ভাদ্রের গরমকে অনেকে ‘তালপাকা গরম’ বলে থাকেন। শরতের এ মাসের শেষ দিকে এসে সেটি যেন ভালোভাবেই টের পাচ্ছে মানুষ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।
ঢাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ
ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এসময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলায় তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও রোদের দাপট কমেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ।
বাংলামোটর এলাকায় পানি বিক্রি করছিল শিশু সজীব হোসেন। ক্লান্ত হয়ে ফুটপাতে হাঁটু মুড়ে বসেছিলেন তিনি। জানতে চাইলে বলেন, “পানি বিক্রি করে লাভের টাকায় পানিই খাচ্ছি; অসম্ভব গরম। বাসে ছোটাছুটি করে কিছুক্ষণ পানি বিক্রি করলে ক্লান্তি লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। তাই এভাবে বসে ছিলাম।”
কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাতের চা দোকানি মো. আবিদ হোসেনও বলেন, “গরমে অবস্থা নাজেহাল। একটা ছোট টেবিল ফ্যান চলে সারাক্ষণ, তারপরও গরম কমে না।”
বৃষ্টির আভাস
এ অবস্থায় সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, দেশের কোথাও ১০ তারিখ, কোথাও ১১ বা ১২ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে এবং ১১ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাতের বুলেটিনে বলা হয়, ভারতের রাজস্থান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তর গুজরাট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে এবং পরে গভীর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এই সময়ে রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
কোথায় কত তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে—৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, উপজেলাটিতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বান্দরবানে—২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ৭৯ মিলিমিটার। এছাড়া নেত্রকোণায় ৭৬, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫৪ এবং কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভাদ্রের গরমকে অনেকে ‘তালপাকা গরম’ বলে থাকেন। শরতের এ মাসের শেষ দিকে এসে সেটি যেন ভালোভাবেই টের পাচ্ছে মানুষ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।
ঢাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ
ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এসময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলায় তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও রোদের দাপট কমেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ।
বাংলামোটর এলাকায় পানি বিক্রি করছিল শিশু সজীব হোসেন। ক্লান্ত হয়ে ফুটপাতে হাঁটু মুড়ে বসেছিলেন তিনি। জানতে চাইলে বলেন, “পানি বিক্রি করে লাভের টাকায় পানিই খাচ্ছি; অসম্ভব গরম। বাসে ছোটাছুটি করে কিছুক্ষণ পানি বিক্রি করলে ক্লান্তি লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। তাই এভাবে বসে ছিলাম।”
কারওয়ান বাজার এলাকার ফুটপাতের চা দোকানি মো. আবিদ হোসেনও বলেন, “গরমে অবস্থা নাজেহাল। একটা ছোট টেবিল ফ্যান চলে সারাক্ষণ, তারপরও গরম কমে না।”
বৃষ্টির আভাস
এ অবস্থায় সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, দেশের কোথাও ১০ তারিখ, কোথাও ১১ বা ১২ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে এবং ১১ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রাতের বুলেটিনে বলা হয়, ভারতের রাজস্থান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুষ্পষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তর গুজরাট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে এবং পরে গভীর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এই সময়ে রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
কোথায় কত তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে—৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, উপজেলাটিতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বান্দরবানে—২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ৭৯ মিলিমিটার। এছাড়া নেত্রকোণায় ৭৬, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫৪ এবং কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।