আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪৬টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৫৪টি আসন অপরিবর্তিত রাখা হলেও বাকিগুলোতে হেরফের করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, সবশেষ খসড়ায় ৩৯টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে দাবি-আপত্তি শুনানির পর আরও কিছু আসনে পরিবর্তন আনা হয়। ফলে চূড়ান্তভাবে এবার ৪৬ আসনের সীমানা পরিবর্তন হলো।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “এবার সুচারুভাবে ও বিশেষায়িত কমিটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন নির্বাচন প্রস্তুতির বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কাজটি শেষ হওয়ায় ইসির কার্যক্রমে গতি আসবে।”
গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে, অন্যদিকে বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে তিনটিতে নামানো হয়েছে।
যেসব আসনে পরিবর্তন এসেছে: পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-১ ও ৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, পাবনা-১ ও ২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, ৩ ও ৪, মানিকগঞ্জ-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৪, ৫, ৭, ১০ ও ১৪, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, ফরিদপুর-২ ও ৪, শরীয়তপুর-২ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬ ও ১০, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ এবং চট্টগ্রাম-৭ ও ৮।
খসড়া নিয়ে মোট ৮৪টি আসনে আপত্তি জানিয়ে ১ হাজার ৮৯৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। গত ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট টানা শুনানি শেষে সেসব নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি।
আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যাপকভাবে ১৩৩ আসনের সীমানা পরিবর্তন হয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে ২৫টি আসনে, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালে প্রায় এক ডজন আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়। তবে এবারের পরিবর্তনের পরিমাণ গত কয়েক নির্বাচনের তুলনায় অনেক বেশি।
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪৬টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৫৪টি আসন অপরিবর্তিত রাখা হলেও বাকিগুলোতে হেরফের করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, সবশেষ খসড়ায় ৩৯টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে দাবি-আপত্তি শুনানির পর আরও কিছু আসনে পরিবর্তন আনা হয়। ফলে চূড়ান্তভাবে এবার ৪৬ আসনের সীমানা পরিবর্তন হলো।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “এবার সুচারুভাবে ও বিশেষায়িত কমিটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন নির্বাচন প্রস্তুতির বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কাজটি শেষ হওয়ায় ইসির কার্যক্রমে গতি আসবে।”
গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে, অন্যদিকে বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে তিনটিতে নামানো হয়েছে।
যেসব আসনে পরিবর্তন এসেছে: পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-১ ও ৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, পাবনা-১ ও ২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, ৩ ও ৪, মানিকগঞ্জ-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৪, ৫, ৭, ১০ ও ১৪, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, ফরিদপুর-২ ও ৪, শরীয়তপুর-২ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬ ও ১০, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ এবং চট্টগ্রাম-৭ ও ৮।
খসড়া নিয়ে মোট ৮৪টি আসনে আপত্তি জানিয়ে ১ হাজার ৮৯৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। গত ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট টানা শুনানি শেষে সেসব নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি।
আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যাপকভাবে ১৩৩ আসনের সীমানা পরিবর্তন হয়েছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে ২৫টি আসনে, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালে প্রায় এক ডজন আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়। তবে এবারের পরিবর্তনের পরিমাণ গত কয়েক নির্বাচনের তুলনায় অনেক বেশি।