পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ‘মাদক কারবারিদের’ ছোড়া গুলিতে দুই গোয়েন্দা পুলিশ আহত হওয়ার পর ফের সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশ ‘প্রয়োজনীয়’ অস্ত্র নিয়েই কাজ করছে।
হালকা অস্ত্রে পুলিশকে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘হালকা অস্ত্র নিয়ে না, যে পরিমাণ প্রয়োজন- অস্ত্র দরকার, ওই পরিমাণ প্রয়োজন নিয়েই কাজ করছে।’ বিপরীতে সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে, এমন প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কোনো ভারী অস্ত্র ইউজ করে নাই, পিস্তল ইউজ করছে।’
গত ১২ মে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভায় মরণাস্ত্র নিয়ে ‘নতুন সিদ্ধান্তের’ কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘পুলিশের হাতে যেন আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে, এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। ‘কোনো মারণাস্ত্র আর অস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। কিন্তু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে থাকবে।’
এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় ‘মাদক কারবারি’ সন্দেহে একটি প্রাইভেটকারকে থামার নির্দেশ দিলে আরোহীরা গুলি ছোড়ে বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ সময় এএসআই আতিক হাসানের পেটের বাঁ পাশে এবং কনস্টেবল সুজনের বাঁ পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল হলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়, তারা বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
সেখানে আহতদের দেখতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের একটা ইনফরমেশন ছিল যে- চট্টগ্রাম থেকে একটা একরকম গাড়ি আসতেছে, সেটার ভেতরে ইয়াবা আছে।’ ফকিরাপুল মোড়ে সেই গাড়িটিকে বাধা দেয়া হলেও সেটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর গাড়িটি ধাওয়া করলে ৫-৬শ’ গজ সামনে গিয়ে থেমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
এ সময় গুলি করে একজন পালিয়ে গেলেও গাড়িতে থাকা বাকি তিনজনকে গাড়িসহ আটক করা হয় এবং গাড়ি থেকে নয় হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। গুলিতে আহত পুলিশের দুই সদস্য বর্তমানে ‘আশঙ্কামুক্ত’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল। কনস্টেবল বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, গতরাতে সেইটা রিমুভ করা হইছে। তাকে আমারা এখন পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাব।’
‘আর এএসআই পেটের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আল্লার রহমতে কোনো অর্গানে লাগে নাই। ৪৮ ঘণ্টা পরে অপারেশন করে বের করে দিলে তাকেও আমরা পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাব।’ বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের পুলিশ খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছে এবং তিনজনকে তারা ধরছে। মাদক উদ্ধার হইছে, গাড়ি উদ্ধার হইছে। পুলিশ যে সাহসিকতার কাজ করেছে, দেখেন নিজের জীবন বাজি রাইখা তারা মাদক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। ‘অপরাধীরা খুব একটা বেশি সুযোগ নিতে পারতাছেন না এজন্য দেখেন, চারজনের মধ্যে তিনজনকে কিন্তু আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ‘মাদক কারবারিদের’ ছোড়া গুলিতে দুই গোয়েন্দা পুলিশ আহত হওয়ার পর ফের সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশ ‘প্রয়োজনীয়’ অস্ত্র নিয়েই কাজ করছে।
হালকা অস্ত্রে পুলিশকে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘হালকা অস্ত্র নিয়ে না, যে পরিমাণ প্রয়োজন- অস্ত্র দরকার, ওই পরিমাণ প্রয়োজন নিয়েই কাজ করছে।’ বিপরীতে সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে, এমন প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কোনো ভারী অস্ত্র ইউজ করে নাই, পিস্তল ইউজ করছে।’
গত ১২ মে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভায় মরণাস্ত্র নিয়ে ‘নতুন সিদ্ধান্তের’ কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘পুলিশের হাতে যেন আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে, এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। ‘কোনো মারণাস্ত্র আর অস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। কিন্তু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে থাকবে।’
এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় ‘মাদক কারবারি’ সন্দেহে একটি প্রাইভেটকারকে থামার নির্দেশ দিলে আরোহীরা গুলি ছোড়ে বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ সময় এএসআই আতিক হাসানের পেটের বাঁ পাশে এবং কনস্টেবল সুজনের বাঁ পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল হলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়, তারা বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
সেখানে আহতদের দেখতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের একটা ইনফরমেশন ছিল যে- চট্টগ্রাম থেকে একটা একরকম গাড়ি আসতেছে, সেটার ভেতরে ইয়াবা আছে।’ ফকিরাপুল মোড়ে সেই গাড়িটিকে বাধা দেয়া হলেও সেটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপর গাড়িটি ধাওয়া করলে ৫-৬শ’ গজ সামনে গিয়ে থেমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
এ সময় গুলি করে একজন পালিয়ে গেলেও গাড়িতে থাকা বাকি তিনজনকে গাড়িসহ আটক করা হয় এবং গাড়ি থেকে নয় হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। গুলিতে আহত পুলিশের দুই সদস্য বর্তমানে ‘আশঙ্কামুক্ত’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল। কনস্টেবল বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, গতরাতে সেইটা রিমুভ করা হইছে। তাকে আমারা এখন পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাব।’
‘আর এএসআই পেটের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আল্লার রহমতে কোনো অর্গানে লাগে নাই। ৪৮ ঘণ্টা পরে অপারেশন করে বের করে দিলে তাকেও আমরা পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাব।’ বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের পুলিশ খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছে এবং তিনজনকে তারা ধরছে। মাদক উদ্ধার হইছে, গাড়ি উদ্ধার হইছে। পুলিশ যে সাহসিকতার কাজ করেছে, দেখেন নিজের জীবন বাজি রাইখা তারা মাদক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। ‘অপরাধীরা খুব একটা বেশি সুযোগ নিতে পারতাছেন না এজন্য দেখেন, চারজনের মধ্যে তিনজনকে কিন্তু আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’