alt

জাতীয়

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ফাঁকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ -সংবাদ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্ধিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পক্ষে মত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে ইলেকটোরাল কলেজ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব, সেটি গ্রহণ করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের শর্তারোপ করেছে দলটি। কারণ হিসেবে দলটি বলছে, তা না হলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। যারা ভোটার হবেন, তাদের মতামত প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে জামায়াতের এই অবস্থান তুলে ধরেন দলের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রস্তাব অনুযায়ী, ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসেবে থাকবেন। ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থেকেও প্রস্তাব এসেছে। একটি প্রস্তাব হলো, সংসদ যদি উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষে বিভক্ত হয়, তাহলে ৫০০ ইলেকটোরাল কলেজ। আরেকটি প্রস্তাব হলো, উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষের সদস্যদের পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৭৬ করা।’

জামায়াত তিনটির যে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি আছে জানিয়ে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ভোটারের সংখ্যার বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান নমনীয় থাকবে।

তবে ইলেকটোরাল কলেজ বৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহণ করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে উল্লেখ করে দলটির নায়েবে আমির বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়া জরুরি। তা না হলে যারা ভোটার থাকবেন, তাদের মতামত প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনায় গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে কয়েকটি দল। জামায়াত এই প্রস্তাবকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করবে। জামায়াতের অভ্যন্তরীণ সব নির্বাচন গোপন ব্যালটে হয়। তাই তারা এমন প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানায়।

অগ্রহণযোগ্য বলছে বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ইলেক্টোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এ ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘৭০ হাজার স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিকে ভোটার করে নির্বাচন করার প্রস্তাব তাদের কাছে এখনই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে যদি সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়, তখন তা

এমপিদের গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ার পক্ষে জোনায়েদ সাকি

সংসদ সদস্যদের (এমপি) গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির যে প্রস্তাব, তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে কথাটা গুরুত্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, সেটি হলো গোপন ব্যালটের ভিত্তিতে এ নির্বাচনটা হতে হবে। এ প্রস্তাব আরও অনেকে দিয়েছেন, আমরা এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।’

বৃহস্পতিবার ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‘গোপন ব্যালটে নির্বাচনের প্রশ্নটিতে প্রায় সবাই একমত। কেউ কেউ বলেছেন, দলের (নিজস্ব রাজনৈতিক দল) সঙ্গে একটু আলোচনা করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তনে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছে বলে জানান গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

তিনি বলেন, ‘এখন এই পরিবর্তনের অগ্রগতি কীভাবে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত দুই দিনের আলোচনায় ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতেই সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের দলের বিপক্ষেও ভোট দিতে পারবেন। ফলে এ বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছেন।’

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে দু-একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান দু-একটি দলের নেতৃত্বে হয়নি, সুতরাং কোনোভাবেই দু-একটি দল কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি মহলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না।’

বিবেচনার বিষয় হতে পারে।’

এমপিদের গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ার পক্ষে জোনায়েদ সাকি

সংসদ সদস্যদের (এমপি) গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির যে প্রস্তাব, তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে কথাটা গুরুত্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, সেটি হলো গোপন ব্যালটের ভিত্তিতে এ নির্বাচনটা হতে হবে। এ প্রস্তাব আরও অনেকে দিয়েছেন, আমরা এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।’

বৃহস্পতিবার ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‘গোপন ব্যালটে নির্বাচনের প্রশ্নটিতে প্রায় সবাই একমত। কেউ কেউ বলেছেন, দলের (নিজস্ব রাজনৈতিক দল) সঙ্গে একটু আলোচনা করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তনে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছে বলে জানান গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

তিনি বলেন, ‘এখন এই পরিবর্তনের অগ্রগতি কীভাবে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত দুই দিনের আলোচনায় ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতেই সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের দলের বিপক্ষেও ভোট দিতে পারবেন। ফলে এ বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছেন।’

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে দু-একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান দু-একটি দলের নেতৃত্বে হয়নি, সুতরাং কোনোভাবেই দু-একটি দল কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি মহলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না।’

