সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় ‘সম্পদের তথ্য গোপনের’ অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার,(২২ মে ২০২৫) সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
দুদকের তরফে নির্বাচন কমিশন সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে দাখিলকৃত হলফনামায় নিজের সম্পদের বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২- এর আওতায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদকে শেখ হাসিনার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে হলফনামায় ৬ দশমিক ৫০ একর কৃষিজমি এবং তার দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। কিন্তু দুদক যাচাই করে দেখেছে, শেখ হাসিনার নামে ২৮ দশমিক ৪১১ একর কৃষিজমি রয়েছে। যার মধ্যে কেনার জমির মোট দাম ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০ টাকা। এ হিসেবে তিনি ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথ্য গোপন করেছেন এবং ক্রয়মূল্যও প্রকৃত দামের চেয়ে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০ টাকা কম দেখিয়েছেন, যা হলফনামায় ‘অসত্য তথ্য দেয়ার শামিল’।
এছাড়া চিঠিতে আরেকটি অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তৎকালীন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের শুল্কমুক্ত কোটা ব্যবহার করে ২ লাখ ৩০ হাজার ইউরো দামের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি আমদানি করেন। ঋণপত্র-এলসির বিপরীতে ব্যাংক থেকে মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। গাড়িটি তার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধাসদনের ঠিকানায়’ নিবন্ধন করা হয়। গাড়িটি তিনিই ‘ব্যবহার করেছেন’।
তবে সিরাজুল আকবরের আয়কর রিটার্ন কিংবা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় এ গাড়ির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং তিনি নিজেও কখনও সেটি ব্যবহার করেননি বলে জানা যায়। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ‘হত্যা, হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় ‘সম্পদের তথ্য গোপনের’ অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার,(২২ মে ২০২৫) সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
দুদকের তরফে নির্বাচন কমিশন সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে দাখিলকৃত হলফনামায় নিজের সম্পদের বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২- এর আওতায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদকে শেখ হাসিনার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে হলফনামায় ৬ দশমিক ৫০ একর কৃষিজমি এবং তার দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। কিন্তু দুদক যাচাই করে দেখেছে, শেখ হাসিনার নামে ২৮ দশমিক ৪১১ একর কৃষিজমি রয়েছে। যার মধ্যে কেনার জমির মোট দাম ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০ টাকা। এ হিসেবে তিনি ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথ্য গোপন করেছেন এবং ক্রয়মূল্যও প্রকৃত দামের চেয়ে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০ টাকা কম দেখিয়েছেন, যা হলফনামায় ‘অসত্য তথ্য দেয়ার শামিল’।
এছাড়া চিঠিতে আরেকটি অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তৎকালীন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের শুল্কমুক্ত কোটা ব্যবহার করে ২ লাখ ৩০ হাজার ইউরো দামের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি আমদানি করেন। ঋণপত্র-এলসির বিপরীতে ব্যাংক থেকে মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। গাড়িটি তার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধাসদনের ঠিকানায়’ নিবন্ধন করা হয়। গাড়িটি তিনিই ‘ব্যবহার করেছেন’।
তবে সিরাজুল আকবরের আয়কর রিটার্ন কিংবা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় এ গাড়ির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং তিনি নিজেও কখনও সেটি ব্যবহার করেননি বলে জানা যায়। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ‘হত্যা, হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।