ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রংপুরের তারাগঞ্জে দলিত সম্প্রদায়ের (মুচি) রূপলাল দাস ও তার ভাগ্নি জামাই প্রদীপ দাসকে মব তৈরি করে গণপিটুনি দেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও তাদের রক্ষা করার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ সংক্রান্ত ৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তাদের উদ্ধার করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বলতে দেখা যায়, রুপলাল ও প্রদীপ দাসকে যখন গণপিটুনি দেয়া হচ্ছিল খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরেও তারা দুজনেই বেঁচে ছিল। এমনকি তাদের যখন বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয় তখনও পুলিশ তৎপর হলে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারতো, ফলে দুজনেই প্রাণে বেঁচে যেত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, তারাগঞ্জ থানার ওসি স্বীকার করেছেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ২/৩ হাজার জনতাকে সামাল দেয়া সম্ভব হয় নাই। তারা তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেছেন এমন কথা বলতে পারেননি। ফলে এক্ষেত্রে পুলিশ তাদের দায় এড়াতে পারে না বলে নিহত রুপলালের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রুপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে যখন আটক করে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি ভ্যানের ওপর বসিয়ে রাখা হয়েছে। চারদিকে কয়েকশ’ মানুষ, পুলিশের চার সদস্য ভ্যানটি ঘিরে বাঁশিতে ফুঁ দিচ্ছিলেন এবং হাত তুলে জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করছেন। এ সময় রুপলালকে ভ্যানের ওপর দাঁড়িয়ে সবার কাছে জীবন ভিক্ষা করার জন্য হাত জোড় করতে দেখা যায়। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে ভ্যানের মধ্যেই তার পরনের কাপড় খুলে যাওয়া লুঙ্গি ঠিক করতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ মব তৈরি করা জনতাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও মব সৃষ্টি করা জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করলে পুলিশ গণপিটুনিতে গুরুতর আহতদের ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে রুপলালের মামা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ দেখলো তারা মাত্র ৪ জন ঘটনা সামাল দিতে পারছে না বিষয়টি থানার ওসিকে ফোন করে জানালে আরও ফোর্স নিয়ে এলে হয়তোবা রুপলাল ও প্রবীর দাসকে জীবিত উদ্ধার করতে পারতো। কারণ, পুলিশ আসা অবস্থান করা এবং চলে যাওয়ার এক ঘণ্টা পরেও তারা দুজনই জীবিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আরও একজন যুবক নাম প্রকাশ না করে বলেন, রুপলাল দাস ও তার ভাগ্নি জামাই প্রবীর দাস ভ্যানে করে যখন আসছিলেন তখন আল আমিন নামে এক ব্যক্তি প্রথমে ভ্যানটি আটকিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা বাদ করছিল। এ সময় বস্তার মধ্যে কী আছে তা জানতে চাইছিল। এ সময় মেহেদী হাসান নামে এক যুবক সেখানে এসে বস্তার ভেতরে ছোট ছোট বোতলে তাড়ি (দেশি মদ) দেখতে পেয়ে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হৈচৈ, চিল্লাচিল্লি শুরু হলে মেহেদী হাসান এই বলে জনতাকে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে এবং এসব খাইয়ে ওরা ভ্যান ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আরও দেখা যায়, পুলিশ চলে যাওয়ার পর রুপলাল মাথা তুলতেই কালো গেঞ্জি পরা এক যুবক তাকে ঘুষি মারেন। এতে আবার লুটিয়ে পড়েন রুপলাল। এরপর ভ্যানের ওপর শোয়া অবস্থায় থাকা দুজনকে কয়েকজন ব্যক্তি যে যেভাবে পারেন কিল, ঘুষি, লাথি, লাঠি ও রড দিয়ে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে ভ্যানের ওপর থেকে মাটিতে পড়ে যান প্রদীপ লাল। এ দৃশ্য মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে অনেকেই ভিডিও করছিলেন দেখা যায় ভিডিওতে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রদীপ দাস ভ্যান থেকে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে অনবরত লাথি মারতে দেখা যায়।