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত: আলী রিয়াজ

জাতীয় সংসদে উচ্চ ও নিম্নকক্ষ রাখার প্রস্তাবে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ দলের সম্মতি রয়েছে। তবে আলোচনার পরও এখনও কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মুলতবি অধিবেশনে দুপুরের বিরতির পর আলোচনার ধারাবাহিকতায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় উল্লেখ করে আলী রীয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অসমাপ্ত থাকায় তা পুনরায় আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার কারা হবেন, তা নির্ধারণের জন্য সংসদের কাঠামো স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলেই আলোচনায় উঠে আসে।

এ প্রসঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের ধরন নির্ধারণ হওয়া জরুরি, তাই এ বিষয়ে আগে নির্ধারণ হতে হবে। এ প্রসঙ্গে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত যে, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হতে পারে।’

তবে আলোচনার পরও এখনও কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি বলে জানান তিনি।

তার ভাষ্যে, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষে মত দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়েও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দুই মেয়াদের কথা বলেছেন। তবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হলে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। আগামী সপ্তাহে অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে পুনরায় আলোচনা হবে।’

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়েও মেজরিটি পার্টি দুই মেয়াদের বেশি হতে পারবে না বলে মত দিয়েছে। যদিও বিএনপিসহ কয়েকটি দল ভিন্নমত প্রকাশ করেছে।’

আমার বাংলাদেশ পার্টির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আলোচনা ভালো হচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া ভালো হচ্ছে কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল), রাষ্ট্রপতির নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু ঐকমত্য আসেনি। জনগণ আমাদের দিকে চেয়ে আছে। আমাদের দল ব্যথিত। রাষ্ট্রের এত অর্থ ব্যয় হচ্ছে কিন্তু ফল হচ্ছে না। যারা বড় দল তাদের দায়িত্ব বেশি। তাদের ত্যাগ বেশি। তারা যদি এই প্রসেস পরিবর্তন না চায় তাহলে পরিবর্তন হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনেরও দায় আছে। তারা প্রিসাইজলি যে দলের ভিন্নমত আছে সেটা নিয়ে আলোচনা করলে এত দীর্ঘ হতো না।’

রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন মত দিলেও এবং আলোচনায় বিভিন্ন মত থাকলেও আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতে কেউ দ্বিধান্বিত নয়।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পদ্ধতির পরিবর্তন নিয়েও দলগুলো একমত উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না সেগুলো আমরা জাতীয় সনদে স্বচ্ছতার সঙ্গে উল্লেখ করব। আমরা জানি, সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। হলে ভালো হতো। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ঐকমত্য গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে (রোববার) যেসব বিষয় আলোচনায় অসমাপ্ত রয়ে গেছে, তা নিয়ে পুনরায় বৈঠক হবে।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

সাঁওতালদের জমিতে ইপিজেড নির্মাণ নয়, ১৩ সংগঠনের দাবি

গণতান্ত্রিক যাত্রায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ব্রিটেন: সারাহ কুক

‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রম সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে’

ছবি

ফার্মগেটের ফলের মেলায় পুষ্টির ওপর গুরুত্ব

তিন মাসের মধ্যে সাকিবের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

শার্শার সীমান্ত এলাকায় ৬টি করাতকল বন্ধ করেছে বিজিবি

‘প্রয়োজনীয়’ অস্ত্র নিয়েই কাজ করছে পুলিশ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিবির হারুনের সহযোগী জাহাঙ্গীরের স্থাপনাসহ আরেক প্লট জব্দের আদেশ

ছবি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক: ছয় ও চার লেনের কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

ছবি

নগর ভবনে তালা, ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ অব্যাহত

ছবি

সরকারি সেবা নিতে প্রায় ৩২ শতাংশ নাগরিককে ঘুষ দিতে হয়

আদালত থেকে পালালো হত্যা মামলার আসামি

দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আগামী সপ্তাহে: ইসি

চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল দাবি: প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে সচিবালয় কর্মচারীদের বিক্ষোভ

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত থাকবে সাধারণ ছুটি

গুমে জড়িত অনেকে ‘ক্ষমতার কেন্দ্রে’, ভিকটিমদের ভয় দেখাচ্ছে: গুমসংক্রান্ত কমিশন

নাগরিক সেবায় অচলাবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ

অস্ত্র, মাদক, সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীর নজরদারি জোরদার

ছবি

সরকারি সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির শিকার ৩২ শতাংশ নাগরিক: জরিপ

