ভবিষ্যতে কোনো সরকারের মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যাতে কেউ গুমের শিকার না হন, সেজন্য স্থায়ী কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি জানিয়েছেন, এই স্থায়ী কমিশন গঠনের জন্য আগামী এক মাসের মধ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের গুম বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, “বর্তমান গুম কমিশন যেখানে কাজ শেষ করবে, পরবর্তী কমিশন সেখান থেকে কাজ শুরু করবে। গুম সংক্রান্ত কমিশন গঠন ও আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল আমাদের প্রশংসা করেছেন। এ বিষয়ে তারা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।”
তিনি বলেন, “এই আইন হলে যেকোনো সরকারের জন্য কাউকে গুম করা অনেক রিস্ক ও কষ্টসাধ্য হবে। জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির আগে আরও ভালো কিছু কাজ করা হবে।”
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, প্রস্তাবিত আইনটি কি পরবর্তী সরকার বাতিল করতে পারে না?
জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “বিএনপি, জামায়াত নেতারা নিজেই গুমের শিকার হয়েছেন। এনসিপি ও ইসলামী দলগুলো গুমের ব্যাপারে সোচ্চার রয়েছেন। যারাই ক্ষমতায় আসুক, এমন কিছু করবে বলে মনে হয় না।”
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, অতীতে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদেরকে ‘মিসিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার বিষয়টি আইনে যুক্ত করা যায় কি না, সে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘গুম ও আয়নাঘর’-এর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
এই কমিশন গত ৪ জুন তাদের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের বর্ণনা উঠে এসেছে। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ জুন।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
ভবিষ্যতে কোনো সরকারের মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যাতে কেউ গুমের শিকার না হন, সেজন্য স্থায়ী কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি জানিয়েছেন, এই স্থায়ী কমিশন গঠনের জন্য আগামী এক মাসের মধ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের গুম বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, “বর্তমান গুম কমিশন যেখানে কাজ শেষ করবে, পরবর্তী কমিশন সেখান থেকে কাজ শুরু করবে। গুম সংক্রান্ত কমিশন গঠন ও আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল আমাদের প্রশংসা করেছেন। এ বিষয়ে তারা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।”
তিনি বলেন, “এই আইন হলে যেকোনো সরকারের জন্য কাউকে গুম করা অনেক রিস্ক ও কষ্টসাধ্য হবে। জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির আগে আরও ভালো কিছু কাজ করা হবে।”
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, প্রস্তাবিত আইনটি কি পরবর্তী সরকার বাতিল করতে পারে না?
জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “বিএনপি, জামায়াত নেতারা নিজেই গুমের শিকার হয়েছেন। এনসিপি ও ইসলামী দলগুলো গুমের ব্যাপারে সোচ্চার রয়েছেন। যারাই ক্ষমতায় আসুক, এমন কিছু করবে বলে মনে হয় না।”
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, অতীতে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদেরকে ‘মিসিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার বিষয়টি আইনে যুক্ত করা যায় কি না, সে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘গুম ও আয়নাঘর’-এর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
এই কমিশন গত ৪ জুন তাদের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের বর্ণনা উঠে এসেছে। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ জুন।