একপর্যায়ে ভ্যানটি কয়েকজন রুপলাল ও প্রদীপকে রশি, জুতা, গাছের ডাল, ভ্যানের প্যাডেল দিয়ে মারধর করতে থাকেন। এ সময় দুজনই জ্ঞান হারিয়ে গোঙাড়াতে থাকে। এ সময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে হলুদ, কালো, লাল গেঞ্জি পরা ৪/৫ জন রুপলালের পিঠে লাথি মারতে থাকেন। হলুদ গেঞ্জি পরা দুই তরুণ দুই পায়ে পিঠ বরাবর একাধিকবার লাথি দিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। এ সময় হলুদ গেঞ্জি পরা এক তরুণ গাছের ডাল দিয়ে আবারও রুপলাল ও প্রদীপকে মারতে থাকে। ছাই রঙের গেঞ্জি পরা এক যুবক রুপলালের মৃত্যু নিশ্চিত করতে বার বার গলায় পা তুলে দেন। আশপাশের কয়েকজন তখন বলছিলেন, ‘পুলিশ পালাইছে।’
এ ব্যাপারে একজন স্কুলশিক্ষক নাম প্রকাশ না করে বলেন মব তৈরিকারীরা যেমন দোষী তেমনি পুলিশও তাদের দায় এড়াতে পারে না। কেননা, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদের রক্ষা না করে উল্টো তারা নিজেরাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে গেছে।
তবে নিহত রুপলালের ছোট্ট ছেলে বলছিলেন, তার বাবা রুপলাল তার জামাই প্রদীপকে তার বড় বোন নুপুরের বিয়ের জন্য আসতে বলেছিল। তিনি নিজের ভ্যান চালিয়ে আসছিলেন। অনেকদিন পর আসছিলেন বলে রাস্তা চিনতে ভুল করেছিলেন। এরপর তার বাবা রুপলালকে ফোন করলে তার বাবা সেখানে গিয়ে দুজনে আসছিলেন। আর ব্যাগের ভেতরে থাকা তাড়ি (বাংলা মদ) আমাদের সমাজে চলে ফলে তাদের মব তৈরি করে চোর অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুখ বলেন, ঘটনাস্থলে হাজার হাজার মানুষ ছিলেন। এর বিপরীতে সেখানে চারজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তারা রুপলাল ও প্রদীপকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পেছন থেকে যখন পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি, ঘুষাঘুষি শুরু করা হয় তখন তারা জীবনের ভয়ে সরে এসেছেন। পুলিশের করার কিছু ছিল না। এখন আমরা ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট শনিবার রাতে মুচি সম্প্রদায়ের রুপলাল ও তার ভাগ্নি জামাই প্রদীপকে চোরের অপবাদ দিয়ে মব তৈরি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৫/৭শ’ অজ্ঞাত নামার বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের তারাগঞ্জে দলিত সম্প্রদায়ের (মুচি) রূপলাল দাস ও তার ভাগ্নি জামাই প্রদীপ দাসকে মব তৈরি করে গণপিটুনি দেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও তাদের রক্ষা করার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ সংক্রান্ত ৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তাদের উদ্ধার করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বলতে দেখা যায়, রুপলাল ও প্রদীপ দাসকে যখন গণপিটুনি দেয়া হচ্ছিল খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরেও তারা দুজনেই বেঁচে ছিল। এমনকি তাদের যখন বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয় তখনও পুলিশ তৎপর হলে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারতো, ফলে দুজনেই প্রাণে বেঁচে যেত বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, তারাগঞ্জ থানার ওসি স্বীকার করেছেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ২/৩ হাজার জনতাকে সামাল দেয়া সম্ভব হয় নাই। তারা তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেছেন এমন কথা বলতে পারেননি। ফলে এক্ষেত্রে পুলিশ তাদের দায় এড়াতে পারে না বলে নিহত রুপলালের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রুপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে যখন আটক করে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি ভ্যানের ওপর বসিয়ে রাখা হয়েছে। চারদিকে কয়েকশ’ মানুষ, পুলিশের চার সদস্য ভ্যানটি ঘিরে বাঁশিতে ফুঁ দিচ্ছিলেন এবং হাত তুলে জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করছেন। এ সময় রুপলালকে ভ্যানের ওপর দাঁড়িয়ে সবার কাছে জীবন ভিক্ষা করার জন্য হাত জোড় করতে দেখা যায়। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে ভ্যানের মধ্যেই তার পরনের কাপড় খুলে যাওয়া লুঙ্গি ঠিক করতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ মব তৈরি করা জনতাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও মব সৃষ্টি করা জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করলে পুলিশ গণপিটুনিতে গুরুতর আহতদের ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে রুপলালের মামা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ দেখলো তারা মাত্র ৪ জন ঘটনা সামাল দিতে পারছে না বিষয়টি থানার ওসিকে ফোন করে জানালে আরও ফোর্স নিয়ে এলে হয়তোবা রুপলাল ও প্রবীর দাসকে জীবিত উদ্ধার করতে পারতো। কারণ, পুলিশ আসা অবস্থান করা এবং চলে যাওয়ার এক ঘণ্টা পরেও তারা দুজনই জীবিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আরও একজন যুবক নাম প্রকাশ না করে বলেন, রুপলাল দাস ও তার ভাগ্নি জামাই প্রবীর দাস ভ্যানে করে যখন আসছিলেন তখন আল আমিন নামে এক ব্যক্তি প্রথমে ভ্যানটি আটকিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা বাদ করছিল। এ সময় বস্তার মধ্যে কী আছে তা জানতে চাইছিল। এ সময় মেহেদী হাসান নামে এক যুবক সেখানে এসে বস্তার ভেতরে ছোট ছোট বোতলে তাড়ি (দেশি মদ) দেখতে পেয়ে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হৈচৈ, চিল্লাচিল্লি শুরু হলে মেহেদী হাসান এই বলে জনতাকে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে এবং এসব খাইয়ে ওরা ভ্যান ছিনতাই করার চেষ্টা করছিল।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আরও দেখা যায়, পুলিশ চলে যাওয়ার পর রুপলাল মাথা তুলতেই কালো গেঞ্জি পরা এক যুবক তাকে ঘুষি মারেন। এতে আবার লুটিয়ে পড়েন রুপলাল। এরপর ভ্যানের ওপর শোয়া অবস্থায় থাকা দুজনকে কয়েকজন ব্যক্তি যে যেভাবে পারেন কিল, ঘুষি, লাথি, লাঠি ও রড দিয়ে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে ভ্যানের ওপর থেকে মাটিতে পড়ে যান প্রদীপ লাল। এ দৃশ্য মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে অনেকেই ভিডিও করছিলেন দেখা যায় ভিডিওতে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রদীপ দাস ভ্যান থেকে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে অনবরত লাথি মারতে দেখা যায়।
একপর্যায়ে ভ্যানটি কয়েকজন রুপলাল ও প্রদীপকে রশি, জুতা, গাছের ডাল, ভ্যানের প্যাডেল দিয়ে মারধর করতে থাকেন। এ সময় দুজনই জ্ঞান হারিয়ে গোঙাড়াতে থাকে। এ সময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে হলুদ, কালো, লাল গেঞ্জি পরা ৪/৫ জন রুপলালের পিঠে লাথি মারতে থাকেন। হলুদ গেঞ্জি পরা দুই তরুণ দুই পায়ে পিঠ বরাবর একাধিকবার লাথি দিয়ে তারা উল্লাস করতে থাকে। এ সময় হলুদ গেঞ্জি পরা এক তরুণ গাছের ডাল দিয়ে আবারও রুপলাল ও প্রদীপকে মারতে থাকে। ছাই রঙের গেঞ্জি পরা এক যুবক রুপলালের মৃত্যু নিশ্চিত করতে বার বার গলায় পা তুলে দেন। আশপাশের কয়েকজন তখন বলছিলেন, ‘পুলিশ পালাইছে।’
এ ব্যাপারে একজন স্কুলশিক্ষক নাম প্রকাশ না করে বলেন মব তৈরিকারীরা যেমন দোষী তেমনি পুলিশও তাদের দায় এড়াতে পারে না। কেননা, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদের রক্ষা না করে উল্টো তারা নিজেরাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে গেছে।
তবে নিহত রুপলালের ছোট্ট ছেলে বলছিলেন, তার বাবা রুপলাল তার জামাই প্রদীপকে তার বড় বোন নুপুরের বিয়ের জন্য আসতে বলেছিল। তিনি নিজের ভ্যান চালিয়ে আসছিলেন। অনেকদিন পর আসছিলেন বলে রাস্তা চিনতে ভুল করেছিলেন। এরপর তার বাবা রুপলালকে ফোন করলে তার বাবা সেখানে গিয়ে দুজনে আসছিলেন। আর ব্যাগের ভেতরে থাকা তাড়ি (বাংলা মদ) আমাদের সমাজে চলে ফলে তাদের মব তৈরি করে চোর অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুখ বলেন, ঘটনাস্থলে হাজার হাজার মানুষ ছিলেন। এর বিপরীতে সেখানে চারজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তারা রুপলাল ও প্রদীপকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পেছন থেকে যখন পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি, ঘুষাঘুষি শুরু করা হয় তখন তারা জীবনের ভয়ে সরে এসেছেন। পুলিশের করার কিছু ছিল না। এখন আমরা ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট শনিবার রাতে মুচি সম্প্রদায়ের রুপলাল ও তার ভাগ্নি জামাই প্রদীপকে চোরের অপবাদ দিয়ে মব তৈরি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৫/৭শ’ অজ্ঞাত নামার বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।