ছবি

৫ আগস্ট হবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিবস, থাকবে সাধারণ ছুটি

তেহরান থেকে বাংলাদেশিরা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন : ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব

ছবি

পররাষ্ট্র সচিব হলেন আসাদ আলম সিয়াম

ছবি

নানা ফল নিয়ে মেলা বসেছে ফার্মগেইটে, দেশি ফলের উৎসবে পুষ্টির আহ্বান

ছবি

আইন মন্ত্রণালয়: ট্রুথ কমিশন নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

“পুলিশ প্রয়োজনীয় অস্ত্র নিয়েই কাজ করছে”—ঢামেকে গুলিবিদ্ধদের দেখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সচিবালয়ে ভবন অবরোধ করে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে পাশে থাকবে যুক্তরাজ্য: ব্রিটিশ হাই কমিশনার

কেরাণীগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে সৎবাবার মৃত্যুদণ্ড

যশোরে নগদের টাকা ছিনতাই: গাড়িচালকসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

‘হতাশা’ রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বিদ্রোহে ঠেলে দিতে পারে -ক্রাইসিস গ্রুপ

ছবি

চান্দিনার মাধাইয়া-নবাবপুর সড়ক যেন মরণফাঁদ

নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ডিএমপিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ আইজিপির

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে অস্ট্রেলিয়া

তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশের কূটনীতিকের বাসভবন বিধ্বস্ত

ছবি

ডেঙ্গুর বিস্তার সারাদেশে, বরগুনায় মহামারী

সাধারণ স্কুলে কমছে শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় বাড়ছে ভর্তি

tab

জাতীয়

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ফাঁকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্ধিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পক্ষে মত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে ইলেকটোরাল কলেজ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব, সেটি গ্রহণ করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের শর্তারোপ করেছে দলটি। কারণ হিসেবে দলটি বলছে, তা না হলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। যারা ভোটার হবেন, তাদের মতামত প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে জামায়াতের এই অবস্থান তুলে ধরেন দলের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রস্তাব অনুযায়ী, ইলেকটোরাল কলেজব্যবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধি ভোটার হিসেবে থাকবেন। ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থেকেও প্রস্তাব এসেছে। একটি প্রস্তাব হলো, সংসদ যদি উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষে বিভক্ত হয়, তাহলে ৫০০ ইলেকটোরাল কলেজ। আরেকটি প্রস্তাব হলো, উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষের সদস্যদের পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৭৬ করা।’

জামায়াত তিনটির যে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি আছে জানিয়ে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ভোটারের সংখ্যার বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান নমনীয় থাকবে।

তবে ইলেকটোরাল কলেজ বৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহণ করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে উল্লেখ করে দলটির নায়েবে আমির বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়া জরুরি। তা না হলে যারা ভোটার থাকবেন, তাদের মতামত প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনায় গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে কয়েকটি দল। জামায়াত এই প্রস্তাবকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করবে। জামায়াতের অভ্যন্তরীণ সব নির্বাচন গোপন ব্যালটে হয়। তাই তারা এমন প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানায়।

অগ্রহণযোগ্য বলছে বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ইলেক্টোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এ ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘৭০ হাজার স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিকে ভোটার করে নির্বাচন করার প্রস্তাব তাদের কাছে এখনই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে যদি সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়, তখন তা

এমপিদের গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ার পক্ষে জোনায়েদ সাকি

সংসদ সদস্যদের (এমপি) গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির যে প্রস্তাব, তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে কথাটা গুরুত্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, সেটি হলো গোপন ব্যালটের ভিত্তিতে এ নির্বাচনটা হতে হবে। এ প্রস্তাব আরও অনেকে দিয়েছেন, আমরা এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।’

বৃহস্পতিবার ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‘গোপন ব্যালটে নির্বাচনের প্রশ্নটিতে প্রায় সবাই একমত। কেউ কেউ বলেছেন, দলের (নিজস্ব রাজনৈতিক দল) সঙ্গে একটু আলোচনা করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তনে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছে বলে জানান গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

তিনি বলেন, ‘এখন এই পরিবর্তনের অগ্রগতি কীভাবে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত দুই দিনের আলোচনায় ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতেই সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের দলের বিপক্ষেও ভোট দিতে পারবেন। ফলে এ বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছেন।’

