জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) তার পক্ষে আইনজীবী নাজনীন নাহার ট্রাইব্যুনালে আবেদনটি দাখিল করেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আবেদন খারিজ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমের শুরুতে জেড আই খান পান্নার পক্ষে কথা বলেন আইনজীবী নাজনীন নাহার। তিনি বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না আজকে এখানে আসতে পারেননি। তিনি শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে চান। এ কথা ট্রাইব্যুনালকে জানানোর জন্য তাকে বলেছেন।’
জবাবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘শেখ হাসিনার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটা ওভার (শেষ)। উনি সিভি দিলে অন্য মামলায় তাকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি দেখবেন। তাছাড়া কাকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেয়া হবে, সেটা ট্রাইব্যুনালের বিষয়।’
‘ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর স্টেশনমাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই’ উল্লেখ করে বিচারক আরও বলেন, ‘তিনি প্রসিডিউর জানেন। যে মামলায় আসামি উপস্থিত নাই, এমন পার্টিকুলার মামলায় আসবেন কেন? তাছাড়া এ মামলায় যখন ডিফেন্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছিল, তখন তিনি এসে বলতে পারতেন। তখন বিবেচনা করা যেত কাকে নিয়োগ দেয়া হবে।’
উত্তরে আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, ‘শেখ হাসিনার পক্ষে যাকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাকে সহযোগিতা করতে চান জেড আই খান পান্না।’
এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন, পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র তো আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে দিয়েছে। এখন তো আর সুযোগ নেই। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে গেলে আর কি ওঠার সুযোগ থাকে?’
ট্রাইব্যুনালের শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেড আই খান পান্না পলাতক শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করার জন্য নাজনীন নাহার নামের এক আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে আবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদনের বিষয়ে বলেন যে, আইনে এ রকম সুযোগ নেই। তাছাড়া এই মামলায় ইতোমধ্যে আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এজন্য এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন।’
উল্লেখ্য, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পিপি আইনজীবী আমির হোসেনকে গত ২৫ জুন শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তিনি এরমধ্যে কয়েকদিন হাসিনার পক্ষে শুনানিও করেছেন।
গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সরকার পতনের পর থেকে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পলাতক দেখিয়ে বিচার কাজ চলছে। এর মধ্যে অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় গত ৩ আগস্ট থেকে শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মঙ্গলবার,(১২ আগস্ট ২০২৫) তার পক্ষে আইনজীবী নাজনীন নাহার ট্রাইব্যুনালে আবেদনটি দাখিল করেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আবেদন খারিজ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমের শুরুতে জেড আই খান পান্নার পক্ষে কথা বলেন আইনজীবী নাজনীন নাহার। তিনি বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না আজকে এখানে আসতে পারেননি। তিনি শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে চান। এ কথা ট্রাইব্যুনালকে জানানোর জন্য তাকে বলেছেন।’
জবাবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘শেখ হাসিনার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটা ওভার (শেষ)। উনি সিভি দিলে অন্য মামলায় তাকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি দেখবেন। তাছাড়া কাকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেয়া হবে, সেটা ট্রাইব্যুনালের বিষয়।’
‘ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর স্টেশনমাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই’ উল্লেখ করে বিচারক আরও বলেন, ‘তিনি প্রসিডিউর জানেন। যে মামলায় আসামি উপস্থিত নাই, এমন পার্টিকুলার মামলায় আসবেন কেন? তাছাড়া এ মামলায় যখন ডিফেন্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছিল, তখন তিনি এসে বলতে পারতেন। তখন বিবেচনা করা যেত কাকে নিয়োগ দেয়া হবে।’
উত্তরে আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, ‘শেখ হাসিনার পক্ষে যাকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাকে সহযোগিতা করতে চান জেড আই খান পান্না।’
এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন, পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র তো আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে দিয়েছে। এখন তো আর সুযোগ নেই। ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে গেলে আর কি ওঠার সুযোগ থাকে?’
ট্রাইব্যুনালের শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেড আই খান পান্না পলাতক শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করার জন্য নাজনীন নাহার নামের এক আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে আবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদনের বিষয়ে বলেন যে, আইনে এ রকম সুযোগ নেই। তাছাড়া এই মামলায় ইতোমধ্যে আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এজন্য এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন।’
উল্লেখ্য, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পিপি আইনজীবী আমির হোসেনকে গত ২৫ জুন শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তিনি এরমধ্যে কয়েকদিন হাসিনার পক্ষে শুনানিও করেছেন।
গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। সরকার পতনের পর থেকে ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পলাতক দেখিয়ে বিচার কাজ চলছে। এর মধ্যে অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় গত ৩ আগস্ট থেকে শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।