রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে পরে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন সাংবাদিকরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় এনসিপির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ফেরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
সফর শেষে ফিরে আসা দুই নেতাকে অভ্যর্থনা জানাতে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় বিমানবন্দরে যান এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা। দলটির পক্ষ থেকেই বুধবার রাতে সংবাদ সংগ্রহের আমন্ত্রণ জানানো হয় সাংবাদিককের। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির জাতিসংঘ সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীরা উচ্চস্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন স্টার নিউজের এক গণমাধ্যমকর্মী তাদের থামতে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এনসিপি নেতাকর্মীরা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে ফিরে যান গণমাধ্যমকর্মীরা।
স্টার নিউজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ইতোমধ্যে এনসিপির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (মিডিয়া) মুশফিক উস সালেহীন সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দরে ঢাকা মহানগর উত্তরের কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন জানান, এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বলা হয়েছে। দোষীদের শনাক্ত করে তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, ওই এলাকায় এনসিপির কোনো কমিটি নেই। হয়তো দুই–একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে কেন্দ্র করে একটি সার্কেল গড়ে উঠেছে। যারা এসেছিলো, তারা কোনো নেতা নন। এ কারণে তাদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে এই ঘটনায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন
এনসিপির দুঃখ প্রকাশ
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে এনসিপি। দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে এনসিপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। যা একই সঙ্গে দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
এতে বলা হয়, ‘এনপিপির পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে পরে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন সাংবাদিকরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় এনসিপির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ফেরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
সফর শেষে ফিরে আসা দুই নেতাকে অভ্যর্থনা জানাতে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় বিমানবন্দরে যান এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা। দলটির পক্ষ থেকেই বুধবার রাতে সংবাদ সংগ্রহের আমন্ত্রণ জানানো হয় সাংবাদিককের। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির জাতিসংঘ সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীরা উচ্চস্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন স্টার নিউজের এক গণমাধ্যমকর্মী তাদের থামতে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এনসিপি নেতাকর্মীরা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে ফিরে যান গণমাধ্যমকর্মীরা।
স্টার নিউজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ইতোমধ্যে এনসিপির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (মিডিয়া) মুশফিক উস সালেহীন সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দরে ঢাকা মহানগর উত্তরের কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন জানান, এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বলা হয়েছে। দোষীদের শনাক্ত করে তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, ওই এলাকায় এনসিপির কোনো কমিটি নেই। হয়তো দুই–একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে কেন্দ্র করে একটি সার্কেল গড়ে উঠেছে। যারা এসেছিলো, তারা কোনো নেতা নন। এ কারণে তাদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে এই ঘটনায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন
এনসিপির দুঃখ প্রকাশ
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে এনসিপি। দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে এনসিপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। যা একই সঙ্গে দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
এতে বলা হয়, ‘এনপিপির পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’