রাজধানীর বিজয় সরণিতে ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের দিন ভেঙে ফেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়’-এর আশপাশের স্থাপনাও ভেঙে ফেলা হয়েছে; সেই জায়গায় জুলাই শহীদদের স্মরণে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী মাসেই (জুলাই) নতুন ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু হবে। সেজন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী বিজয় সরণির ওই ভাস্কর্য ঘিরে বানানো ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’-এর সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলায় সেটি ‘অগোছালো’ অবস্থায় ছিল। এ কারণে ওই স্থানটি ‘পরিষ্কার’ করা হয়েছে।
‘মূল ভাস্কর্যটি ভেঙে’ ফেলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওইদিনের আক্রমণের কারণে বাকি যেগুলো ছিল সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এটা এভাবে ফেলে রেখে কোনো লাভ নেই। সেখানে নতুন কিছু যদি করা যায়। সেজন্য তারা জায়গাটা পরিষ্কার করছেন। ভাস্কর্যের জায়গায় দেশের রাজনীতির ইতিহাস জুলাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন আরেকটা ভাস্কর্য করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, জুলাই, বিজয়, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস সবগুলোকে মিলিয়েই কিছু একটা হবে। এখানে যেমন ‘স্কাল্পচার’ ছিল সেমনই আরেকটা ‘স্কাল্পচার’ হবে।
ডিএনসিসি এই জুলাইয়ের মধ্যেই কাজটা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ পরিষ্কার করে ফেলে রাখলে লোকজন আবার বলবে, ফেলে রেখে দিয়েছে। মানুষজন রাস্তা দিয়ে আসে যায়, তাদেরও প্রশ্ন এখানে কী হবে তাহলে।’
গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিন সারা দেশের আরও অনেক ভাস্কর্যের মতো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয় ভেঙে’ ফেলা হয়।
২০২১ ও ২০২২ সালে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে ‘মৃত্যুঞ্জয়’ নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য প্রদর্শন হয়। পরে বিজয় সরণিতে ওই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়, সেটিকে ঘিরে গড়ে তোলা হয় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এটি নির্মাণ করেছিল।
ওই চত্বরের সাতটি দেয়ালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রায় সব আন্দোলন ও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিত্রিত করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জুলাই অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগের স্মৃতিকে ধরে রাখতে সম্প্রতি বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, এই উদ্যোগে গণমানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে গণমিনারের একটি প্রাথমিক দৃশ্যমান রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি। তারা পুরো বিজয় সরণি ধরেই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে গণমিনার।’
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
রাজধানীর বিজয় সরণিতে ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের দিন ভেঙে ফেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়’-এর আশপাশের স্থাপনাও ভেঙে ফেলা হয়েছে; সেই জায়গায় জুলাই শহীদদের স্মরণে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী মাসেই (জুলাই) নতুন ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু হবে। সেজন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী বিজয় সরণির ওই ভাস্কর্য ঘিরে বানানো ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’-এর সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলায় সেটি ‘অগোছালো’ অবস্থায় ছিল। এ কারণে ওই স্থানটি ‘পরিষ্কার’ করা হয়েছে।
‘মূল ভাস্কর্যটি ভেঙে’ ফেলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওইদিনের আক্রমণের কারণে বাকি যেগুলো ছিল সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এটা এভাবে ফেলে রেখে কোনো লাভ নেই। সেখানে নতুন কিছু যদি করা যায়। সেজন্য তারা জায়গাটা পরিষ্কার করছেন। ভাস্কর্যের জায়গায় দেশের রাজনীতির ইতিহাস জুলাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন আরেকটা ভাস্কর্য করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, জুলাই, বিজয়, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস সবগুলোকে মিলিয়েই কিছু একটা হবে। এখানে যেমন ‘স্কাল্পচার’ ছিল সেমনই আরেকটা ‘স্কাল্পচার’ হবে।
ডিএনসিসি এই জুলাইয়ের মধ্যেই কাজটা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ পরিষ্কার করে ফেলে রাখলে লোকজন আবার বলবে, ফেলে রেখে দিয়েছে। মানুষজন রাস্তা দিয়ে আসে যায়, তাদেরও প্রশ্ন এখানে কী হবে তাহলে।’
গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিন সারা দেশের আরও অনেক ভাস্কর্যের মতো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয় ভেঙে’ ফেলা হয়।
২০২১ ও ২০২২ সালে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে ‘মৃত্যুঞ্জয়’ নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য প্রদর্শন হয়। পরে বিজয় সরণিতে ওই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়, সেটিকে ঘিরে গড়ে তোলা হয় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এটি নির্মাণ করেছিল।
ওই চত্বরের সাতটি দেয়ালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রায় সব আন্দোলন ও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিত্রিত করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জুলাই অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগের স্মৃতিকে ধরে রাখতে সম্প্রতি বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, এই উদ্যোগে গণমানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে গণমিনারের একটি প্রাথমিক দৃশ্যমান রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি। তারা পুরো বিজয় সরণি ধরেই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে গণমিনার।’