পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার তিন মামলায় ছয় জন করে মোট ১৮ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করেন। সাক্ষীরা হলেন- গণভবন শাখার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গৌতম কুমার সিকদার, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, কর অঞ্চল-৬ এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল হক, নোটিস সার্ভার আবু তাহের, কর অঞ্চল খুলনা কর পরিদর্শক লুৎফর রহমান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন।
সাক্ষীগ্রহণের পর দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, “রাজউক অঞ্চলে প্লট পেতে হলে রাজউক আইনে একটি হলফনামা দিতে হয়। হলফনামায় উল্লেখ থাকতে হবে, তার নিজের, রক্তের বা নিকটাত্মীয় কারো ফ্ল্যাট বা প্লট রাজধানীর বুকে নেই। শেখ হাসিনার ছেলে জয় এবং মেয়ে পুতুল এই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, রাজউকের এরিয়া নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার কোথাও তাদের নামে বা আত্মীয়ের নামে কোনো সম্পত্তি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “হলফনামায় বলা হয়েছে, আত্মীয়-স্বজন বা রক্তের সম্পর্কের কারো বাড়ি থাকলে তারা প্লট পাবে না। তবে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য উল্লেখ করে তারা পূর্বাচলের প্লট বাগিয়েছেন। এই কাজে তাদের মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া তাদের আয়কর তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। যদি আয়বর্হিভূত অর্থ দিয়ে প্লট কেনা হয়, তাহলে এটি একটি অপরাধমূলক কাণ্ড।”
এর আগে, ১১ অগাস্ট বিচার শুরুর প্রথম দিনে তিন মামলার তিন বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।
গত ৩১ জুলাই পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
শেখ পরিবারের অন্যান্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহেনার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
শেখ পরিবার ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এই ছয় মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হলেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন।”
পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার তিন মামলায় ছয় জন করে মোট ১৮ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করেন। সাক্ষীরা হলেন- গণভবন শাখার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গৌতম কুমার সিকদার, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, কর অঞ্চল-৬ এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল হক, নোটিস সার্ভার আবু তাহের, কর অঞ্চল খুলনা কর পরিদর্শক লুৎফর রহমান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন।
সাক্ষীগ্রহণের পর দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, “রাজউক অঞ্চলে প্লট পেতে হলে রাজউক আইনে একটি হলফনামা দিতে হয়। হলফনামায় উল্লেখ থাকতে হবে, তার নিজের, রক্তের বা নিকটাত্মীয় কারো ফ্ল্যাট বা প্লট রাজধানীর বুকে নেই। শেখ হাসিনার ছেলে জয় এবং মেয়ে পুতুল এই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, রাজউকের এরিয়া নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার কোথাও তাদের নামে বা আত্মীয়ের নামে কোনো সম্পত্তি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “হলফনামায় বলা হয়েছে, আত্মীয়-স্বজন বা রক্তের সম্পর্কের কারো বাড়ি থাকলে তারা প্লট পাবে না। তবে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য উল্লেখ করে তারা পূর্বাচলের প্লট বাগিয়েছেন। এই কাজে তাদের মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া তাদের আয়কর তথ্যেও গড়মিল রয়েছে। যদি আয়বর্হিভূত অর্থ দিয়ে প্লট কেনা হয়, তাহলে এটি একটি অপরাধমূলক কাণ্ড।”
এর আগে, ১১ অগাস্ট বিচার শুরুর প্রথম দিনে তিন মামলার তিন বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।
গত ৩১ জুলাই পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
শেখ পরিবারের অন্যান্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহেনার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
শেখ পরিবার ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এই ছয় মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হলেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন।”
পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে।