নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী দু’জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’
রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন : প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচন পদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারাদেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাবকে সমস্যাপূর্ণ বলে মনে করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও। এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় এবং বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ডেইলি স্টার ভবনে ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘এটি যেকোনো একটি নির্বাচনী এলাকায় গন্ডগোল আরও বাড়াবে।’
শামা ওবায়েদ বলেন, এমন কাঠামো দাঁড় করাতে হবে, যেখানে নারী প্রতিনিধিদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেয়া হবে এবং সেটি সরকার ও দলের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। এতে করে নারী জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে জন্ম নেয়া হীনম্মন্যতা দূর হবে।
শামা ওবায়েদ বলেন, তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু রাতারাতি সেটি বাস্তবায়ন করা যাবে না।
মাঠপর্যায়ে এক নেতা অন্য নেতাকে জায়গা দিতে চান না, এমন সমস্যার কথা তুলে ধরে শামা ওবায়েদ বলেন, সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে বিএনপি নারী নেতৃত্ব তৈরি করতে কাজ করছে। এ সময় রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়ার পরামর্শ দেন শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, নারীদেরকে ভোট চাইতে, আন্দোলন করতে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু তাদের প্রাপ্যটা দেয়া হয় না।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী দু’জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’
রোববার,(১৫ জুন ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন : প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচন পদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারাদেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাবকে সমস্যাপূর্ণ বলে মনে করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও। এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় এবং বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ডেইলি স্টার ভবনে ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘এটি যেকোনো একটি নির্বাচনী এলাকায় গন্ডগোল আরও বাড়াবে।’
শামা ওবায়েদ বলেন, এমন কাঠামো দাঁড় করাতে হবে, যেখানে নারী প্রতিনিধিদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেয়া হবে এবং সেটি সরকার ও দলের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। এতে করে নারী জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে জন্ম নেয়া হীনম্মন্যতা দূর হবে।
শামা ওবায়েদ বলেন, তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু রাতারাতি সেটি বাস্তবায়ন করা যাবে না।
মাঠপর্যায়ে এক নেতা অন্য নেতাকে জায়গা দিতে চান না, এমন সমস্যার কথা তুলে ধরে শামা ওবায়েদ বলেন, সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে বিএনপি নারী নেতৃত্ব তৈরি করতে কাজ করছে। এ সময় রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়ার পরামর্শ দেন শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, নারীদেরকে ভোট চাইতে, আন্দোলন করতে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু তাদের প্রাপ্যটা দেয়া হয় না।