স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দেশে সংস্কারের গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আর মাত্র ছয় মাস বাকি, এখনো প্রক্রিয়া শেষ না করলে সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা অনিশ্চিত। কী কী সংস্কার হবে, সেটিও এখনো জানা যায়নি।
সোমবার সকালে গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ’ নামের নতুন উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, কোনো একটি লিখিত কাগজে ৩০টি দল স্বাক্ষর করলেই সংস্কার হয় না। এসব বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্দিষ্ট বাজেট প্রয়োজন। কিছু দল বলছে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু কী সংস্কার হবে, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সংস্কারের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদে বিশদ আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম পাস হওয়ার কথা থাকলেও এত বছরেও সেই সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। নাগরিক সমাজের কাজ শুধু কাগজপত্র তৈরি করা নয়, বরং প্রতিনিয়ত প্রশ্ন তোলা উচিত ছিল। কিন্তু সেই দায়িত্ব তারা পালন করেনি। তাঁর প্রশ্ন, এখন কি আমরা একত্র হয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে পারি?
সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে রেহমান সোবহান বলেন, এই সমাজ যদি শুধু সেমিনার আয়োজনের বাইরে এসে কার্যকর ভূমিকা রাখে, তাহলে তা মানুষের জন্য বেশি উপকারে আসবে।
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দেশে সংস্কারের গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আর মাত্র ছয় মাস বাকি, এখনো প্রক্রিয়া শেষ না করলে সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা অনিশ্চিত। কী কী সংস্কার হবে, সেটিও এখনো জানা যায়নি।
সোমবার সকালে গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ’ নামের নতুন উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, কোনো একটি লিখিত কাগজে ৩০টি দল স্বাক্ষর করলেই সংস্কার হয় না। এসব বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্দিষ্ট বাজেট প্রয়োজন। কিছু দল বলছে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু কী সংস্কার হবে, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সংস্কারের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদে বিশদ আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম পাস হওয়ার কথা থাকলেও এত বছরেও সেই সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। নাগরিক সমাজের কাজ শুধু কাগজপত্র তৈরি করা নয়, বরং প্রতিনিয়ত প্রশ্ন তোলা উচিত ছিল। কিন্তু সেই দায়িত্ব তারা পালন করেনি। তাঁর প্রশ্ন, এখন কি আমরা একত্র হয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে পারি?
সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে রেহমান সোবহান বলেন, এই সমাজ যদি শুধু সেমিনার আয়োজনের বাইরে এসে কার্যকর ভূমিকা রাখে, তাহলে তা মানুষের জন্য বেশি উপকারে আসবে।