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে দু-একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান দু-একটি দলের নেতৃত্বে হয়নি, সুতরাং কোনোভাবেই দু-একটি দল কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি মহলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না।’

বিবেচনার বিষয় হতে পারে।’

এমপিদের গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ার পক্ষে জোনায়েদ সাকি

সংসদ সদস্যদের (এমপি) গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির যে প্রস্তাব, তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে কথাটা গুরুত্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, সেটি হলো গোপন ব্যালটের ভিত্তিতে এ নির্বাচনটা হতে হবে। এ প্রস্তাব আরও অনেকে দিয়েছেন, আমরা এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।’

বৃহস্পতিবার ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‘গোপন ব্যালটে নির্বাচনের প্রশ্নটিতে প্রায় সবাই একমত। কেউ কেউ বলেছেন, দলের (নিজস্ব রাজনৈতিক দল) সঙ্গে একটু আলোচনা করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তনে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছে বলে জানান গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

তিনি বলেন, ‘এখন এই পরিবর্তনের অগ্রগতি কীভাবে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত দুই দিনের আলোচনায় ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতেই সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের দলের বিপক্ষেও ভোট দিতে পারবেন। ফলে এ বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল মত দিয়েছেন।’

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে দু-একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান দু-একটি দলের নেতৃত্বে হয়নি, সুতরাং কোনোভাবেই দু-একটি দল কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি মহলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না।’

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত: আলী রিয়াজ

জাতীয় সংসদে উচ্চ ও নিম্নকক্ষ রাখার প্রস্তাবে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ দলের সম্মতি রয়েছে। তবে আলোচনার পরও এখনও কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মুলতবি অধিবেশনে দুপুরের বিরতির পর আলোচনার ধারাবাহিকতায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় উল্লেখ করে আলী রীয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অসমাপ্ত থাকায় তা পুনরায় আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার কারা হবেন, তা নির্ধারণের জন্য সংসদের কাঠামো স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলেই আলোচনায় উঠে আসে।

এ প্রসঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের ধরন নির্ধারণ হওয়া জরুরি, তাই এ বিষয়ে আগে নির্ধারণ হতে হবে। এ প্রসঙ্গে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত যে, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হতে পারে।’

তবে আলোচনার পরও এখনও কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি বলে জানান তিনি।

তার ভাষ্যে, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের পক্ষে মত দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়েও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দুই মেয়াদের কথা বলেছেন। তবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হলে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। আগামী সপ্তাহে অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে পুনরায় আলোচনা হবে।’

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়েও মেজরিটি পার্টি দুই মেয়াদের বেশি হতে পারবে না বলে মত দিয়েছে। যদিও বিএনপিসহ কয়েকটি দল ভিন্নমত প্রকাশ করেছে।’

আমার বাংলাদেশ পার্টির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আলোচনা ভালো হচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া ভালো হচ্ছে কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল), রাষ্ট্রপতির নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু ঐকমত্য আসেনি। জনগণ আমাদের দিকে চেয়ে আছে। আমাদের দল ব্যথিত। রাষ্ট্রের এত অর্থ ব্যয় হচ্ছে কিন্তু ফল হচ্ছে না। যারা বড় দল তাদের দায়িত্ব বেশি। তাদের ত্যাগ বেশি। তারা যদি এই প্রসেস পরিবর্তন না চায় তাহলে পরিবর্তন হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনেরও দায় আছে। তারা প্রিসাইজলি যে দলের ভিন্নমত আছে সেটা নিয়ে আলোচনা করলে এত দীর্ঘ হতো না।’

রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন মত দিলেও এবং আলোচনায় বিভিন্ন মত থাকলেও আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতে কেউ দ্বিধান্বিত নয়।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পদ্ধতির পরিবর্তন নিয়েও দলগুলো একমত উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না সেগুলো আমরা জাতীয় সনদে স্বচ্ছতার সঙ্গে উল্লেখ করব। আমরা জানি, সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। হলে ভালো হতো। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ঐকমত্য গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে (রোববার) যেসব বিষয় আলোচনায় অসমাপ্ত রয়ে গেছে, তা নিয়ে পুনরায় বৈঠক হবে।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

back to top