ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধন করে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন এ বিধিমালায় নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টারের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কোনো ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলসহ কঠোর শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন এ সংশোধিত আচরণবিধি চূড়ান্ত করে এবং ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগেই এটি কার্যকর হবে।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রচারের জন্য একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। প্রতিটি বিলবোর্ডের আকার হবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট বাই ৯ ফুট। বিলবোর্ডে শুধুমাত্র ডিজিটাল আলো ব্যবহার করা যাবে। আলোকসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেয়া হয়েছে। রেক্সিন, পলিথিন, প্লাস্টিক বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদানে তৈরি লিফলেট, ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অসৎ বা ক্ষতিকর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এআই ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার বা নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং চালালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম বা এআই ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা যাবে না। প্রার্থী বা দলকে তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট আইডি ও অন্যান্য তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় এবার শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিধি লঙ্ঘনে জরিমানা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের দিন এবং প্রচারের সময় ড্রোন বা কোয়াডকপ্টারের মতো যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিভিআইপি) তালিকায় উপদেষ্টাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে তারাও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। দলীয় প্রধানের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের নেতারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে লিফলেট বা প্রচারসামগ্রী বিতরণ করা যাবে না। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল মাত্রায় মাইক বা লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজ আসনে সব প্রার্থীকে নিয়ে একদিনে ইশতেহার ঘোষণার ব্যবস্থা করবেন।
আচরণবিধিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ। এজন্য সরকারের আলাদা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধন করে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন এ বিধিমালায় নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টারের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কোনো ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলসহ কঠোর শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন এ সংশোধিত আচরণবিধি চূড়ান্ত করে এবং ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগেই এটি কার্যকর হবে।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রচারের জন্য একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। প্রতিটি বিলবোর্ডের আকার হবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট বাই ৯ ফুট। বিলবোর্ডে শুধুমাত্র ডিজিটাল আলো ব্যবহার করা যাবে। আলোকসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেয়া হয়েছে। রেক্সিন, পলিথিন, প্লাস্টিক বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদানে তৈরি লিফলেট, ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অসৎ বা ক্ষতিকর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এআই ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার বা নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং চালালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম বা এআই ব্যবহার করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা যাবে না। প্রার্থী বা দলকে তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট আইডি ও অন্যান্য তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় এবার শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিধি লঙ্ঘনে জরিমানা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের দিন এবং প্রচারের সময় ড্রোন বা কোয়াডকপ্টারের মতো যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিভিআইপি) তালিকায় উপদেষ্টাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে তারাও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। দলীয় প্রধানের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের নেতারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে লিফলেট বা প্রচারসামগ্রী বিতরণ করা যাবে না। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল মাত্রায় মাইক বা লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজ আসনে সব প্রার্থীকে নিয়ে একদিনে ইশতেহার ঘোষণার ব্যবস্থা করবেন।
আচরণবিধিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ। এজন্য সরকারের আলাদা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।