প্রাকৃতিকভাবে জমা হওয়া সাদা পাথরের কারণেই জায়গাটির নাম হয়েছিল সাদাপাথর। অসংখ্য মানুষ যেত পর্যটনে। অবৈধভাবে পাথর তুলে বিক্রি করে দেয়ায় সেই সৌন্দর্যের কোনোকিছুই অবশিষ্ট নেই। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়েই চলছে আলোচনা -সংবাদ
সিলেটের সাদা পাথরে নজিরবিহীন লুটপাটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন (লুটপাট এবং দুর্নীতির অভিযোগে পদ স্থগিত) বলির পাঁঠা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন গডফাদাররা। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সম্পাদকীয় পদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতার প্রশ্রয়ে সাহাব উদ্দিন গং এর মাধ্যমে এই লুটপাট হয়েছে। প্রতিদিনের লুটপাটের লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ হয়েছে ওই নেতাদের। ইতোমধ্যে তদন্তে নেমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, এসব লুটপাটের ভাগ জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি এবং একশ্রেণীর সংবাদকর্মীদেরও দৈনিক এবং সাপ্তাহিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা হতো।
সাদা পাথর ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর গোটা দেশের পর্যটক মহলে যখন হতাশা এবং ক্ষোভ, ঠিক তখনই বুধবার,(১৩ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে ঘটনাস্থলে যায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট দুদকের একটি দল। ঘটনাস্থলে দুদক সাংবাদিকদের জানায়, পর্যটন এলাকায় সাদা পাথর সুরক্ষায় প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল। দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত সাংবাদিকদের বলেন, এটা মূলত স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসনের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল। তাদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার ছিল। এছাড়া খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোসহ যেসব বিভাগের সঙ্গে যুক্ত তাদের লুট ঠেকাতে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, এখানে কয়েকশ’ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাথর আত্মসাৎ করা হয়েছে। পর্যটকরা সাদা পাথর দেখতে এসে হতাশ হচ্ছেন। এত সুন্দর পাথরগুলো লুটে নেয়ায় তারা আফসোস করছেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে। কারা এই লুটের সঙ্গে জড়িত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আশপাশে অনেক স্টোন ক্রাশার মিল। এগুলোতে এখান থেকে পাথর নিয়ে ভাঙা হয়। এছাড়া এর সঙ্গে এখানকার প্রভাবশালী ব্যক্তি, স্থানীয় লোকজন, আরও অনেক উঁচুস্তরের ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীরা জড়িত বলে শুনতে পাচ্ছি। আমরা এসব তথ্য নিয়ে আরও কাজ করবো। তিনি বলেন, আজকের পরির্দশনের প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবো। তারপর তাদের নির্দেশনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। যারা এই লুটের সঙ্গে যুক্ত তাদের সবাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক বছর ধরেই সাদা পাথরের লুটপাট চলছে। গত ১৫ দিনে যা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময়ে সাদা পাথরের সব পাথর লুট করে প্রায় মরুভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। লুটপাট শেষ হওয়ার পর পরিদর্শনে আসা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই উপ-পরিচালক বলেন, আমরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় কাজ করি। নির্দেশনা পেয়ে এখানে এসেছি। তাছাড়া সিলেট কার্যালয় থেকে সাদা পাথরের অনেক দূরত্ব। আমাদের জনবলও কম। তবে দায় অস্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের মাহমুদ আদনান বলেন, ‘সাদা পাথর লুটের ঘটনার খবর পেলেই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্সের টিম অভিযান চালায়। আমরা পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করছি। এছাড়া নিয়মিত ওই এলাকায় টহল দেয়া হয়। এর বাইরে কী আর করার আছে।’ জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি: সাদা পাথরে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। জানামতে, গত মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘লুটপাটের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাদা পাথরে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে এটি তদন্তের জন্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ‘জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আজ একটা সভা আহ্বান করেছি। সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাছাড়া আমাদের অভিযান তো চলমান আছে। আগামীতেও চলবে।
এদিকে বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই চলছে এই লাগামহীন লুটপাট। প্রকাশ্যে প্রশাসনের সামনেই লুটে নেয়া হয় সাদা পাথরের পাথর। এরপর প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কিছুদিন বন্ধ ছিল লুটপাট। তবে গত মাসের শেষ দিকে লুটপাটও আরও বেড়ে যায়। ওই সময়ে মেঘালয়ের পাহাড় থেকে ঢলের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পাথরও নেমে আসে। এরপর থেকে হাজারো শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন চলে লুটপাট। প্রতিদিন শত শত নৌকা দিয়ে লুটের পাথর নিয়ে যাওয়া হয়। গত সোমবার পর্যন্ত এই লুটপাট চলে। তবে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার কারণে গতকাল মঙ্গলবার সাদা পাথরে গিয়ে পাথর তুলতে কাউকে দেখা যায়নি। যদিও গত ১৫ দিনেই একেবারে বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে সাদা পাথরকে। এ সময়ে কয়েকশত কোটি টাকার পাথর লুটে নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কেবল পাথর নয়, নদী তীরের বালি ও মাটি খুঁড়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাদা পাথর লুটের সঙ্গে প্রথম থেকে উঠে এসেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের নাম। যদিও তিনি তা অস্বীকার করে আসছেন। পাথর লুটের অভিযোগে গত সোমবার তার পদ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা লুটপাটে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতার ব্যাপারেও গুঞ্জন রয়েছে।
