সৎ মায়ের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক টি এম জোবায়েরের ‘অবৈধ’ সম্পদ ‘স্থানান্তরের চেষ্টার’ অভিযোগ থাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের এক সদস্যসহ দুইজনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। এ দুইজন হলেন জোবায়েরের ভায়রা খন্দকার আবুল কাইয়ূম ও এনবিআর সদস্য আবু সাঈদ মো. মুস্তাক।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার,(২২ মে ২০২৫) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেয়। এ দিন একই আদালত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর সাবেক মহাপরিচালক শেখ মামুন খালেদ ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা খালেদের বিদেশ যাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য দিয়েছেন। দুদকের পরিচালক মো. মনজুর আলমের আবেদনে বলা হয়েছে, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক জোবায়েরের বিরুদ্ধে ‘নিয়োগ বাণিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে ‘অবৈধ’ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ‘২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ডে লন্ডনে বাড়ি কেনাসহ বিদেশে অর্থ পাচারের’ অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এনবিআর সদস্য আবু সাঈদ নিজে উদ্যোগে এবং খন্দকার আবুল কাইয়ূম বিভিন্ন উপায়ে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে জোবায়েরের ‘অবৈধ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তর’ করেছেন। তারা দুইজন বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলেও জানতে পেরেছে দুদক। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন বলে দুদক মনে করছে। গত বছরের ৬ অক্টোবর জোবায়ের ও তার স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এরপর গত ২১ এপ্রিল জোবায়েরের ট্রাস্ট ব্যাংকের পাঁচটি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আসে।
স্ত্রীসহ ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর সাবেক মহাপরিচালক শেখ মামুন খালেদ ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা খালেদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মামুন খালেদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ শেয়ার ব্যবসা, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে’ পরিবারের সদস্য ও নিজ নামে ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।
শাওন-হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন, ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা-ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া অন্য আসামিরা হলেন ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসআই শাহ আলম ও মোখলেছুর রহমান মিল্টন।
এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। এ দিন তারা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ দিন মামলার তারিখ ধার্য ছিল। মামলা চলমান থাকাবস্থায় আসামিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন এজন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
আগামী ১ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে বলে বেঞ্চ সহকারী বলেছেন। জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে মোহাম্মদ আলী ‘আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে, প্রলোভন দেখিয়ে’ নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির নিশির বাড়ি এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখতে ‘হুমকি’ দেন। এরপর ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী নিজের অসুস্থতার কথা বলে তাকে গুলশানের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে তার আগের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান তিনি।
নিশির অভিযোগ, গুলশানের বাসা থেকে অন্য আসামিরা মিলে তাকে ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন’। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা নিশির বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শাওন তাকে ‘বেধড়ক মারধর’ করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান।
ওই বছরের ২৪ এপ্রিল তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেন পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্য আসামিরা মারধর করেন। এ সময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে নিশির বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মাদক কারবারি সাজায় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগের’ কথা বলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাওনকে আটক করে পুলিশ। তার আগে জামালপুরে তার গ্রামের বাড়িতে আগুন দেয়ার খবর আসে। পরদিন ‘পরিবারের জিম্মায়’ ছেড়ে দেয়ার কথা জানায় পুলিশ।
সৎ মায়ের মামলায় অভিনেত্রী শাওনসহ ১২ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক টি এম জোবায়েরের ‘অবৈধ’ সম্পদ ‘স্থানান্তরের চেষ্টার’ অভিযোগ থাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের এক সদস্যসহ দুইজনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। এ দুইজন হলেন জোবায়েরের ভায়রা খন্দকার আবুল কাইয়ূম ও এনবিআর সদস্য আবু সাঈদ মো. মুস্তাক।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার,(২২ মে ২০২৫) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেয়। এ দিন একই আদালত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর সাবেক মহাপরিচালক শেখ মামুন খালেদ ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা খালেদের বিদেশ যাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য দিয়েছেন। দুদকের পরিচালক মো. মনজুর আলমের আবেদনে বলা হয়েছে, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক জোবায়েরের বিরুদ্ধে ‘নিয়োগ বাণিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে ‘অবৈধ’ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ‘২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ডে লন্ডনে বাড়ি কেনাসহ বিদেশে অর্থ পাচারের’ অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এনবিআর সদস্য আবু সাঈদ নিজে উদ্যোগে এবং খন্দকার আবুল কাইয়ূম বিভিন্ন উপায়ে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে জোবায়েরের ‘অবৈধ স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তর’ করেছেন। তারা দুইজন বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলেও জানতে পেরেছে দুদক। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখা প্রয়োজন বলে দুদক মনে করছে। গত বছরের ৬ অক্টোবর জোবায়ের ও তার স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এরপর গত ২১ এপ্রিল জোবায়েরের ট্রাস্ট ব্যাংকের পাঁচটি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আসে।
স্ত্রীসহ ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এর সাবেক মহাপরিচালক শেখ মামুন খালেদ ও তার স্ত্রী নিগার সুলতানা খালেদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মামুন খালেদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ শেয়ার ব্যবসা, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে’ পরিবারের সদস্য ও নিজ নামে ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।
শাওন-হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন, ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা-ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া অন্য আসামিরা হলেন ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসআই শাহ আলম ও মোখলেছুর রহমান মিল্টন।
এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। এ দিন তারা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ দিন মামলার তারিখ ধার্য ছিল। মামলা চলমান থাকাবস্থায় আসামিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন এজন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
আগামী ১ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে বলে বেঞ্চ সহকারী বলেছেন। জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে মোহাম্মদ আলী ‘আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে, প্রলোভন দেখিয়ে’ নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির নিশির বাড়ি এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখতে ‘হুমকি’ দেন। এরপর ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী নিজের অসুস্থতার কথা বলে তাকে গুলশানের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে তার আগের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান তিনি।
নিশির অভিযোগ, গুলশানের বাসা থেকে অন্য আসামিরা মিলে তাকে ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন’। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা নিশির বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শাওন তাকে ‘বেধড়ক মারধর’ করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান।
ওই বছরের ২৪ এপ্রিল তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেন পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্য আসামিরা মারধর করেন। এ সময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে নিশির বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মাদক কারবারি সাজায় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগের’ কথা বলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাওনকে আটক করে পুলিশ। তার আগে জামালপুরে তার গ্রামের বাড়িতে আগুন দেয়ার খবর আসে। পরদিন ‘পরিবারের জিম্মায়’ ছেড়ে দেয়ার কথা জানায় পুলিশ।