বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টে রুলের চূড়ান্ত শুনানি বুধবার শেষ হয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে।
বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, যারা অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আইনজীবী আহসানুল করিম ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।
২০২৪ সালের ২৫ অগাস্ট শিশির মনির ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন। এরপর হাই কোর্ট রুল জারি করে, কেন বিদ্যমান সংবিধানের সংশোধিত ১১৬ অনুচ্ছেদকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায়।
বর্তমান সংবিধানের (সংশোধিত) ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অধস্তন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরিসহ) এবং শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে।
তুলনায়, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। পরবর্তী সংশোধনের ফলে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলা বিষয়ক দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের অধীনে চলে আসে এবং রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত হয়।
---
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টে রুলের চূড়ান্ত শুনানি বুধবার শেষ হয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে।
বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, যারা অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আইনজীবী আহসানুল করিম ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।
২০২৪ সালের ২৫ অগাস্ট শিশির মনির ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন। এরপর হাই কোর্ট রুল জারি করে, কেন বিদ্যমান সংবিধানের সংশোধিত ১১৬ অনুচ্ছেদকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায়।
বর্তমান সংবিধানের (সংশোধিত) ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অধস্তন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরিসহ) এবং শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে।
তুলনায়, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। পরবর্তী সংশোধনের ফলে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলা বিষয়ক দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের অধীনে চলে আসে এবং রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত হয়।
---