ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনার ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কথোপকথন নিশ্চিত করেছে’ তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র (ল্যাথাল উইপন) ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ‘হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।’ হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর তথ্য ‘বিস্তারিতভাবে’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরে এমন দাবি করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার দাবি শেখ হাসিনার এ কথোপকথনের কণ্ঠ, এআই দিয়ে করা নয় বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। এই যুক্তির পক্ষে তিনি সিআইডি’র ফরেনসিক পরীক্ষা ও বাংলাদেশের বাইরের দুইটি প্রতিষ্ঠান বিবিসি এবং আল জাজিরার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা উল্লেখ করেন। তাজুলের দাবি তারাও নিশ্চিত করেছে এটা শেখ হাসিনার কণ্ঠ, এআই দিয়ে করা নয়।
বুধবার,(১৫ অক্টোবর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চতুর্থ দিনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন তিনি। পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে এদিন দুটির যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আজও প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর। তাজুল বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ড্রোন ব্যবহার করে অবস্থান শনাক্ত করে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যারও নির্দেশ দিয়েছেন। হাসানুল হক ইনুকে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, নারায়ণগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামানো হবে এবং ওপর থেকে ‘বম্বিং’ করা হবে, ‘প্যারাট্রুপার’ নামানো হবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসানুল হক ইনু, শেখ ফজলে নূর তাপস ও এস এম মাকসুদ কামালের কথোপকথনের অডিও আদালতে শোনানো হয়।
শেখ হাসিনার কথোপকথনের মধ্য দিয়ে সারাদেশব্যাপী সংঘটিত হত্যাকা-কে ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেমেটিক’ উল্লেখ করে, সেটি সংঘটনের জন্য শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশ প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনার কথোপকথন এআই দিয়ে করা হয়নি, সেটি তারা ‘নিশ্চিত’ করেছেন দাবি করে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘বাংলাদেশের সিআইডি ফরেনসিক পরীক্ষা করে বলেছে এই কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার; এবং তার সঙ্গে যাদের কথা হয়েছে শেখ ফজলে নূর তাপসের কণ্ঠস্বর তারা নিশ্চিত করেছেন। হাসানুল হক ইনুর কণ্ঠস্বরও তারা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মাকসুদ কামালের কণ্ঠ তারা নিশ্চিত করেছেন।’ বিবিসি তাদের একটা আলাদা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই কণ্ঠস্বর এআই দিয়ে করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তারা নিশ্চিত করেছে এটা শেখ হাসিনার কণ্ঠ, এআই দিয়ে করা নয়।
হত্যার নির্দেশনার ব্যাপারে রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের সাক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘নির্দেশটা যে সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন পুলিশ বাহিনীর তদনীন্তন প্রধান সরাসরি আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন যে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা, হেলিকপ্টার ব্যবহার করার নির্দেশনা তিনি পেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে টেলিফোন করে জানান প্রধানমন্ত্রী তাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তখন এ নির্দেশটি তার অধস্তন কর্মকর্তাদের জানান। অধস্তন কর্মকর্তারা অর্থাৎ ডিএমপির তদানীন্তন কমিশনার হাবিব, প্রলয় জোয়ার্দার-তারা কমান্ড সেক্টরের মাধ্যমে, ওয়্যারলেস মেসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন কমান্ড পোস্ট, বিভিন্ন জায়গায় যে সব বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।’ তাজুলের দাবি, বিস্তারিত প্রমাণ এতটাই অকাট্যভাবে তুলে ধরা হয়েছে এ আদালত শুধু নয়, আন্তর্জাতিক কোনো আদালত হোক, বিশ্বের যে কোনো দেশে, যে কোনো আদালতে অকাট্যভাবে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হবে।
