বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সরকার নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “অনেকে আমাদের সমালোচনা করেন, অথর্ব বলেন—সমালোচনা করবেন ঠিক আছে, কিন্তু এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।”
শুক্রবার সকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড–২০২৫-এর জাতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।
আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “অনেক ধরনের করছাড় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পরদিনই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আইএমএফের চাপ ছিল, কিন্তু এবার তারা আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারেনি—আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি।”
অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সাধারণ মানুষের পছন্দ–অপছন্দ সামলানো সহজ নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ ও পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “অর্থনীতি একটি প্রায়োগিক বিজ্ঞান। তাই একে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে জনপ্রিয় করতে হবে। এবার অলিম্পিয়াডে ২০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে, যা আমাদের আগ্রহ ও সচেতনতার ইঙ্গিত দেয়।”
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, “প্রতি দশকে ১ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তা সবার কাছে পৌঁছায়নি, বরং বৈষম্য বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তরুণ বেকারত্ব এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মাসরুর আরেফিন বলেন, “গত ৯ মাসে হয়তো বড় কোনো অর্জন আসেনি, কিন্তু ব্যাংক খাতের অনিয়ম বন্ধ হওয়া এবং টাকা পাচার রোধ করা হয়েছে—এটাই বড় সাফল্য। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা নতুন উদ্বেগ তৈরি করছে।”
সপ্তমবারের আয়োজনে এবার সারা দেশের ২০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৫ জনকে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের হাতে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়। এই পাঁচজন আজারবাইজানে আন্তর্জাতিক ইকোনমিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সরকার নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “অনেকে আমাদের সমালোচনা করেন, অথর্ব বলেন—সমালোচনা করবেন ঠিক আছে, কিন্তু এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।”
শুক্রবার সকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড–২০২৫-এর জাতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।
আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “অনেক ধরনের করছাড় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পরদিনই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আইএমএফের চাপ ছিল, কিন্তু এবার তারা আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারেনি—আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি।”
অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সাধারণ মানুষের পছন্দ–অপছন্দ সামলানো সহজ নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ ও পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “অর্থনীতি একটি প্রায়োগিক বিজ্ঞান। তাই একে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে জনপ্রিয় করতে হবে। এবার অলিম্পিয়াডে ২০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে, যা আমাদের আগ্রহ ও সচেতনতার ইঙ্গিত দেয়।”
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, “প্রতি দশকে ১ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তা সবার কাছে পৌঁছায়নি, বরং বৈষম্য বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তরুণ বেকারত্ব এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মাসরুর আরেফিন বলেন, “গত ৯ মাসে হয়তো বড় কোনো অর্জন আসেনি, কিন্তু ব্যাংক খাতের অনিয়ম বন্ধ হওয়া এবং টাকা পাচার রোধ করা হয়েছে—এটাই বড় সাফল্য। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা নতুন উদ্বেগ তৈরি করছে।”
সপ্তমবারের আয়োজনে এবার সারা দেশের ২০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৫ জনকে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের হাতে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়। এই পাঁচজন আজারবাইজানে আন্তর্জাতিক ইকোনমিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।