ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী এবং তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বুধবার, (১৫ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫-এর বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজ হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। অন্য তিন আসামিরা হলেন- সুব্রত বাইনের তিন সহযোগী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির আগে এদিন কারাগার থাকা সুব্রত বাইন ও আরাফাতকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামিরা মোল্লা মাসুদ ও শরীফকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হয়।
দুপুর ১টার দিকে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মাহফুজ হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন। আসামিদের পক্ষে কাজী মজিবর রহমান আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারক পড়ে শোনান। এরপর তাদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর আদালত আগামী ১৬ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে দেন।
গত ২৭ মে ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধারের কথা জানায় সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় গত ২৮ মে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এস আই আসাদুজ্জামান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো।
মামলা বলা হয়, সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন। পরে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। ৫ আগস্টের পর সে দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি শুরু করে। তার সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে হাতিরঝিল থানার নতুন রাস্তা এলাকা হতে একইদিন বিকেল অনুমান ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়। গত ১৩ জুলাই চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী এবং তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বুধবার, (১৫ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫-এর বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজ হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। অন্য তিন আসামিরা হলেন- সুব্রত বাইনের তিন সহযোগী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির আগে এদিন কারাগার থাকা সুব্রত বাইন ও আরাফাতকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামিরা মোল্লা মাসুদ ও শরীফকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হয়।
দুপুর ১টার দিকে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মাহফুজ হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন। আসামিদের পক্ষে কাজী মজিবর রহমান আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারক পড়ে শোনান। এরপর তাদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর আদালত আগামী ১৬ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে দেন।
গত ২৭ মে ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধারের কথা জানায় সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় গত ২৮ মে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এস আই আসাদুজ্জামান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো।
মামলা বলা হয়, সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন। পরে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। ৫ আগস্টের পর সে দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি শুরু করে। তার সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে হাতিরঝিল থানার নতুন রাস্তা এলাকা হতে একইদিন বিকেল অনুমান ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়। গত ১৩ জুলাই চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।