বুধবার বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে বরিশাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক -সংবাদ
স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভাঙাসহ তিন দফা দাবিতে বুধবার,(১৩ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে আবারও বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাজারো যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।
অবরোধে ভুক্তভোগী যাত্রী-চালকদের ক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে না পেরে ফিরে গেলেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক
এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পাঁচ দিনে সাড়ে ২৫ ঘণ্টা এই মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এতে হাজারো যাত্রী প্রতিদিন মারাত্মক দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন।
এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন বরিশাল ছাড়াও বিভাগের পাঁচ জেলা ও এর উপজেলাগুলোতে অন্তত এক লাখের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। এ ছাড়া এসব গণপরিবহনে যুক্ত আছেন কয়েক হাজার চালক ও শ্রমিক। সড়ক অবরোধে দুর্ভোগের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো শের–এ–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন; স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির বিষয় শুনে তদন্ত সাপেক্ষে আবার সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে না পেরে ফিরে গেলেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক
তিনদিন ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদেরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর দুই দফা অনশন ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় ফিরে গেছেন।
এ বছর এসএসসি পাশ করা অনশনকারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নের তিন দফা দাবি সম্পর্কে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজে বরিশাল এসে তাদের সাথে আলোচনা না করা পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না। স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক পরে উপস্থিত সকলকে জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বুধবার দুপুরে বরিশালে এসে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে যেয়ে তাদেরকে অনশন ভাঙ্গানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু তাতে তিনি ব্যর্থ হন। পরে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বরিশালের বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের সাথে মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি উপস্থিত সেবা গ্রহীতাদের সাথে নিয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বেলা তিনটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফিরে যান।
অনশনকারী শাফিন মাহমুদ বলেন, গত ১৭ দিন ধরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য বরিশালে আন্দোলন চলছে। তিন দিন ধরে আমরা অনশন করছি। এখন পর্যন্ত সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যতক্ষণ পর্যন্ত বরিশালে এসে সমস্যার সমাধান না দেবেন ততদিন আন্দোলন চলবে। যদি একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সঠিক চিকিৎসা পায় সেই মৃত্যু আমরা মেনে নেব।
গত ১৭দিন ধরে চলা আন্দোলনকারীদের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, এখনও সরকারের টনক নড়েনি। বাধ্য হয়ে আমাদের ব্লকেড কর্মসূচীর সাথে গণঅনশন কর্মসূচীও আরম্ভ করব।
বুধবার বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে বরিশাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক -সংবাদ
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভাঙাসহ তিন দফা দাবিতে বুধবার,(১৩ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে আবারও বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হাজারো যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।
অবরোধে ভুক্তভোগী যাত্রী-চালকদের ক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে না পেরে ফিরে গেলেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক
এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পাঁচ দিনে সাড়ে ২৫ ঘণ্টা এই মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এতে হাজারো যাত্রী প্রতিদিন মারাত্মক দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন।
এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন বরিশাল ছাড়াও বিভাগের পাঁচ জেলা ও এর উপজেলাগুলোতে অন্তত এক লাখের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। এ ছাড়া এসব গণপরিবহনে যুক্ত আছেন কয়েক হাজার চালক ও শ্রমিক। সড়ক অবরোধে দুর্ভোগের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো শের–এ–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন; স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির বিষয় শুনে তদন্ত সাপেক্ষে আবার সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে না পেরে ফিরে গেলেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক
তিনদিন ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদেরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর দুই দফা অনশন ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ঢাকায় ফিরে গেছেন।
এ বছর এসএসসি পাশ করা অনশনকারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নের তিন দফা দাবি সম্পর্কে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজে বরিশাল এসে তাদের সাথে আলোচনা না করা পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না। স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক পরে উপস্থিত সকলকে জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বুধবার দুপুরে বরিশালে এসে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে যেয়ে তাদেরকে অনশন ভাঙ্গানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু তাতে তিনি ব্যর্থ হন। পরে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বরিশালের বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের সাথে মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি উপস্থিত সেবা গ্রহীতাদের সাথে নিয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বেলা তিনটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফিরে যান।
অনশনকারী শাফিন মাহমুদ বলেন, গত ১৭ দিন ধরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য বরিশালে আন্দোলন চলছে। তিন দিন ধরে আমরা অনশন করছি। এখন পর্যন্ত সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যতক্ষণ পর্যন্ত বরিশালে এসে সমস্যার সমাধান না দেবেন ততদিন আন্দোলন চলবে। যদি একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সঠিক চিকিৎসা পায় সেই মৃত্যু আমরা মেনে নেব।
গত ১৭দিন ধরে চলা আন্দোলনকারীদের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, এখনও সরকারের টনক নড়েনি। বাধ্য হয়ে আমাদের ব্লকেড কর্মসূচীর সাথে গণঅনশন কর্মসূচীও আরম্ভ করব।