ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ওই সময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের অধিকাংশই এক–দুই দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই–আগস্ট ২০২৪–এর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কিছু কুচক্রী মহলের তৎপরতায় দেশে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে। এ সময় সরকারি অফিস ও থানা হামলার শিকার হয়, রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ছিলেন, আশ্রয় প্রার্থনা করেন। আকস্মিক অস্থিরতায় সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাইয়ের চেয়ে তাদের জীবন রক্ষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, ১২ জন বিভিন্ন পেশার ব্যক্তি এবং ৫১ জন পরিবারের সদস্যসহ মোট ৬২৬ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
আইএসপিআর জানায়, সেনানিবাসে অবস্থানকারীদের বিষয়ে গত ১৮ আগস্ট একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল এবং একই দিনে ১৯৩ জনের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় ৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য এবং ১ জন এনএসআই সদস্য অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সেনাবাহিনী জানায়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই ওই সময় সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তৎকালীন পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ছিল। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। এ পরিস্থিতিতে ৬২৬ জন আশ্রয়গ্রহণকারীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।
সবাইকে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সেনাবাহিনী জানায়, তারা পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ওই সময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের অধিকাংশই এক–দুই দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই–আগস্ট ২০২৪–এর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কিছু কুচক্রী মহলের তৎপরতায় দেশে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে। এ সময় সরকারি অফিস ও থানা হামলার শিকার হয়, রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও ছিলেন, আশ্রয় প্রার্থনা করেন। আকস্মিক অস্থিরতায় সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাইয়ের চেয়ে তাদের জীবন রক্ষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এ প্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, ১২ জন বিভিন্ন পেশার ব্যক্তি এবং ৫১ জন পরিবারের সদস্যসহ মোট ৬২৬ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
আইএসপিআর জানায়, সেনানিবাসে অবস্থানকারীদের বিষয়ে গত ১৮ আগস্ট একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল এবং একই দিনে ১৯৩ জনের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় ৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য এবং ১ জন এনএসআই সদস্য অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সেনাবাহিনী জানায়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই ওই সময় সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তৎকালীন পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ছিল। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। এ পরিস্থিতিতে ৬২৬ জন আশ্রয়গ্রহণকারীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে প্রকাশ করা হয়।
সবাইকে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সেনাবাহিনী জানায়, তারা পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।