আইন অনুযায়ী একটা অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হওয়ার জন্য ওয়াইস্প্রেড এবং সিস্টেমেটিক হওয়ার শর্ত পরিপূরণ সম্পূর্ণভাবে এ মামলায় প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে তাজুল আরও বলেন, ‘এই নির্দেশ সুনির্দিষ্টভাবে ওপর থেকে ক্রমান্বয়ে নিচে এসেছে এবং তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে । এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, এ অপরাধগুলো ছিল ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেমেটিক’।
হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টার থেকে যে গুলি করা হয়েছে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর কাছ থেকে ‘ডিটেইলড ফ্লাইটের চার্টার’ আমরা সংগ্রহ করেছি। সে ফ্লাইটগুলোতে কতক্ষণ ফ্লাইটের ডিউরেশন ছিল সেগুলো আমরা দেখিয়েছি, সে ফ্লাইটগুলো অপারেট করেছেন কোন কোন পাইলট তাদের নাম ও ফোন নাম্বার আমরা দেখিয়েছি । ওইখানে পাইলট ছাড়া আর কোন কোন সৈনিক বা অফিসার যাত্রী ছিলেন তা আমরা দেখিয়েছি।’
এছাড়া সেখানে কী কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, কত রাউন্ড গুলি করা হয়েছে তার তালিকা ট্রাইব্যুনালে দিয়েছেন বলে তাজুল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সেখানে এসএমজি, লাইট মেশিনগান, শটগান, রাইফেল, সাউন্ড গ্রেনেড, স্টান গ্রেনেড সবকিছুর হিসাব আছে। ভিডিও ফুটেজ, আহতদের গুলিবিদ্ধ হওয়া, শহীদ এবং আহতদের শরীর থেকে যে বুলেটগুলো বের করা হয়েছে তাও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান। হুকুম দেয়া থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত কার্যকর হওয়া এবং সেটার পরিণামে কীভাবে মানুষগুলো মারা গেল, তাদের দেহ থেকে কীভাবে বুলেট উদ্ধার হল, এ বুলেটগুলো কোন গ্রেডের, কোন রাইফেল থেকে এসেছে, কাদের কাছ থেকে এসেছে- এসব কিছুর অকাট্য প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে তারা তুলে ধরেছেন বলে জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলায় পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনার ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কথোপকথন নিশ্চিত করেছে’ তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র (ল্যাথাল উইপন) ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ‘হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।’ হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর তথ্য ‘বিস্তারিতভাবে’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরে এমন দাবি করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার দাবি শেখ হাসিনার এ কথোপকথনের কণ্ঠ, এআই দিয়ে করা নয় বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। এই যুক্তির পক্ষে তিনি সিআইডি’র ফরেনসিক পরীক্ষা ও বাংলাদেশের বাইরের দুইটি প্রতিষ্ঠান বিবিসি এবং আল জাজিরার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা উল্লেখ করেন। তাজুলের দাবি তারাও নিশ্চিত করেছে এটা শেখ হাসিনার কণ্ঠ, এআই দিয়ে করা নয়।
বুধবার,(১৫ অক্টোবর ২০২৫) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চতুর্থ দিনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন তিনি। পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে এদিন দুটির যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। আজও প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর। তাজুল বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ড্রোন ব্যবহার করে অবস্থান শনাক্ত করে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যারও নির্দেশ দিয়েছেন। হাসানুল হক ইনুকে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, নারায়ণগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামানো হবে এবং ওপর থেকে ‘বম্বিং’ করা হবে, ‘প্যারাট্রুপার’ নামানো হবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসানুল হক ইনু, শেখ ফজলে নূর তাপস ও এস এম মাকসুদ কামালের কথোপকথনের অডিও আদালতে শোনানো হয়।
