পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আদালতে সাংবাদিকদের ওপর কয়েকজন আইনজীবীর হামলা ও হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে সাংবাদিকদের দুটি সংগঠন ও একটি রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার, (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পৃথক বিবৃতি দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
এছাড়া বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন শুনানিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের এজলাসে আইনজীবীদের হামলা ও হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রোমিও এবং আসিফ মোহাম্মদ সিয়াম। বিচারকের সামনেই সিয়ামকে ঘিরে ধরে মারধর করেন কয়েকজন আইনজীবী।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন পান্নার কাছে মুক্তাদির রশীদ জানতে চান তাকে কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা। সে সময় তাকে এজলাস থেকে বের হয়ে যেতে ধমকাতে থাকেন আইনজীবী মহিউদ্দিন মাহী।
একপর্যায়ে এ আইনজীবী মুক্তাদির রশীদকে মারতে উদ্যত হলে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন পাশে থাকা সাংবাদিক সিয়াম।
তখন এজলাসে থাকা কয়েকজন আইনজীবী সাংবাদিক সিয়ামকে ঘিরে ধরে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন।
এ ঘটনায় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হুমকি। এর আগেও আদালতপাড়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই হামলাগুলোর বিচার হলে আবারও এমন ঘটনা ঘটতো না।’
‘হামলা রোধ ও হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাচ্ছে ডিআরইউ।’
একই ঘটনায় ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্।
আলাদা এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেছেন, ‘কয়েকজন আইনজীবীর প্রকাশ্য হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদ সংগ্রহের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন।
‘আদালত প্রাঙ্গণের মতো সংবেদনশীল ও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের ওপর এ ধরনের হামলা আদালতের ভাবমূর্তি ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি পুরো সাংবাদিক সমাজকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার এক পরিকল্পিত অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করছি।’
একই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান ফজলুল করীম মারুফ।
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আদালতে সাংবাদিকদের ওপর কয়েকজন আইনজীবীর হামলা ও হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে সাংবাদিকদের দুটি সংগঠন ও একটি রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার, (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পৃথক বিবৃতি দিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
এছাড়া বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন শুনানিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের এজলাসে আইনজীবীদের হামলা ও হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রোমিও এবং আসিফ মোহাম্মদ সিয়াম। বিচারকের সামনেই সিয়ামকে ঘিরে ধরে মারধর করেন কয়েকজন আইনজীবী।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন পান্নার কাছে মুক্তাদির রশীদ জানতে চান তাকে কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা। সে সময় তাকে এজলাস থেকে বের হয়ে যেতে ধমকাতে থাকেন আইনজীবী মহিউদ্দিন মাহী।
একপর্যায়ে এ আইনজীবী মুক্তাদির রশীদকে মারতে উদ্যত হলে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন পাশে থাকা সাংবাদিক সিয়াম।
তখন এজলাসে থাকা কয়েকজন আইনজীবী সাংবাদিক সিয়ামকে ঘিরে ধরে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন।
এ ঘটনায় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হুমকি। এর আগেও আদালতপাড়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই হামলাগুলোর বিচার হলে আবারও এমন ঘটনা ঘটতো না।’
‘হামলা রোধ ও হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাচ্ছে ডিআরইউ।’
একই ঘটনায় ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্।
আলাদা এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেছেন, ‘কয়েকজন আইনজীবীর প্রকাশ্য হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদ সংগ্রহের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন।
‘আদালত প্রাঙ্গণের মতো সংবেদনশীল ও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের ওপর এ ধরনের হামলা আদালতের ভাবমূর্তি ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি পুরো সাংবাদিক সমাজকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার এক পরিকল্পিত অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করছি।’
একই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান ফজলুল করীম মারুফ।