সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০২৫ চূড়ান্তকরণ এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সময়ের অভাবে এবং কিছু উপাত্ত বাকি থাকায় সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণী বিষয় নিয়ে এই সভায় আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শেষ করতে পারবেন বলে আশা তার।
যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেনো নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে: সিইসি
আগামী সংসদ নির্বাচনে পোস্টারের ব্যবহার থাকছে না: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচনে প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম ‘পোস্টারের’ ব্যবহার থাকছে না আগামী সংসদ নির্বাচনে, তবে পোস্টারের পরিবর্তে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করে এই তথ্য জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।
বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাকক্ষে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশনের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের এটাই প্রথম সভা।
তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা না হলে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ধারণা পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
ইসির সপ্তম সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫, সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত এবং বিবিধ। উল্লেখ্য, গত ১২ মে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করে সরকার।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিধি অনুযায়ী ?সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করতে হয় ইসিকে। খসড়া প্রস্তাবের ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করে কমিশন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি মো. সানাউল্লাহ। এ সময় ইসি সচিব মো. আখতার আহমেদ ও এনআইডি ডিজি এসএম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন। সভার আলোচনা বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিলবোর্ডের ব্যবহার অতীতে ছিল না, এটা ইন করা হচ্ছে। পোস্টারের ব্যবহার বাদ দেয়ার ব্যাপারে সংস্কার কমিশনেরও একটা প্রস্তাব ছিল, আমরাও একমত হয়েছি। আমরা পোস্টারের ব্যবহার বাদ দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।’ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, এসব বিষয়কেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারের ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে। ভোটার স্লিপ ইন্ট্রোডিউস করার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। টি-শার্ট, জ্যাকেট ইত্যাদির ব্যাপারে অতীতে যে বিধিনিষেধ ছিল, ওই বিষয়গুলোর বিষয়ে একটু শিথিল মনোভাব পোষণ করা হয়েছে।’
গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওর ধারা ৯১-এর ‘ঙ’ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে যা আছে তা ইতিপূর্বে আচরণবিধিতে সন্নিবেশিত ছিল না সেটা সন্নিবেশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ। এছাড়া সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে যারা বিবেচিত হন, সেখানে উপদেষ্টাম-লীর সদস্যদেরও যোগ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি ফ্যাসিলিটির ব্যবহার যেমন, সার্কিট হাউস, ডাক বাংলো, রেস্ট হাউস, এগুলোর ওপর কিছু বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা সভাপতি বা সদস্য হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন বা মনোনীত হয়েছেন, তাদের এই প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর সেখান থেকে পদত্যাগ করতে হবে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘কারণ এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকেন এবং এটা সংস্কার কমিশনেরও একটা সুপারিশের মধ্যে ছিল।’
এই নির্বাচন কমিশনার জানান, সরকারি ব্যক্তি, সরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রপার্টি ইত্যাদি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কোনো ধরনের ফরেন ইনভেস্টমেন্টকে না করা হয়েছে। কমনভাবে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সব প্রার্থী যাতে ইশতেহার ঘোষণা করতে পারেন বা করেন সেটার বিধান করা হয়েছে।
ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘বিধিমালা লঙ্ঘনে যে নরমাল শাস্তি ছিল, আগে যেটা ছিল ছয় মাস কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, সেটাকে ছয় মাস কারাদ- এবং এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাবনা ছিল।’
খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হলো। তবে মনে রাখতে হবে যে, আচরণ বিধিমালার অনেকগুলো পরিবর্তন বা সংশোধন আরপিওর ওপর নির্ভরশীল, সুতরাং বর্তমানে যে এটা চূড়ান্ত হলে প্রকাশিত হয়ে যাবে আমাদের ওয়েবসাইটে, উপরে লেখা থাকবে আরপিও সংশোধন সাপেক্ষে।’
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০২৫ চূড়ান্তকরণ এবং সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সময়ের অভাবে এবং কিছু উপাত্ত বাকি থাকায় সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণী বিষয় নিয়ে এই সভায় আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শেষ করতে পারবেন বলে আশা তার।
যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেনো নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে: সিইসি
আগামী সংসদ নির্বাচনে পোস্টারের ব্যবহার থাকছে না: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচনে প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম ‘পোস্টারের’ ব্যবহার থাকছে না আগামী সংসদ নির্বাচনে, তবে পোস্টারের পরিবর্তে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করে এই তথ্য জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।
বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাকক্ষে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশনের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের এটাই প্রথম সভা।
তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা না হলে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ধারণা পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে।’
ইসির সপ্তম সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫, সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত এবং বিবিধ। উল্লেখ্য, গত ১২ মে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করে সরকার।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিধি অনুযায়ী ?সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করতে হয় ইসিকে। খসড়া প্রস্তাবের ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করে কমিশন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি মো. সানাউল্লাহ। এ সময় ইসি সচিব মো. আখতার আহমেদ ও এনআইডি ডিজি এসএম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন। সভার আলোচনা বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিলবোর্ডের ব্যবহার অতীতে ছিল না, এটা ইন করা হচ্ছে। পোস্টারের ব্যবহার বাদ দেয়ার ব্যাপারে সংস্কার কমিশনেরও একটা প্রস্তাব ছিল, আমরাও একমত হয়েছি। আমরা পোস্টারের ব্যবহার বাদ দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।’ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, এসব বিষয়কেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারের ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে। ভোটার স্লিপ ইন্ট্রোডিউস করার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। টি-শার্ট, জ্যাকেট ইত্যাদির ব্যাপারে অতীতে যে বিধিনিষেধ ছিল, ওই বিষয়গুলোর বিষয়ে একটু শিথিল মনোভাব পোষণ করা হয়েছে।’
গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওর ধারা ৯১-এর ‘ঙ’ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে যা আছে তা ইতিপূর্বে আচরণবিধিতে সন্নিবেশিত ছিল না সেটা সন্নিবেশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ। এছাড়া সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে যারা বিবেচিত হন, সেখানে উপদেষ্টাম-লীর সদস্যদেরও যোগ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি ফ্যাসিলিটির ব্যবহার যেমন, সার্কিট হাউস, ডাক বাংলো, রেস্ট হাউস, এগুলোর ওপর কিছু বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা সভাপতি বা সদস্য হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন বা মনোনীত হয়েছেন, তাদের এই প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর সেখান থেকে পদত্যাগ করতে হবে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘কারণ এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকেন এবং এটা সংস্কার কমিশনেরও একটা সুপারিশের মধ্যে ছিল।’
এই নির্বাচন কমিশনার জানান, সরকারি ব্যক্তি, সরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রপার্টি ইত্যাদি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কোনো ধরনের ফরেন ইনভেস্টমেন্টকে না করা হয়েছে। কমনভাবে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সব প্রার্থী যাতে ইশতেহার ঘোষণা করতে পারেন বা করেন সেটার বিধান করা হয়েছে।
ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘বিধিমালা লঙ্ঘনে যে নরমাল শাস্তি ছিল, আগে যেটা ছিল ছয় মাস কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, সেটাকে ছয় মাস কারাদ- এবং এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাবনা ছিল।’
খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হলো। তবে মনে রাখতে হবে যে, আচরণ বিধিমালার অনেকগুলো পরিবর্তন বা সংশোধন আরপিওর ওপর নির্ভরশীল, সুতরাং বর্তমানে যে এটা চূড়ান্ত হলে প্রকাশিত হয়ে যাবে আমাদের ওয়েবসাইটে, উপরে লেখা থাকবে আরপিও সংশোধন সাপেক্ষে।’