ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউএনডিপির অর্থায়নে ইসির বাস্তবায়নাধীন ‘ব্যালট প্রকল্পে’ প্রথম দেশ হিসেবে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইউএনডিপি, ইউএন উইমেন এবং ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে এই সহযোগীতা করবে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার,(১৮ জুন ২০২৫) নির্বাচন ভবনে এই সহযোগীতার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলির উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ইসি সূত্র বলছে, ব্যালট প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করা, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা এবং নির্বাচনে সচেতন নাগরিকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা। এরমধ্যে নারী, যুবসমাজ, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধীতা সম্পন্ন ব্যক্তি, বয়স্ক ভোটার এবং প্রথমবারের মতো ভোটদানকারীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট নাগরিক ও ভোটার শিক্ষার প্রচারণা চালানো।
সিইসি নাসির উদ্দিন এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ব্যালট প্রকল্প আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে, জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ভরসাযোগ্য একটি নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করবে।’
বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘ব্যালট প্রজেক্টে মোট ১৮ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে ইউএনডিপি। অস্ট্রেলিয়া দুই মিলিয়ন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা আশা করি, এই প্রকল্পে ভবিষ্যৎ অর্থায়নের জন্য দাতাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে।’
প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ‘এই প্রজেক্টের আওতায় ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, অ্যাওয়ারনেন্স, ট্রেনিং, ইনস্টিটিউশনাল ফ্রেমওয়ার্ক মোটাদাগে ১৬টি কম্পোনেন্টে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে। আশা করি এটার বেস্ট ইউটিলাইজেশন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রসেসে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা, অফিস মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পের আজ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার। বাংলাদেশ যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করার সুযোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সুসান রাইলি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা সংস্কার কমিশনের পাঁচজন কর্মকর্তাকে অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যাতে তারা ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে এবং ধারণা পেতে পারেন। আজ আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে নির্বাচন কমিশনের ব্যালট প্রকল্পকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আমরা ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করব।’
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউএনডিপির অর্থায়নে ইসির বাস্তবায়নাধীন ‘ব্যালট প্রকল্পে’ প্রথম দেশ হিসেবে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইউএনডিপি, ইউএন উইমেন এবং ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে এই সহযোগীতা করবে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার,(১৮ জুন ২০২৫) নির্বাচন ভবনে এই সহযোগীতার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলির উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ইসি সূত্র বলছে, ব্যালট প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করা, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা এবং নির্বাচনে সচেতন নাগরিকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা। এরমধ্যে নারী, যুবসমাজ, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধীতা সম্পন্ন ব্যক্তি, বয়স্ক ভোটার এবং প্রথমবারের মতো ভোটদানকারীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট নাগরিক ও ভোটার শিক্ষার প্রচারণা চালানো।
সিইসি নাসির উদ্দিন এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ব্যালট প্রকল্প আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে, জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ভরসাযোগ্য একটি নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করবে।’
বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘ব্যালট প্রজেক্টে মোট ১৮ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে ইউএনডিপি। অস্ট্রেলিয়া দুই মিলিয়ন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা আশা করি, এই প্রকল্পে ভবিষ্যৎ অর্থায়নের জন্য দাতাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে।’
প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ‘এই প্রজেক্টের আওতায় ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, অ্যাওয়ারনেন্স, ট্রেনিং, ইনস্টিটিউশনাল ফ্রেমওয়ার্ক মোটাদাগে ১৬টি কম্পোনেন্টে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে। আশা করি এটার বেস্ট ইউটিলাইজেশন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রসেসে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরা, অফিস মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পের আজ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার। বাংলাদেশ যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করার সুযোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সুসান রাইলি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা সংস্কার কমিশনের পাঁচজন কর্মকর্তাকে অস্ট্রেলিয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যাতে তারা ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে এবং ধারণা পেতে পারেন। আজ আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে নির্বাচন কমিশনের ব্যালট প্রকল্পকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আমরা ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করব।’