চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা।
তারা বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) বেলা সোয়া ১১টার দিকে সচিবালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে বাদামতলায় গিয়ে জড়ো হন। এরপর বিক্ষোভ মিছিলটি সচিবালয়ের অলিগলি প্রদক্ষিণ করে।
এ নিয়ে টানা পাঁচদিনই বিক্ষোভ দেখালেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। তারা ‘ফ্যাসিবাদী কালো আইন, মানি না মানব না’; ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না মানব না’সহ নানা স্লোগান দেন।
একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ ভবনের সামনে থেকে ঘোষণা দিয়ে সচিবালয়ের চার নম্বর প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন কর্মচারীরা। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর ও নুরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
সেখানে বাদিউল কবীর বলেন, তারা আশা করছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মেনে নেয়া হবে। অন্যথায় রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে ব্লকেড কর্মসূচি দেয়া হবে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে থাকতে চাই না। দাবি পূরণ করে আমাদের কাজে ফিরে যাওয়ার আদেশ দিন।’
মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আমরা চাই, প্রজ্ঞাপন সম্পূর্ণ বাতিল; তারা চায় সংশোধন করতে। আমরা বাতিল চাই, সংশোধন চাই না। কর্মচারীদের বাদ রেখে দুই দফায় কমিটি মিটিং করেছে। আমরা বলেছি, বাতিলের সিদ্ধান্ত হলে মিটিংয়ে গিয়ে সবাইকে মিষ্টিমুখ করাব।’
গত ২২ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করার প্রস্তাব অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। এর প্রতিবাদে ২৪ মে থেকে দিনভর সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যেই গত ২৫ মে রাতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এই আইনকে ‘নিবর্তনমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে টানা বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। আইন বাতিল না হলে এই বিক্ষোভ দেশের সরকারি অফিসে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তারা হুমকি দেন।
এই পরিস্থিতিতে গত ৪ জুন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রধান করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর বিষয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি কমিটি করা হয়।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা।
তারা বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) বেলা সোয়া ১১টার দিকে সচিবালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে বাদামতলায় গিয়ে জড়ো হন। এরপর বিক্ষোভ মিছিলটি সচিবালয়ের অলিগলি প্রদক্ষিণ করে।
এ নিয়ে টানা পাঁচদিনই বিক্ষোভ দেখালেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। তারা ‘ফ্যাসিবাদী কালো আইন, মানি না মানব না’; ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না মানব না’সহ নানা স্লোগান দেন।
একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ ভবনের সামনে থেকে ঘোষণা দিয়ে সচিবালয়ের চার নম্বর প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন কর্মচারীরা। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর ও নুরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।
সেখানে বাদিউল কবীর বলেন, তারা আশা করছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মেনে নেয়া হবে। অন্যথায় রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে ব্লকেড কর্মসূচি দেয়া হবে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনে থাকতে চাই না। দাবি পূরণ করে আমাদের কাজে ফিরে যাওয়ার আদেশ দিন।’
মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আমরা চাই, প্রজ্ঞাপন সম্পূর্ণ বাতিল; তারা চায় সংশোধন করতে। আমরা বাতিল চাই, সংশোধন চাই না। কর্মচারীদের বাদ রেখে দুই দফায় কমিটি মিটিং করেছে। আমরা বলেছি, বাতিলের সিদ্ধান্ত হলে মিটিংয়ে গিয়ে সবাইকে মিষ্টিমুখ করাব।’
গত ২২ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করার প্রস্তাব অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। এর প্রতিবাদে ২৪ মে থেকে দিনভর সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যেই গত ২৫ মে রাতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এই আইনকে ‘নিবর্তনমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে টানা বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। আইন বাতিল না হলে এই বিক্ষোভ দেশের সরকারি অফিসে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে তারা হুমকি দেন।
এই পরিস্থিতিতে গত ৪ জুন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রধান করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর বিষয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় একটি কমিটি করা হয়।