শেখ হাসিনার কথোপকথনের মধ্য দিয়ে সারাদেশব্যাপী সংঘটিত হত্যাকা-কে ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেমেটিক’ উল্লেখ করে, সেটি সংঘটনের জন্য শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশ প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনার কথোপকথন এআই দিয়ে করা হয়নি, সেটি তারা ‘নিশ্চিত’ করেছেন দাবি করে এই প্রসিকিউটর বলেন, ‘বাংলাদেশের সিআইডি ফরেনসিক পরীক্ষা করে বলেছে এই কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার; এবং তার সঙ্গে যাদের কথা হয়েছে শেখ ফজলে নূর তাপসের কণ্ঠস্বর তারা নিশ্চিত করেছেন। হাসানুল হক ইনুর কণ্ঠস্বরও তারা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মাকসুদ কামালের কণ্ঠ তারা নিশ্চিত করেছেন।’ বিবিসি তাদের একটা আলাদা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই কণ্ঠস্বর এআই দিয়ে করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তারা নিশ্চিত করেছে এটা শেখ হাসিনার কণ্ঠ, এআই দিয়ে করা নয়।
হত্যার নির্দেশনার ব্যাপারে রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের সাক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘নির্দেশটা যে সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন পুলিশ বাহিনীর তদনীন্তন প্রধান সরাসরি আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন যে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা, হেলিকপ্টার ব্যবহার করার নির্দেশনা তিনি পেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে টেলিফোন করে জানান প্রধানমন্ত্রী তাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তখন এ নির্দেশটি তার অধস্তন কর্মকর্তাদের জানান। অধস্তন কর্মকর্তারা অর্থাৎ ডিএমপির তদানীন্তন কমিশনার হাবিব, প্রলয় জোয়ার্দার-তারা কমান্ড সেক্টরের মাধ্যমে, ওয়্যারলেস মেসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন কমান্ড পোস্ট, বিভিন্ন জায়গায় যে সব বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।’ তাজুলের দাবি, বিস্তারিত প্রমাণ এতটাই অকাট্যভাবে তুলে ধরা হয়েছে এ আদালত শুধু নয়, আন্তর্জাতিক কোনো আদালত হোক, বিশ্বের যে কোনো দেশে, যে কোনো আদালতে অকাট্যভাবে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হবে।
আইন অনুযায়ী একটা অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হওয়ার জন্য ওয়াইস্প্রেড এবং সিস্টেমেটিক হওয়ার শর্ত পরিপূরণ সম্পূর্ণভাবে এ মামলায় প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে তাজুল আরও বলেন, ‘এই নির্দেশ সুনির্দিষ্টভাবে ওপর থেকে ক্রমান্বয়ে নিচে এসেছে এবং তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে । এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, এ অপরাধগুলো ছিল ‘ওয়াইডস্প্রেড’ এবং ‘সিস্টেমেটিক’।
হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টার থেকে যে গুলি করা হয়েছে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর কাছ থেকে ‘ডিটেইলড ফ্লাইটের চার্টার’ আমরা সংগ্রহ করেছি। সে ফ্লাইটগুলোতে কতক্ষণ ফ্লাইটের ডিউরেশন ছিল সেগুলো আমরা দেখিয়েছি, সে ফ্লাইটগুলো অপারেট করেছেন কোন কোন পাইলট তাদের নাম ও ফোন নাম্বার আমরা দেখিয়েছি । ওইখানে পাইলট ছাড়া আর কোন কোন সৈনিক বা অফিসার যাত্রী ছিলেন তা আমরা দেখিয়েছি।’
এছাড়া সেখানে কী কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, কত রাউন্ড গুলি করা হয়েছে তার তালিকা ট্রাইব্যুনালে দিয়েছেন বলে তাজুল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সেখানে এসএমজি, লাইট মেশিনগান, শটগান, রাইফেল, সাউন্ড গ্রেনেড, স্টান গ্রেনেড সবকিছুর হিসাব আছে। ভিডিও ফুটেজ, আহতদের গুলিবিদ্ধ হওয়া, শহীদ এবং আহতদের শরীর থেকে যে বুলেটগুলো বের করা হয়েছে তাও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান। হুকুম দেয়া থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত কার্যকর হওয়া এবং সেটার পরিণামে কীভাবে মানুষগুলো মারা গেল, তাদের দেহ থেকে কীভাবে বুলেট উদ্ধার হল, এ বুলেটগুলো কোন গ্রেডের, কোন রাইফেল থেকে এসেছে, কাদের কাছ থেকে এসেছে- এসব কিছুর অকাট্য প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে তারা তুলে ধরেছেন বলে জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলায় পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে।