লটারিতে জেলা প্রশাসক পদায়ন নয়
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বদলি করা যায় কিনা, সেটি ভেবে দেখার বিষয়ে আলোচনা হলেও এ নিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছেন, কোনো দিন লটারির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে পদায়ন হয় না, এখনও হচ্ছে না, হবেও না।
বুধবার,(০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চার হাজার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিয়োগ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, এর মধ্যে ৫০ শতাংশ নিয়োগ হবে সরাসরি এবং ৫০ শতাংশ নিয়োগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে।
এ বিষয়ে বিধিমালা সংশোধনের কাজেই জনপ্রশাসনে এসেছিলেন জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘বিধিতে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন ছিল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেটি করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে নিয়োগের পথটা একটু সুগম হলো। যে বিধি তৈরি হচ্ছে, সেখানে মাইনর কিছু সংশোধনীর দরকার ছিল।’
কতদিনের মধ্যে এ নিয়োগ হবে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগটা করে ফেলতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বেশ কিছু ফোর্সের নিয়োগের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। সেগুলোর কাজই করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘পুলিশের আইজিপি ও একটি প্রতিনিধিদল এসেছিল। পুলিশ রেগুলেশনের (বিধিমালা) দুই-একটি সংশোধনের মাধ্যমে নিয়োগটা যেন দ্রুত হয়, সেজন্য একত্রে বসে সভা করা হয়েছে। এতে এএসআইসহ অন্যান্য যে নিয়োগ চলছে, সেগুলো দ্রুত হবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘আজই আমরা আদেশটি দেয়ার চেষ্টা করব। নিয়োগে কিছু জায়গায় প্রতিবন্ধকতা ছিল; সেগুলো আর থাকবে না। অর্থমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলে আমরা এসব পদ সৃষ্টি করেছি। সামনে নির্বাচন, সেখানে মাঠে যে বাহিনী থাকে, তারা হলো পুলিশ। এসব কাজ যেন এক বসাতে শেষ করা যায়, সেজন্য আমরা আজ বসেছিলাম। এর বাইরে সিপাহী পদে যখন যেটা দরকার, নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রদবদল করা হবে। এসব রদবদল লটারির মাধ্যমে করা যায় কিনা, সেটি ভেবে দেখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত ১০ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে নির্বাচনের জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে লটারির মাধ্যমে রদবদলের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসক পদে রদবদল লটারির মাধ্যমে করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে জেষ্ঠ্য সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘কোনো দিন লটারির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে পোস্টিং হয় না, এখনও হচ্ছে না, হবে না।’
এখন অভিযোগের বিপরীতে ডিসি প্রত্যাহার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাছাই তালিকা (ফিট লিস্ট) আছে। মাঝে কিছু হয়েছে, সামনে আরও হবে। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া জেলা প্রশাসকদের নির্বাচনের আগে তুলে আনা হবে বলেও জানান জনপ্রশাসন সচিব।
নির্বাচনের আগে কর্মকর্তা বদলি নিয়ে অন্য প্রশ্নের জবাবে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাই, প্র্যাকটিস দেখেছেন, তখন এ বদলিগুলো করবে নির্বাচন কমিশন। সেখানে কারও কোনো বলার থাকবে না, তদবির থাকবে না। যাকে যেখানে দেয়া হবে, সেখানে যেতে বাধ্য।’
সিনিয়র সচিব বলেন, তারা এমন নির্বাচন চান যেটি নিয়ে ‘সবাই গর্ববোধ’ করবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা ও নির্দেশনাসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, এবার কেউ এতটুকু যদি এদিক-ওদিক কারও পক্ষে বা দলের পক্ষে....আমরা এখন পর্যন্ত জানি সে রকম নাই.....যদি আমরা এ রকম বুঝি, তাহলে তাকে প্রত্যাহার করা হবে এবং প্রচলিত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওা হবে।’
লটারিতে জেলা প্রশাসক পদায়ন নয়
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বদলি করা যায় কিনা, সেটি ভেবে দেখার বিষয়ে আলোচনা হলেও এ নিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেছেন, কোনো দিন লটারির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে পদায়ন হয় না, এখনও হচ্ছে না, হবেও না।
বুধবার,(০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চার হাজার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিয়োগ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, এর মধ্যে ৫০ শতাংশ নিয়োগ হবে সরাসরি এবং ৫০ শতাংশ নিয়োগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে।
এ বিষয়ে বিধিমালা সংশোধনের কাজেই জনপ্রশাসনে এসেছিলেন জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘বিধিতে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন ছিল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেটি করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে নিয়োগের পথটা একটু সুগম হলো। যে বিধি তৈরি হচ্ছে, সেখানে মাইনর কিছু সংশোধনীর দরকার ছিল।’
কতদিনের মধ্যে এ নিয়োগ হবে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগটা করে ফেলতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বেশ কিছু ফোর্সের নিয়োগের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। সেগুলোর কাজই করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘পুলিশের আইজিপি ও একটি প্রতিনিধিদল এসেছিল। পুলিশ রেগুলেশনের (বিধিমালা) দুই-একটি সংশোধনের মাধ্যমে নিয়োগটা যেন দ্রুত হয়, সেজন্য একত্রে বসে সভা করা হয়েছে। এতে এএসআইসহ অন্যান্য যে নিয়োগ চলছে, সেগুলো দ্রুত হবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘আজই আমরা আদেশটি দেয়ার চেষ্টা করব। নিয়োগে কিছু জায়গায় প্রতিবন্ধকতা ছিল; সেগুলো আর থাকবে না। অর্থমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলে আমরা এসব পদ সৃষ্টি করেছি। সামনে নির্বাচন, সেখানে মাঠে যে বাহিনী থাকে, তারা হলো পুলিশ। এসব কাজ যেন এক বসাতে শেষ করা যায়, সেজন্য আমরা আজ বসেছিলাম। এর বাইরে সিপাহী পদে যখন যেটা দরকার, নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রদবদল করা হবে। এসব রদবদল লটারির মাধ্যমে করা যায় কিনা, সেটি ভেবে দেখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত ১০ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে নির্বাচনের জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে লটারির মাধ্যমে রদবদলের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসক পদে রদবদল লটারির মাধ্যমে করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে জেষ্ঠ্য সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘কোনো দিন লটারির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে পোস্টিং হয় না, এখনও হচ্ছে না, হবে না।’
এখন অভিযোগের বিপরীতে ডিসি প্রত্যাহার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাছাই তালিকা (ফিট লিস্ট) আছে। মাঝে কিছু হয়েছে, সামনে আরও হবে। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া জেলা প্রশাসকদের নির্বাচনের আগে তুলে আনা হবে বলেও জানান জনপ্রশাসন সচিব।
নির্বাচনের আগে কর্মকর্তা বদলি নিয়ে অন্য প্রশ্নের জবাবে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাই, প্র্যাকটিস দেখেছেন, তখন এ বদলিগুলো করবে নির্বাচন কমিশন। সেখানে কারও কোনো বলার থাকবে না, তদবির থাকবে না। যাকে যেখানে দেয়া হবে, সেখানে যেতে বাধ্য।’
সিনিয়র সচিব বলেন, তারা এমন নির্বাচন চান যেটি নিয়ে ‘সবাই গর্ববোধ’ করবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা ও নির্দেশনাসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, এবার কেউ এতটুকু যদি এদিক-ওদিক কারও পক্ষে বা দলের পক্ষে....আমরা এখন পর্যন্ত জানি সে রকম নাই.....যদি আমরা এ রকম বুঝি, তাহলে তাকে প্রত্যাহার করা হবে এবং প্রচলিত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওা হবে।’