রাজধানীর হাজারীবাগে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছেলে খুন হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ করেছে। নিহতের নাম রাহাবুল ইসলাম রাসেল (১৬)। সে হোটেলে কাজ করতো।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে রাসেলের বাবা জুয়েল রানা। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঝাউচরের আমলা টাওয়ার রোডের একটি বাড়ির নিচতলার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়।
নিহত রাসেলের মামা হুমায়ুন কবির জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে জুয়েল রানা নিজে তাদের ফোনকল দিয়ে জানায়, সে তার ছেলে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তার অবস্থা মুমূর্ষু তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরবর্তীতে স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেলকে দেখতে পেয়ে ওই বাসা থেকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে রাত সাড়ে ১১টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ রাসেল। তার বড় ভাই পশু চিকিৎসক এবং ছোট ভাই মাদ্রাসার ছাত্র। তারা দুইজন গ্রামের বাড়িতে থাকে। রাসেল আর তার বাবা জুয়েল ঝাউচারের ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকেন। আর রাসেলের মা শাহনাজ জর্ডান প্রবাসী। হাজারীবাগের বাজারে একটি হোটেলে রাসেল, আর তার বাবা রায়েরবাজার এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করে।
সম্প্রতি রাসেলকেও দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তার মা। তবে ছেলের বদলে জুয়েল রানা নিজে প্রবাসে যেতে চাচ্ছিল। তাকে নেয়ার ব্যবস্থা না করলে সে পরিবারে অশান্তি করবে এবং আরেকটি বিয়ে করে চলে যাবে বলে প্রায়ই বলত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল কিছুদিন। এর জেরেই গতকাল শনিবার রাতে জুয়েল তার ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে বলে ধারণা পরিবারের।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাসেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার এসআই শামসুল হুদা বলেন, ঘটনার পর থেকে বাবা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
রাজধানীর হাজারীবাগে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছেলে খুন হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ করেছে। নিহতের নাম রাহাবুল ইসলাম রাসেল (১৬)। সে হোটেলে কাজ করতো।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে রাসেলের বাবা জুয়েল রানা। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঝাউচরের আমলা টাওয়ার রোডের একটি বাড়ির নিচতলার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়।
নিহত রাসেলের মামা হুমায়ুন কবির জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে জুয়েল রানা নিজে তাদের ফোনকল দিয়ে জানায়, সে তার ছেলে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তার অবস্থা মুমূর্ষু তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরবর্তীতে স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেলকে দেখতে পেয়ে ওই বাসা থেকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে রাত সাড়ে ১১টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ রাসেল। তার বড় ভাই পশু চিকিৎসক এবং ছোট ভাই মাদ্রাসার ছাত্র। তারা দুইজন গ্রামের বাড়িতে থাকে। রাসেল আর তার বাবা জুয়েল ঝাউচারের ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকেন। আর রাসেলের মা শাহনাজ জর্ডান প্রবাসী। হাজারীবাগের বাজারে একটি হোটেলে রাসেল, আর তার বাবা রায়েরবাজার এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করে।
সম্প্রতি রাসেলকেও দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তার মা। তবে ছেলের বদলে জুয়েল রানা নিজে প্রবাসে যেতে চাচ্ছিল। তাকে নেয়ার ব্যবস্থা না করলে সে পরিবারে অশান্তি করবে এবং আরেকটি বিয়ে করে চলে যাবে বলে প্রায়ই বলত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল কিছুদিন। এর জেরেই গতকাল শনিবার রাতে জুয়েল তার ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে বলে ধারণা পরিবারের।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাসেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার এসআই শামসুল হুদা বলেন, ঘটনার পর থেকে বাবা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।