাই তারে সহযোগিতা করেছি। অনেক টাকা খরচ হয়েছে এর পিছনে। যদি কোনো লোক কিনতে চায়, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, কাছে এসে দেখে দাম-দর করে নিবে। গরুটা বিক্রি করার টার্গেট সাড়ে ৮ লাখ টাকা।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায়
কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে মোট ৪৭ হাজার ৯৬৩টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ২৪ হাজার ২৬০টি, মহিষ রয়েছে ২৩২টি, ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য মিলে রয়েছে ২৩ হাজার ৪৭১টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬০১টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ৬ হাজার ৩৬২টি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রশান্ত শিকদার একটা গরু মোটাতাজাকরণ করেছে। গরুটি শাহীওয়াল জাতের গরু। বয়স প্রায় ৪ বছর। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ মণ ওজন হবে। গরুটি সে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করেছে। খুব সুন্দর সুস্থ একটা গরু। তিনি আমাদের প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করেছে এবং আমাদের পরামর্শে লালন-পালন করেছে।
মালিক সুভাষের সঙ্গে রাজবাড়ীর ‘রাজা’ -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
রাজবাড়ীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২০ মণ ওজনের শাহীওয়াল জাতের একটি বিশাল বড় ষাঁড়। গরুটির মালিক আদর করে নাম রেখেছে রাজবাড়ীর ‘রাজা’। গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা।
চলতি বছরে জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে মোট ৪৭ হাজার ৯৬৩টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬০১টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ৬ হাজার ৩৬২টি
সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শুভাষ শিকদার । প্রায় চার বছর ধরে নিজ বাড়িতেই লালন-পালন করছে রাজবাড়ীর রাজাকে। ছয় দাঁতের হালকা বাদামি রঙয়ের রাজবাড়ীর রাজার ওজন প্রায় ২০ মণ। রাজার উচ্চতা ছয় ফুট ও লম্বায় প্রায় সাত ফুট। বুকের চওড়া সাড়ে ছয় ফুট। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার বাজার মাতাবে রাজবাড়ীর এই রাজা, এমনটাই আশা মালিকের।
শুভাষ শিকদার বলেন, ‘এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য রাজাকে প্রস্তুত করছি। প্রায় চার বছর ধরে রাজাকে আমি সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। এটার ওজন ১৮ থেকে ১৯ মণ হবে। এটি শাহিওয়াল জাতের। আমি শুকনো খড় এবং ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভুসি খাওয়াই রাজাকে। এছাড়া আমি নিজে কাঁচা ঘাস কেটে এনে সেই ঘাস খাওয়াই। প্রতিদিন দুই বেলা গোসল করায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রামাঞ্চলের মানুষ। শহরের হাট-বাজার খুব বেশি একটা চিনি না। আর চিনলেও আমার দ্বারা এত বড় গরু হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা সম্ভব না। আমার ইচ্ছা, ভালো খরিদদার পেলে বাড়ি থেকে দাম কম/বেশি করে বিক্রি করে দিতাম। আমি রাজাকে বিক্রির জন্য ৮ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি।’
সুবাস শিকদারের ছেলে প্রশান্ত শিকদার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমার বাবা ৪/৫ বছর ধরে গরুটা লালন-পালন করছে। আমরা সবাই তারে সহযোগিতা করেছি। অনেক টাকা খরচ হয়েছে এর পিছনে। যদি কোনো লোক কিনতে চায়, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, কাছে এসে দেখে দাম-দর করে নিবে। গরুটা বিক্রি করার টার্গেট সাড়ে ৮ লাখ টাকা।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায়
কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে মোট ৪৭ হাজার ৯৬৩টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ২৪ হাজার ২৬০টি, মহিষ রয়েছে ২৩২টি, ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য মিলে রয়েছে ২৩ হাজার ৪৭১টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬০১টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ৬ হাজার ৩৬২টি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রশান্ত শিকদার একটা গরু মোটাতাজাকরণ করেছে। গরুটি শাহীওয়াল জাতের গরু। বয়স প্রায় ৪ বছর। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ মণ ওজন হবে। গরুটি সে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করেছে। খুব সুন্দর সুস্থ একটা গরু। তিনি আমাদের প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করেছে এবং আমাদের পরামর্শে লালন-পালন করেছে।