প্রাকৃতিকভাবে জমা হওয়া সাদা পাথরের কারণেই জায়গাটির নাম হয়েছিল সাদাপাথর। অসংখ্য মানুষ যেত পর্যটনে। অবৈধভাবে পাথর তুলে বিক্রি করে দেয়ায় সেই সৌন্দর্যের কোনোকিছুই অবশিষ্ট নেই। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়েই চলছে আলোচনা -সংবাদ
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
সিলেটের সাদা পাথরে নজিরবিহীন লুটপাটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন (লুটপাট এবং দুর্নীতির অভিযোগে পদ স্থগিত) বলির পাঁঠা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন গডফাদাররা। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সম্পাদকীয় পদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতার প্রশ্রয়ে সাহাব উদ্দিন গং এর মাধ্যমে এই লুটপাট হয়েছে। প্রতিদিনের লুটপাটের লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ হয়েছে ওই নেতাদের। ইতোমধ্যে তদন্তে নেমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, এসব লুটপাটের ভাগ জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি এবং একশ্রেণীর সংবাদকর্মীদেরও দৈনিক এবং সাপ্তাহিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা হতো।
সাদা পাথর ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর গোটা দেশের পর্যটক মহলে যখন হতাশা এবং ক্ষোভ, ঠিক তখনই বুধবার,(১৩ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে ঘটনাস্থলে যায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট দুদকের একটি দল। ঘটনাস্থলে দুদক সাংবাদিকদের জানায়, পর্যটন এলাকায় সাদা পাথর সুরক্ষায় প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল। দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত সাংবাদিকদের বলেন, এটা মূলত স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসনের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল। তাদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার ছিল। এছাড়া খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোসহ যেসব বিভাগের সঙ্গে যুক্ত তাদের লুট ঠেকাতে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, এখানে কয়েকশ’ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাথর আত্মসাৎ করা হয়েছে। পর্যটকরা সাদা পাথর দেখতে এসে হতাশ হচ্ছেন। এত সুন্দর পাথরগুলো লুটে নেয়ায় তারা আফসোস করছেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে। কারা এই লুটের সঙ্গে জড়িত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আশপাশে অনেক স্টোন ক্রাশার মিল। এগুলোতে এখান থেকে পাথর নিয়ে ভাঙা হয়। এছাড়া এর সঙ্গে এখানকার প্রভাবশালী ব্যক্তি, স্থানীয় লোকজন, আরও অনেক উঁচুস্তরের ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীরা জড়িত বলে শুনতে পাচ্ছি। আমরা এসব তথ্য নিয়ে আরও কাজ করবো। তিনি বলেন, আজকের পরির্দশনের প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবো। তারপর তাদের নির্দেশনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। যারা এই লুটের সঙ্গে যুক্ত তাদের সবাইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক বছর ধরেই সাদা পাথরের লুটপাট চলছে। গত ১৫ দিনে যা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময়ে সাদা পাথরের সব পাথর লুট করে প্রায় মরুভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। লুটপাট শেষ হওয়ার পর পরিদর্শনে আসা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই উপ-পরিচালক বলেন, আমরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় কাজ করি। নির্দেশনা পেয়ে এখানে এসেছি। তাছাড়া সিলেট কার্যালয় থেকে সাদা পাথরের অনেক দূরত্ব। আমাদের জনবলও কম। তবে দায় অস্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের মাহমুদ আদনান বলেন, ‘সাদা পাথর লুটের ঘটনার খবর পেলেই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্কফোর্সের টিম অভিযান চালায়। আমরা পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করছি। এছাড়া নিয়মিত ওই এলাকায় টহল দেয়া হয়। এর বাইরে কী আর করার আছে।’ জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি: সাদা পাথরে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। জানামতে, গত মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘লুটপাটের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাদা পাথরে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে এটি তদন্তের জন্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ‘জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আজ একটা সভা আহ্বান করেছি। সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাছাড়া আমাদের অভিযান তো চলমান আছে। আগামীতেও চলবে।
এদিকে বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই চলছে এই লাগামহীন লুটপাট। প্রকাশ্যে প্রশাসনের সামনেই লুটে নেয়া হয় সাদা পাথরের পাথর। এরপর প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কিছুদিন বন্ধ ছিল লুটপাট। তবে গত মাসের শেষ দিকে লুটপাটও আরও বেড়ে যায়। ওই সময়ে মেঘালয়ের পাহাড় থেকে ঢলের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পাথরও নেমে আসে। এরপর থেকে হাজারো শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন চলে লুটপাট। প্রতিদিন শত শত নৌকা দিয়ে লুটের পাথর নিয়ে যাওয়া হয়। গত সোমবার পর্যন্ত এই লুটপাট চলে। তবে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার কারণে গতকাল মঙ্গলবার সাদা পাথরে গিয়ে পাথর তুলতে কাউকে দেখা যায়নি। যদিও গত ১৫ দিনেই একেবারে বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে সাদা পাথরকে। এ সময়ে কয়েকশত কোটি টাকার পাথর লুটে নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কেবল পাথর নয়, নদী তীরের বালি ও মাটি খুঁড়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাদা পাথর লুটের সঙ্গে প্রথম থেকে উঠে এসেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের নাম। যদিও তিনি তা অস্বীকার করে আসছেন। পাথর লুটের অভিযোগে গত সোমবার তার পদ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা লুটপাটে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতার ব্যাপারেও গুঞ্জন রয়েছে।