গেল বছরের জুলাই ও অগাস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া দেড় হাজারেরও বেশি মামলার মধ্যে আরও ৮টিতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এতে করে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হলো।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দপ্তর জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারাদেশে হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় মোট ১ হাজার ৭৩০টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২১ অগাস্ট পর্যন্ত ২৬টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে আরও ৮টি যোগ হওয়ায় সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪-এ।
এই ৩৪টি মামলার মধ্যে ১৩টি হত্যা মামলা এবং বাকি ২১টি অন্যান্য ধারার।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও কুড়িগ্রাম জেলা, এছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ মোট ১৩টি হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে। অপরদিকে বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলা এবং ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ ২১টি অন্যান্য ধারার মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে।
অভিযোগপত্র দেওয়া হত্যা মামলাগুলোতে আসামি রয়েছেন ১ হাজার ৩৯০ জন, আর অন্যান্য ধারার মামলাগুলোতে আসামি ৭৭৭ জন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। এর কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
আন্দোলন মোকাবেলায় সরকারের জবাব ছিল গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ। প্রথমে ফেসবুক, পরে পুরো ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই আন্দোলনে রক্তপাত শুরু হয় এবং লাশের মিছিল দীর্ঘ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মুখে পড়ে। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন।
সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকা সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, যেখানে শহীদের সংখ্যা আটশোর বেশি উল্লেখ রয়েছে। তবে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সহিংসতায় ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে।
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গেল বছরের জুলাই ও অগাস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া দেড় হাজারেরও বেশি মামলার মধ্যে আরও ৮টিতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এতে করে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হলো।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দপ্তর জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারাদেশে হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় মোট ১ হাজার ৭৩০টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২১ অগাস্ট পর্যন্ত ২৬টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে আরও ৮টি যোগ হওয়ায় সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪-এ।
এই ৩৪টি মামলার মধ্যে ১৩টি হত্যা মামলা এবং বাকি ২১টি অন্যান্য ধারার।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও কুড়িগ্রাম জেলা, এছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ মোট ১৩টি হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে। অপরদিকে বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলা এবং ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ ২১টি অন্যান্য ধারার মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে।
অভিযোগপত্র দেওয়া হত্যা মামলাগুলোতে আসামি রয়েছেন ১ হাজার ৩৯০ জন, আর অন্যান্য ধারার মামলাগুলোতে আসামি ৭৭৭ জন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। এর কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
আন্দোলন মোকাবেলায় সরকারের জবাব ছিল গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ। প্রথমে ফেসবুক, পরে পুরো ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই আন্দোলনে রক্তপাত শুরু হয় এবং লাশের মিছিল দীর্ঘ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মুখে পড়ে। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন।
সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকা সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, যেখানে শহীদের সংখ্যা আটশোর বেশি উল্লেখ রয়েছে। তবে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সহিংসতায় ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে।