শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সহায়তার প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেড়শ’ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ জন্য ইইউ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
সোমবার, (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইইউয়ের প্রাক-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আর গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে যুক্তরাজ্যের সহায়তা করার কথা জানিয়েছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সারাহ কুক। তার নেতৃত্বে ২ সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইইউ’র সঙ্গে ইসির বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটা ‘ডেলিগেশন’ ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘ওনারা এসেছিলেন একটা অ্যাসেসমেন্ট টিম আমাদের মূলত কয়েকটা জিনিসের ব্যাপারে ক্ল্যারিফিকেশন চেয়েছেন। ক্ল্যারিফিকেশনটা হচ্ছে যে ওরা একটা এমওইউ করবেন আমাদের সঙ্গে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইইউ’র একটা ত্রিপক্ষীয় এমওইউ হবে জানিয়ে সচিব বলেন, “যে এমওইউর ধারাবাহিকতায় ওনাদের প্রতিনিধিদলরা আসবেন। আমরা জানতে চেয়েছিলাম যে মোটামুটিভাবে আপনাদের প্রতি দলের সদস্য সংখ্যা কত হবে? তো আমাদের যেটা ধারণা দিয়েছেন সেটা হচ্ছে দেড়শ’র মতো।”
পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন কিনা? তা ইইউয়ের প্রাক-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছেন বলেও জানান ইসি সচিব।
দেড়শ’ পর্যবেক্ষকদের সবাই একসঙ্গে আসবেন না জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদাভাবে ভাগ ইইউয়ের পর্যবেক্ষকরা দেশে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গেজেট নোটিফিকেশন পাবলিকেশন পর্যন্ত তারা থাকতে চায়, আমরা কীভাবে রেজাল্ট পাবলিশ করি এবং এ রেজাল্টের তথ্যগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে থাকে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি কথা হয়েছে।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষকের জন্য কেন এমওইউ প্রয়োজন হচ্ছে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘তারা বলেছেন যেটা যে এটা একটা ওনাদের এসওপি, সে অনুযায়ী আমাদের এমওইউ-এর একটা খসড়া দিয়ে গেছে।’
আগে কি কখনো এ ধরনের এমওইউ হয়েছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ, ‘আগে আমি নির্বাচন কমিশনে কাজ করিনি অতএব আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।’
এমওইউয়ের খসড়ায় কী লেখা আছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আপনার একটা জিনিস বোঝা উচিত, তিন মিনিট আগে এমওইউয়ের খসড়াটা পেয়েছি আমার স্মৃতিশক্তি এত ভালো না যে আমি এ
জিনিসটাকে ফটোগ্রাফিক মেমোরি থেকে আপনাকে বলতে পারবো। আমাকে একটু শ্বাস নেয়ার জন্য একটু সময় দেন। আমার সীমাবদ্ধতার জন্য ক্ষমা করবেন।’
নির্বাচনে সহায়তা দিতে
যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব
আগামী বছরে নির্বাচনের ঘোষণাকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানায় মন্তব্য করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য। পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়েও সহায়তা দিতেও আমরা প্রস্তুত।’
আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে জানিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ দুটি বিষয়ে সিইসির সঙ্গে আজ (সোমবার) আলোচনা হয়েছে।’
সারাহ কুক বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানায়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আজ (সোমবার) ভালো আলোচনা হয়েছে।’
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সহায়তার প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেড়শ’ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ জন্য ইইউ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
সোমবার, (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইইউয়ের প্রাক-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আর গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে যুক্তরাজ্যের সহায়তা করার কথা জানিয়েছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সারাহ কুক। তার নেতৃত্বে ২ সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইইউ’র সঙ্গে ইসির বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটা ‘ডেলিগেশন’ ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘ওনারা এসেছিলেন একটা অ্যাসেসমেন্ট টিম আমাদের মূলত কয়েকটা জিনিসের ব্যাপারে ক্ল্যারিফিকেশন চেয়েছেন। ক্ল্যারিফিকেশনটা হচ্ছে যে ওরা একটা এমওইউ করবেন আমাদের সঙ্গে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইইউ’র একটা ত্রিপক্ষীয় এমওইউ হবে জানিয়ে সচিব বলেন, “যে এমওইউর ধারাবাহিকতায় ওনাদের প্রতিনিধিদলরা আসবেন। আমরা জানতে চেয়েছিলাম যে মোটামুটিভাবে আপনাদের প্রতি দলের সদস্য সংখ্যা কত হবে? তো আমাদের যেটা ধারণা দিয়েছেন সেটা হচ্ছে দেড়শ’র মতো।”
পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন কিনা? তা ইইউয়ের প্রাক-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছেন বলেও জানান ইসি সচিব।
দেড়শ’ পর্যবেক্ষকদের সবাই একসঙ্গে আসবেন না জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদাভাবে ভাগ ইইউয়ের পর্যবেক্ষকরা দেশে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গেজেট নোটিফিকেশন পাবলিকেশন পর্যন্ত তারা থাকতে চায়, আমরা কীভাবে রেজাল্ট পাবলিশ করি এবং এ রেজাল্টের তথ্যগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে থাকে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি কথা হয়েছে।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষকের জন্য কেন এমওইউ প্রয়োজন হচ্ছে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘তারা বলেছেন যেটা যে এটা একটা ওনাদের এসওপি, সে অনুযায়ী আমাদের এমওইউ-এর একটা খসড়া দিয়ে গেছে।’
আগে কি কখনো এ ধরনের এমওইউ হয়েছে?- এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ, ‘আগে আমি নির্বাচন কমিশনে কাজ করিনি অতএব আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।’
এমওইউয়ের খসড়ায় কী লেখা আছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আপনার একটা জিনিস বোঝা উচিত, তিন মিনিট আগে এমওইউয়ের খসড়াটা পেয়েছি আমার স্মৃতিশক্তি এত ভালো না যে আমি এ
জিনিসটাকে ফটোগ্রাফিক মেমোরি থেকে আপনাকে বলতে পারবো। আমাকে একটু শ্বাস নেয়ার জন্য একটু সময় দেন। আমার সীমাবদ্ধতার জন্য ক্ষমা করবেন।’
নির্বাচনে সহায়তা দিতে
যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব
আগামী বছরে নির্বাচনের ঘোষণাকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানায় মন্তব্য করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য। পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়েও সহায়তা দিতেও আমরা প্রস্তুত।’
আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে জানিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ দুটি বিষয়ে সিইসির সঙ্গে আজ (সোমবার) আলোচনা হয়েছে।’
সারাহ কুক বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানায়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আজ (সোমবার) ভালো আলোচনা হয়েছে।’