৩৫ লাখ টাকার মধ্যে ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার
যশোরের মণিরামপুরে নগদের ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের প্রাইভেটকারের চালকও জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার,(১৮ জুন ২০২৫) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী।
গেপ্তারকৃত আসামিরা হলো নগদ’র ডিস্ট্রিবিউটরের গাড়ি চালক শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার খোরশেদ আলম মির্জার ছেলে ইউসুল আলী সাজু (৩১), ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া দিকদানা গ্রামের ইসরাইল গাজীর ছেলে রনি গাজী (২৬), রাশেদুল ইসলাম খাঁর ছেলে সুজন ইসলাম (৩৩), দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে ইমাদুল গাজী (৪৬), ইমদাদুল গাজীর ছেলে নাসিম গাজী (১৯), খোষালনগর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (২৪), মজনুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২১)।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজারহাট-চুকনগর সড়কের জামতলা দোনার নামক জায়গায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। নগদের এরিয়া ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, তিনি যশোর থেকে ব্যাগভর্তি ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে মণিরামপুর অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথ্যিমধ্যে জামতলায় পৌঁছালে পিছন থেকে আসা দুই মোটরসাইকেল আরোহী প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেঙ্গে ব্যাগভর্তি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যশোরের দিকে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। রবিউল তাৎক্ষণিক জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি জানান। তবে প্রাথমিকভাবে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হলেও পরবর্তীতে তারা জানায় ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে।
পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার আগে ও পরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা এবং পুলিশি কলাকৌশল প্রয়োগ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ডিবিসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। ছিনতাইয়ের ঘটনার কাজে ব্যবহৃত একটি আরটিআর মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে আসামি সাগর হোসেনকে (২৪) ঝিকরগাছা উপজেলার খোষালনগর গ্রাম হতে গ্রেপ্তার ও আরটিআর মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
এরপর সাগর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নগদের টাকা বহনকারী প্রাইভেটকার চালক ইউসুফ আলী সাজুর যোগসাজশে তারা এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইমদাদুল গাজীর হেফাজত থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫শ’ টাকা এবং সুজন ইসলামের বাড়ি থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ছিনতাইকৃত ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিকট হতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি চাপাতি ও লুন্ঠিত টাকা বহনকারী একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩৫ লাখ টাকার মধ্যে ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
যশোরের মণিরামপুরে নগদের ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের প্রাইভেটকারের চালকও জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার,(১৮ জুন ২০২৫) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী।
গেপ্তারকৃত আসামিরা হলো নগদ’র ডিস্ট্রিবিউটরের গাড়ি চালক শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার খোরশেদ আলম মির্জার ছেলে ইউসুল আলী সাজু (৩১), ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া দিকদানা গ্রামের ইসরাইল গাজীর ছেলে রনি গাজী (২৬), রাশেদুল ইসলাম খাঁর ছেলে সুজন ইসলাম (৩৩), দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে ইমাদুল গাজী (৪৬), ইমদাদুল গাজীর ছেলে নাসিম গাজী (১৯), খোষালনগর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (২৪), মজনুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২১)।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজারহাট-চুকনগর সড়কের জামতলা দোনার নামক জায়গায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। নগদের এরিয়া ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, তিনি যশোর থেকে ব্যাগভর্তি ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে মণিরামপুর অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথ্যিমধ্যে জামতলায় পৌঁছালে পিছন থেকে আসা দুই মোটরসাইকেল আরোহী প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেঙ্গে ব্যাগভর্তি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যশোরের দিকে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। রবিউল তাৎক্ষণিক জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি জানান। তবে প্রাথমিকভাবে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হলেও পরবর্তীতে তারা জানায় ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে।
পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার আগে ও পরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা এবং পুলিশি কলাকৌশল প্রয়োগ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ডিবিসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। ছিনতাইয়ের ঘটনার কাজে ব্যবহৃত একটি আরটিআর মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে আসামি সাগর হোসেনকে (২৪) ঝিকরগাছা উপজেলার খোষালনগর গ্রাম হতে গ্রেপ্তার ও আরটিআর মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
এরপর সাগর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নগদের টাকা বহনকারী প্রাইভেটকার চালক ইউসুফ আলী সাজুর যোগসাজশে তারা এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ইমদাদুল গাজীর হেফাজত থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫শ’ টাকা এবং সুজন ইসলামের বাড়ি থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ছিনতাইকৃত ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিকট হতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি চাপাতি ও লুন্ঠিত টাকা বহনকারী একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।