ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুইজন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার, (০২ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৮ হাজার ২২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহত ২ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ১ জন ও ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন মারা গেছেন।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের শিশু ১৫টি, ৫-১০ বছর বয়সের শিশু ১৫ জন, ১১-১৫ বছরের ২৩ জন, ১৬-২০ বছরের ৫৬ জন, ২১-২৫ বছরের ৫৭ জন, ২৬-৩০ বছরের ৪৬ জন, ৩১-৩৫ বছরের ৩৯ জন, ৩৬-৪০ বছরের ৩৫ জন, ৭৬-৮০ বছরের ২ জন, ৮০ বছরের ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৫ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৪ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৪ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০৮ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৫৮২ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতালে ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২ হাজার ৩শ’ ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে বলে জানিয়েছেন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশার কামড়ে তিন ধরনের ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এরমধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস রয়েছে। তিন ভাইরাসের উপসর্গে অনেকটা মিল আছে। ফলে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্যই প্রাথমিকপর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এতে যেমন চিকিৎসার বিলম্ব হয়, তেমনি রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও বাড়ে। এ কারণে রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধে একসঙ্গে তিনটি ভাইরাসের স্ক্রিনিং পরীক্ষার সুবিধা চালু করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।
মশাবাহিত নতুন রোগ শনাক্ত হলেও তা দ্রুত মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে একটি সুসংহত কাঠামো গড়ে তোলা অপরিহার্য। এজন্য রোগ নজরদারি বা সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়মিত রিপোটিং সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। সন্দেহভাজন রোগীদের দ্রুত পরীক্ষা ও রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন, নতুন কোনো ভাইরাস শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনা করে চিকিৎসা কার্যক্রমের ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। এজন্য ওষুধ, টিকা বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুইজন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার, (০২ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৮ হাজার ২২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ২০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহত ২ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ১ জন ও ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন মারা গেছেন।
বয়সভেদে আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের শিশু ১৫টি, ৫-১০ বছর বয়সের শিশু ১৫ জন, ১১-১৫ বছরের ২৩ জন, ১৬-২০ বছরের ৫৬ জন, ২১-২৫ বছরের ৫৭ জন, ২৬-৩০ বছরের ৪৬ জন, ৩১-৩৫ বছরের ৩৯ জন, ৩৬-৪০ বছরের ৩৫ জন, ৭৬-৮০ বছরের ২ জন, ৮০ বছরের ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৫ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৪ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১৪ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪২ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০৮ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে ৫৮২ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতালে ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২ হাজার ৩শ’ ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে বলে জানিয়েছেন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশার কামড়ে তিন ধরনের ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এরমধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস রয়েছে। তিন ভাইরাসের উপসর্গে অনেকটা মিল আছে। ফলে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্যই প্রাথমিকপর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এতে যেমন চিকিৎসার বিলম্ব হয়, তেমনি রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনাও বাড়ে। এ কারণে রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধে একসঙ্গে তিনটি ভাইরাসের স্ক্রিনিং পরীক্ষার সুবিধা চালু করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।
মশাবাহিত নতুন রোগ শনাক্ত হলেও তা দ্রুত মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে একটি সুসংহত কাঠামো গড়ে তোলা অপরিহার্য। এজন্য রোগ নজরদারি বা সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়মিত রিপোটিং সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। সন্দেহভাজন রোগীদের দ্রুত পরীক্ষা ও রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন, নতুন কোনো ভাইরাস শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনা করে চিকিৎসা কার্যক্রমের ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। এজন্য ওষুধ, টিকা বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।