ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাংবাদিক তথা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে সম্প্রতি জারি করা গণমাধ্যম নীতিমালা পর্যালোচনা করে সংশোধনের আশ্বাসও দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার,(০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা এ আশ্বাস দেন। কানাডা সফরের প্রস্তুতিতে থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার দেশে আস্থার সংকটকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেন। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সবচেয়ে মুশকিল হয়ে গেল কী, আমি আপনি আপনারা, সবাই মিলে কেউ কিন্তু আস্থার জায়গায় নেই।’ এ সংকট উত্তরণে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
কমিশন এবং সাংবাদিক উভয়েই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচনে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না এবং সাংবাদিকদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যা ভালো, তাই করা হবে। তিনি বলেন, ‘ভুল হতে পারে কিন্তু কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না আমরা।’
গত ২৩ জুলাই নির্বাচন কমিশন ‘সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করে। এ নীতিমালার বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন আরএফইডি নেতারা। তাদের মতে, বিদ্যমান নীতিমালা সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করবে।
সভায় আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল সংগঠনের পক্ষ থেকে নীতিমালার কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবগত করার বিধান বাতিল করা। নির্বাচনী অনিয়মের ক্ষেত্রে গোপন কক্ষের ছবি তোলার সুযোগ রাখা। একসঙ্গে অন্তত পাঁচজন সাংবাদিককে ভোট কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেয়া। গণমাধ্যমকর্মীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে শাস্তিমূলক বিধান যুক্ত করা।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একসঙ্গে দুজনের বেশি সাংবাদিক ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং সর্বোচ্চ ১০ মিনিট অবস্থান করতে পারবেন। এছাড়া ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমেদ স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণের পরিবর্তে খোলা মাঠে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে তার পুরানো মত পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছ নির্বাচন যদি চান তাহলে, খোলা জায়গায় নির্বাচন করার মানসিকতা তৈরি করেন, সেটাই হবে স্বচ্ছ নির্বাচন।’ তবে তিনি একসঙ্গে অনেক সাংবাদিককে ভোটকক্ষে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ইসি সচিব অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন। আরএফইডির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সভাটি সঞ্চালনা করেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাংবাদিক তথা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে সম্প্রতি জারি করা গণমাধ্যম নীতিমালা পর্যালোচনা করে সংশোধনের আশ্বাসও দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার,(০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা এ আশ্বাস দেন। কানাডা সফরের প্রস্তুতিতে থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার দেশে আস্থার সংকটকে ‘জাতীয় সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেন। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সবচেয়ে মুশকিল হয়ে গেল কী, আমি আপনি আপনারা, সবাই মিলে কেউ কিন্তু আস্থার জায়গায় নেই।’ এ সংকট উত্তরণে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
কমিশন এবং সাংবাদিক উভয়েই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচনে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না এবং সাংবাদিকদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যা ভালো, তাই করা হবে। তিনি বলেন, ‘ভুল হতে পারে কিন্তু কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না আমরা।’
গত ২৩ জুলাই নির্বাচন কমিশন ‘সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করে। এ নীতিমালার বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন আরএফইডি নেতারা। তাদের মতে, বিদ্যমান নীতিমালা সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করবে।
সভায় আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল সংগঠনের পক্ষ থেকে নীতিমালার কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবগত করার বিধান বাতিল করা। নির্বাচনী অনিয়মের ক্ষেত্রে গোপন কক্ষের ছবি তোলার সুযোগ রাখা। একসঙ্গে অন্তত পাঁচজন সাংবাদিককে ভোট কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেয়া। গণমাধ্যমকর্মীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে শাস্তিমূলক বিধান যুক্ত করা।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একসঙ্গে দুজনের বেশি সাংবাদিক ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং সর্বোচ্চ ১০ মিনিট অবস্থান করতে পারবেন। এছাড়া ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমেদ স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণের পরিবর্তে খোলা মাঠে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে তার পুরানো মত পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছ নির্বাচন যদি চান তাহলে, খোলা জায়গায় নির্বাচন করার মানসিকতা তৈরি করেন, সেটাই হবে স্বচ্ছ নির্বাচন।’ তবে তিনি একসঙ্গে অনেক সাংবাদিককে ভোটকক্ষে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ইসি সচিব অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন। আরএফইডির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সভাটি সঞ্চালনা করেন।